Russia India: ভারত-রাশিয়ার বন্ধুত্ব রিস্কে! মোদীর সফরে পুতিনের দাবি কি? অতীত বলবে শেষ কথা

।। প্রথম কলকাতা ।।

Russia India: ভারত-রাশিয়ার বন্ধুত্ব রিস্কে! চির ধরিয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্র? পুতিন কী বললেন মোদীর যুক্তরাষ্ট্রর সফর নিয়ে? মারাত্মক গুরুত্বপূর্ণ মস্কো এবার চিনের সঙ্গে খেলতে পারে বড় খেলা। ভারতের ড্যামেজ কন্ট্রোলের দরকার নেই অতীতের খেলাই কামাল করবে। রাশিয়া ভারতের তেলের ডিলের ওপর কোপ ফেলতে পারে? সবথেকে বড় প্রশ্ন এখন এটাই। আমেরিকা আপ্রাণ চেষ্টা করল৷ কিন্তু পারল কি? মোদী ভারতে ফিরলেই কি রাশিয়া চিনের যৌথ খেলা শুরু হবে? ভারত আমেরিকা থেকে কি কি পেল কোন কোন সেক্টরে বাণিজ্য এল দিল্লি আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই বা যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে মস্কোকে নিয়ে কি অবস্থান রাখলেন বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই সবটাই সুক্ষ্মভাবে ওয়াচ করা হচ্ছিল ক্রেমলিন থেকে। কিন্তু রাশিয়া বাড়াবাড়ি করতে গেলেই তো টান পড়বে পেটে মনে আছে তো সেকথা? একেই পুতিনের ঘনিষ্ঠ ওয়াগেনার আর্মি বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে শতযুদ্ধ ও ইউক্রেনের ওপর হামলা গতি বাড়তে থাকলেও মোদীর এই সফর মারাত্মক গুরুত্ব রেখেছিল মস্কোর জন্য।

ভারতের একটা ভুল বা একটা মন্তব্য ঘেঁটে দিতে পারে অনেক ইকুয়েশন। যার সর্বাত্মক চেষ্টা যে তলায় তলায় করেছিল আমেরিকা এমনটা দাবি বহু কূটনীতিবিদদের। রাশিয়া সংবাদমাধ্যমের বিস্ফোরক মন্তব্য ভারতকে নিয়ে, মোদীকে নিয়ে। দিল্লি-মস্কোর সম্পর্কে একটা হালকা চির, বড় ফায়দা লোটার জন্য দাঁড়িয়েই রয়েছে ড্রাগনের দেশ। আমেরিকা কি সফল হল খেলা পাল্টে দিতে৷ জবাব না, হল না। ভারত রুখে দিল তাদের জবরদস্ত কূটনীতি দিয়। দুনিয়ার কাছে আগেই সাফাই গেয়ে ওয়াশিংটন বলে রেখেছিল মোদীর এই সফরের সঙ্গে চিন বা রাশিয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু এসব তো বলার কথা। মোদী কথা বললেন যুদ্ধ নিয়ে। মস্কোর সংবাদসংস্থা স্পুটনিক বিশেষজ্ঞদের রায় নিয়ে দাবি করেছে আজ থেকে নয় গত ৫০ বছর ধরে ওয়াশিংটন ভারতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। বাইডেনের রণনীতিই হল ভারতকে রাশিয়ার থেকে দূরে করা। মোদী কিন্তু দুটো দেশকে রীতিমত টার্গেট করলেন চিন এবং পাকিস্তান। রাশিয়া নিউজ দাবি করল।

তারা বোঝে ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় চিনের প্রভাব রুখতেই আমেরিকার এতটা কাছাকাছি রয়েছে দিল্লি, স্ট্র্যাটেজিক পাটনারশিপ গড়ে উঠছে। কিন্তু কূটনৈতিক মহল বলছে মস্কো এতটা বোঝার পিছনে রয়েছে অন্য চাল। মনে করে দেখুন মার্চ মাসে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গেছিলেন রাশিয়া সফরে। তখন ভারতের কি প্রতিক্রিয়া ছিল সেটা ভোলেনি মস্কো কারণ ভুলে গেলে তাদেরই বিপত্তি বাড়বে। সেসময় ভারতের তরফ থেকে পরিস্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল চিন ও রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক ভারতে কোনও প্রভাব ফেলবে না। বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেছিলেন দিল্লির সঙ্গে মস্কোর বন্ধুত্ব অনেক গাঢ়।
সেখানে চিনকে বিপত্তি বলে মনে করে না ভারত। কূটনীতিবিদদের অনেকেই বলছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সমস্ত প্রচেষ্টাই কিন্তু ছিল বা আগামীতেও থাকবে। ভারতের মুখ থেকে এমন কোনও মন্তব্য করানো যাতে মস্কো চটে যায়। প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ার নাম না করে যুদ্ধ নিয়ে স্পষ্ট জানালেন এটা যুদ্ধ করার সময় নয় সংলাপ ও কূটনীতির সময় প্রায় আড়াই ঘন্টা বৈঠক করার পর তবেই ভারত ও আমেরিকা যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়।

ভারত চিনের নাম না নিলেও নমো চরম তোপ দাগলেন। প্রগতির জন্য অস্বাভাবিক পর্যায়ে ঋণগ্রস্ত হতে হবে না কোনও দেশ যেখানে সংযোগের বিনিময়ে কারও কৌশলগত দাসত্ব মেনে নিতে হবে না। আসিয়ানভুক্ত দেশগুলিকেই ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কেন্দ্রে রাখতে হবে এমন একটি অঞ্চল এখানে গড়ে তোলা প্রয়োজনযে খানে সব রাষ্ট্র নির্ভয়ে নিজেদের পছন্দ জানাতে পারবে। সবথেকে অবাক বিষয় আমেরিকার প্রেসিডেন্টের নিশানা চিন থাকলেও, মস্কো কিন্তু একেবারেই ছিল না। এর মানে কি রাশিয়ার বিশ্বস্ত বন্ধু ভারতের উপস্থিতির জন্য রাশিয়াকে আক্রমণ করতে গিয়েও থেমে গেল আমেরিকা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন মস্কো ভারতের ওপর গর্ববোধ করা উচিত৷ হয়ত গোপনে অনেক খেলাই ঘুরিয়ে দিল ভারত৷

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version