India America: আমেরিকাকে ওয়ার্নিং দিল ভারত! কাকে গোপনে প্রশয়? মোদীর সফর নিয়ে বড় দাবি

।। প্রথম কলকাতা ।।

India America: মোদীর আমেরিকা সফরে পরই ওয়াশিংটনকে চরম বার্তা জয়শঙ্করের। আমেরিকা কথা না মানলে এফেক্ট পড়তে পারে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। কেন জয়শঙ্কর বললেন রাজীব-মনমোহনের থেকে এই সফর আলাদা? এমন কি ঘটেছিল যা আগে কখনও ঘটেনি? পার্থক্যটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন জয়শঙ্কর। যারা এতদিন বলতেন গরিবদের টাকা খরচ করে শুধু বিদেশ যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদী তাদের সংখ্যা বোধহয় কমছে। মোদীর এবারের আমেরিকা সফরে এমন আর কী ঘটল যা এখনও অজানা। কেন আমেরিকাকে সতর্ক করে দিলেন ফরেন মিনিস্টার? তলায় তলায় কাদের প্রশয় দেওয়া হচ্ছে? বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদেশে এইধরণের সফরে যাওয়াটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী মোদীর সফরের জাস্ট কয়েকটা দিন আগেই গিয়েছিলেন মার্কিন সফরে কিন্তু তাঁকে ঘিরে সেই উন্মাদনা ছিল না প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে। কিন্তু মোদীর সফর শুধুমাত্র জনপ্রিয়তা বা বেশ কিছু লাভজনক চুক্তির নিরিখেই আরও একটা বিশেষ কারণে গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবার। সেটা কি খোলসা করে দিলেন বিদেশমন্ত্রী স্পষ্ট বলে দিলেন রাজীব গান্ধী- মনমোহন সিংয়েক থেকে মোদির বিদেশসফর অনেকটাই আলাদা। না প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের কোনও ধরণের অসম্মান নয় বরং প্রশংসা করেই সুক্ষ্ম পার্থক্য দেখিয়ে দিলেন তিনি৷ এবার নমোর ফেরার পর এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বেশ কয়েকটা দেশকে রীতিমত হুঁশিয়ারি জয়শঙ্করের। এই ইস্যুটাও এমূহুর্তে জেনে রাখা দরকার। পরিস্কার বলে দেন তিনি খালিস্তানিদের কোনওভাবে রেয়াত করবেন না কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এভাবেই সতর্ক করেন বিদেশমন্ত্রী। কোনওভাবে এই দেশগুলো যদি খালিস্তানি বিদ্রোহীদের জায়গা দেয় তাহলে তার প্রভাব দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে পড়বে সোজাসাপটা জানিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

আর এটা যে ভারত এমনি এমনি বলেনি সেটা কানাডা ইস্যুতে বুঝতে পেরেছেন নিশ্চয়। খালিস্তানিদের পিঠ চাপড়ানোয় দুরত্ব বাড়ছে ভারত-কানাডা। সোজা কথায় বলতে পারেন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বিগড়ে যাচ্ছে কানাডার। এমনকি মোদীর আমেরিকা থাকাকালীন রাষ্ট্রপুঞ্জে হেডকোর্য়াটারের বাইরেও প্রো-খালিস্তানি প্রটেস্ট দেখা গিয়েছিল। এবার আসি কেন মোদীর এবারের বিদেশসফরকে এতটা আলাদা করে দেখার কথা বললেন জয়শঙ্কর? ১৯৮৫ সালে রাজীব গান্ধির ওয়াশিংটন সফর ২০০৯ সালে মনমোহন সিং-এর মার্কিন সফরকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন জয়শঙ্কর। এই তিন সফরই ভারতের বিদেশ সম্পর্ক মজবুত করার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল বলে দাবি করেছেন বিদেশমন্ত্রী।

প্রথমবার কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদি মার্কিন কংগ্রেসের অধিবেশনে দুবার বক্তব্য রেখেছে। অন্যদিকে এর আগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীরা যতবার বিদেশ সফরে গিয়েছেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষার স্বার্থে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু মোদি তাঁর সাম্প্রতিক সফরে একইসঙ্গে বিদেশি নীতি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা মার্কিন ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও বৈঠক দুই-ই সেরেছেন। তাই এই সফর অনন্য বলেই দাবি বিদেশমন্ত্রীর। তাঁর দাবি এই আলোচনা ভবিষ্যতে ভারতের অগ্রগতিতে বিশেষ সুবিধা করবে। ২০২২ সালে কেন্দ্র একটি হিসেব দেয় গত পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিদেশযাত্রায় খরচ হয়েছে ২৩৯ কোটির কিছু বেশি। কারণ প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর নিয়ে রাজ্যসভায় প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধী শিবিরের প্রতিনিধিরা গত পাঁচ বছরের হিসেব চান তারা সরকারের কাছে। অর্থনীতি থেকে বিদেশনীতি, প্রতিরক্ষা থেকে মহাকাশ, বাণিজ্য থেকে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপে ভারত যেভাবে ব্যাপ্তি বাড়াচ্ছে প্রধানমন্ত্রী লাগাতার বিদেশ সফর না করলে এবং তাতে মোদী ও তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রকের ছাপ না থাকলে এটা কোনওদিনই সম্ভব নয় দাবি কূটনৈতিক মহলের।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version