India-US Military Exercise: ভারত-মার্কিন সৈন্যের যৌথ মহড়ায় গা জ্বলছে চীনের, পেল মোক্ষম জবাব

।। প্রথম কলকাতা ।।

India-US Military Exercise: ভারত মার্কিন সৈন্যের যৌথ মহড়ায় গা জ্বলছে চীনের। উত্তরাখণ্ডে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে ভারত মার্কিন এর যৌথ যুদ্ধ অভ্যাস চলছে, আর তাতেই আপত্তি বেজিংয়ের। ব্যাপারটা কি? এই মহড়ায় কেন ঘুম উড়েছে চীনের? যদিও বেজিংয়ের চোখ রাঙানিকে পাত্তা দিচ্ছে না ভারত। ইতিমধ্যেই ভারত ঝামা ঘষে দিয়েছে চীনের মুখে।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর উচ্চ উচ্চতায় যুদ্ধ করার ক্ষমতা কারোর কাছে গোপন নয়। ভারতের প্রায় সমগ্র উত্তর সীমান্ত অর্থাৎ চীন সীমান্ত পাহাড়ি উচ্চতায় অবস্থিত। ভারতীয় সৈন্যদের এমন উচ্চতায় যে কোন মিশন চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। এমনকি সিয়াচেনের মত অতি উচ্চতায় ভারতীয় সেনাদের প্রশিক্ষণ হয়। ভারত আমেরিকার যৌথ মহড়ার উদ্দেশ্য, বিপর্যয় মোকাবিলা অভিযানে পরস্পরের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরি করা। দুই বাহিনীর যুদ্ধ বিশেষজ্ঞরা নিজেদের মধ্যে নানান কৌশল বিনিময় করবেন। উত্তরাখণ্ডে ভারত মার্কিনের যৌথ যুদ্ধ অভ্যাস ১৮তম মহড়া। মার্কিন বিভাগের চারজন সেনা কর্মকর্তা ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হিমালয় শিখর নন্দা দেবীতে পৌঁছে গিয়েছেন। তারা হলেন ক্যাপ্টেন সেরুটি, লেফটেন্যান্ট রাসেল, লেফটেন্যান্ট ব্রাউন এবং লেফটেন্যান্ট হ্যাক। এনারা ১১তম এয়ারবর্ন ডিভিশনের দ্বিতীয় ব্রিগেডের মার্কিন সৈন্য। দুই সপ্তাহের মহড়ায় মার্কিন সৈন্যদের সঙ্গে অংশগ্রহণ নিয়েছেন ভারতীয় আসাম রেজিমেন্টের সেনা সদস্যরা। মহড়ার লক্ষ্য হল, আন্ত কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দুই সেনাবাহিনীর মধ্যে শান্তি রক্ষা ও দুর্যোগ ত্রাণ কার্যক্রমের দক্ষতা ভাগ করে নেওয়া। এই যৌথ মহড়া মানবিক সহায়তা এবং দুর্যোগ ত্রাণ অপারেশনগুলিতে বেশি ফোকাস করবে।

তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে চীনের সঙ্গে আমেরিকার উত্তেজনা চরমে। হিমালয় পর্বতে আমেরিকা আর ভারতের যৌথ সামরিক মহড়াকে প্রথম থেকেই ভালো চোখে দেখেনি চীন। তার উপর ভারতের সঙ্গে চীনের বিতর্কিত সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটারের মধ্যেই দুই দেশের মধ্যে বহুবার সংঘর্ষ বেঁধেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের যৌথ মহড়ায় কিছুটা হলেও ভয় পেয়েছে চীন। চীনের বিদেশ মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর জানান, ভারতের সঙ্গে চীনের ১৯৯৩ এবং ১৯৯৬ সালে চুক্তি হয়েছিল। বেজিং এর দাবি অনুযায়ী, ভারত এবং আমেরিকার যৌথ সেনা মহড়া চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে। চীন আর ভারতের মধ্যে যে বিশ্বাস আর আস্থার সম্পর্ক রয়েছে, এই মহড়া ফলে তা সম্পূর্ণ রূপ ব্যাহত হচ্ছে। বেজিংয়ের এই দাবির মোক্ষম জবাব দিয়েছে ভারত। চীনের মুখের উপর কড়া জবাব দিয়েছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। ভারত পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে, আউলির কাছে এই যুদ্ধ অভ্যাসের সঙ্গে ১৯৯৩ এবং ১৯৯৬ সালের চুক্তির কোন সম্পর্ক নেই। সবথেকে বড় কথা হলো, চীন নিজেই একবার ভাবুক যে তারা ঠিক কি করেছে। চীন প্রথমে চুক্তি ভেঙেছে, ভারত নয়। তাই ভারতের যেখানে পছন্দ সেখানে মহড়া করতে পারে। অতীতের উদাহরণ টেনে রীতিমত চীনের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে ভারত।

চীনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের দাবি অনুযায়ী, ভারত আর চীনের মধ্যে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে সেখানে এই যুদ্ধ মহড়া মানে তৃতীয় পক্ষের নাক গলানো সুযোগ করে দেওয়া। ভারতের যুক্তি অনুযায়ী, চীন যে চুক্তির কথা বলছে তা তারা নিজের হাতেই নষ্ট করেছে। কারণ ২০২০ সালের লাদাখ অঞ্চলে বিপুল পরিমাণে সেনা আর অস্ত্র সম্ভার জড়ো করেছিল চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। অথচ দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী যদি সীমান্ত নিয়ে কোনো রকম সমস্যা হয় তাহলে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ ও শান্তিতে মিটিয়ে নেওয়া হবে। সেই চুক্তি আদৌ কি চীন মেনে ছিল? চীনের সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ভারত-আমেরিকার যৌথ মহড়ার নানান ছবি ভাইরাল হচ্ছে। ভারতের শক্তিশালী সেনাদের কৌশল দেখে চাপে পড়ে গিয়েছে বেজিং।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version