India Russia Pakistan: আমেরিকার দিকে ঝুঁকতেই রাশিয়ার আসল রূপ দেখল ভারত! ঝোপ বুঝে কোপ মারছে মস্কো, তুরুপের তাস ইসলামাবাদ

।। প্রথম কলকাতা ।।

India Russia Pakistan: ভারত নয়? পাকিস্তানই কি রাশিয়ার বন্ধু? কোন ইস্যুতে দূরত্ব বাড়ছে মস্কোর সঙ্গে নয়াদিল্লির? তবে কি নাটের গুরু ইসলামাবাদ? ভারতের সঙ্গে যখন ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে আমেরিকার, তখন মস্কোর তুরুপের তাস পাকিস্তান। তাহলে কি এত চেষ্টার পরেও ভারতের ব্যালেন্স নীতি ফেইল করছে? নাকি ঝোপ বুঝে কোপ মারছে রাশিয়া? কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

কূটনৈতিক শিবিরের একাংশের বক্তব্য, ইউক্রেন যুদ্ধের পর ভারত ব্যালেন্স নীতির মাধ্যমে কার্যত মস্কোর পাশেই কিন্তু থেকেছে, কিন্তু, তারপরেও সবকূল রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আমেরিকার বারণ সত্ত্বেও যে রাশিয়ার থেকে তেল কিনে ভারত অসময়ে পাশে থেকেছে সেই মস্কোই কিনা এখন দাবি করছে অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তাদের বড় বন্ধু ইসলামাবাদ ভাবা যায়? না এখানেই শেষ নয়, রাশিয়া এবং পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর পূর্তি। সেই উপলক্ষে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী বলেছে, “অর্থনীতি, নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেবে রাশিয়া ও পাকিস্তান। নতুন নতুন ক্ষেত্রে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে। তাঁরা বলছে, রাশিয়া যে ভাবে বিশ্বব্যবস্থাকে দেখে, তাদের নৈতিকতার যে ঐতিহ্য, তা মহম্মদ আলি জিন্নার বিশ্বাস ও দর্শনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

এটা বেশ পরিষ্কার, পাকিস্তানকে বন্ধুত্বের উঁচু আসনে বসিয়েছে রাশিয়া। কিন্তু বুঝতে হবে রাশিয়া এই কথাগুলো কখন বলছে? কূটনৈতিক মহলের বক্তব্য, ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে গোটা বিশ্ব দ্বিধাবিভক্ত, আমেরিকার সঙ্গে যুযুধান রাশিয়া।রাশিয়ার সঙ্গে সম্মুখ সমরে ইউক্রেন লড়াই করলেও মূলত এই লড়াই যে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে রাশিয়ার তা কে না জানে। আর যখন ক্রমেই এই যুদ্ধের তীব্রতা বাড়ছে, ঠিক তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমেরিকা যাত্রা নিয়ে দু পক্ষেরই উন্মাদনা তুঙ্গে। না, এমন সময়ে মোদীর ওয়াশিংটন সফর নিয়ে নয়াদিল্লির ঢাক পেটানোর বিষয়টিকে মোটেই ভালো চোখে দেখছে না মস্কো। সেই কারণেই কি ভারতের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে থাকা পাকিস্তানকে পিঠ চাপড়ানোর স্ট্র্যাটেজি নিল পুতিন সরকার?

হ্যাঁ, আমেরিকার সঙ্গে যখনই ঘনিষ্ঠতার বার্তা দিচ্ছে ভারত, তখনই রাশিয়ার দিক থেকে পাকিস্তানকে কাজে লাগানো হচ্ছে নয়াদিল্লিকে কূটনৈতিক বার্তা দেওয়ার জন্য। ভারত এই নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেনি বরং বিষয়টাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। আর যদি বন্ধুত্বের কথা বলা হয় তাহলে একটু পিছিয়ে গিয়ে দেখা যাক? ২০১৫ সালে ভারত আমেরিকার সঙ্গে লজিস্টিক বিনিময় সংক্রান্ত অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিপত্র সই করার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই রাশিয়া পাকিস্তানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি সই করে। কিছুটা টিট ফর ট্যাট নীতি নিয়েই। ভারত বারবার এই নিয়ে আন্তর্জাতিক শিবিরে সতর্কবার্তা দিয়েছে! নয়াদিল্লির বক্তব্য, অস্ত্র বা পুঁজি দিয়ে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পোক্ত করার অর্থ, তা ভারতের বিরুদ্ধে সীমান্তে ব্যবহার করা হবে। কিন্তু সতর্কতা সত্ত্বেও ২০২১ পর্যন্ত রাশিয়া পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক মহড়া চালিয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে ভারতের বন্ধুত্বের মান কিন্তু রাখেনি রাশিয়া। কিন্তু, তারপরেও ইউক্রেন যুদ্ধে ভারত কিন্তু নিরপেক্ষ থেকেছে। পশ্চিমা বিশ্বের বারণ সত্বেও রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে গেছে। রাশিয়াও বহুদিন পাকিস্তান নিয়ে ঘনিষ্ঠতার বার্তা দেয়নি। কিন্তু মোদীর ওয়াশিংটন সফরের আগে ফের মস্কোর তুরুপের তাস হয়ে উঠলো ইসলামাবাদ, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। তবে এই সমীকরণ ভারত রাশিয়ার বন্ধুত্বের সম্পর্কেও ছাপিয়ে যায় কিনা, এখন সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version