।। প্রথম কলকাতা ।।
ভারত যুক্তরাষ্ট্র জয়েন্ট মিলিটারি সিস্টেমের নামে বুক কাঁপছে চীনের। খতরনাক সব মার্কিন অস্ত্র তৈরি হবে এবার ভারতেই? সবটাই কী জি২০-র এফেক্ট? কেন ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে এতটা গুরুত্ব দিয়ে দেখছে পেন্টাগন? বড় সিক্রেট ফাঁস। ইন্দো প্যাসিফিক মহাসাগরে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের পাওয়ার বাড়ছে। এক অস্ত্রে শান দিয়ে ড্রাগন বধের ছক কষছে দুই দেশ। যা কেউ পারেনি, তা করে দেখাচ্ছে ভারত। সামরিক জোট না হয়েও সামরিক ক্ষেত্রে ভারত যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠ বন্ধু। কিন্তু, মিলিটারি সিস্টেম মানে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনায় কতদূর এগোলো দুই দেশ?
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ভারত আমেরিকা শীঘ্রই মিলিটারি সিস্টেম তৈরিতে হাত মেলাতে পারে। চান্স বাড়ছে। ভারতেই তৈরি হতে পারে আমেরিকার সব খতরনাক অস্ত্র। তাহলে কী তৈরি হবে মার্কিন অস্ত্র নির্মাণের কারখানাও? পেন্টাগনের এক কর্মকর্তার দাবিতে রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে। তবে, বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে এতে দুদেশেরই বিরাট বেনিফিট।
ভারত আমেরিকা মিলিটারি সিস্টেম তৈরিতে একত্রিত হলে ভারতের প্রতিরক্ষা শিল্পে উচ্চ প্রযুক্তির অস্ত্র তৈরি হবে! ভারতে আমেরিকান অস্ত্র তৈরির পথ পরিষ্কার হবে। একই সাথে চীনকে ঠান্ডা করার পথ আরও চওড়া হবে। অলরেডি, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য স্থলভিত্তিক প্রচলিত অস্ত্র তৈরি করতে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে। অলরেডি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ভারতের ৩০টি এমকিউ-৯বি প্রিডেটর সশস্ত্র ড্রোন কেনার চুক্তি রয়েছে। ভারতীয় বিমানবাহিনীর জন্য এফ ৪১৪ যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরির বিষয়ে মার্কিন কোম্পানি জেনারেল ইলেকট্রিকের সঙ্গে ভারতের ডিল হয়েছে।
ভাবতেও অবাক লাগে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বন্ধুত্ব নেই, এমন কোনো দেশের সঙ্গে এর আগে কখনোই যুক্তরাষ্ট্র এই ধরনের ডিল করেনি। আর ঠিক এতেই যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের সম্পর্কের গভীরতা টের পাওয়া যায়। তাছাড়া এর মধ্যে জি-টোয়েন্টি গেছে। যো বাইডেন ভারতে এসেছিলেন, মোদীর সঙ্গে মুখোমুখি বসে কথা হয়েছে। তারপরেই দুদেশের মধ্যে সামরিক জোট নিয়ে কথাবার্তা এতদূর এগিয়ে গেছে। তাহলে জি২০-র এফেক্টেই কী ভারত যুক্তরাষ্ট্রের মিলিটারি সিস্টেম তৈরি হওয়ার সময় এগিয়ে আসছে। দুদেশের মধ্যে কিন্তু গোয়েন্দা তথ্য ও নজরদারিতে ব্যবহৃত সামরিক অস্ত্র নিয়েও আলোচনা চলছে। চীনকে রুখতে ভারত যুক্তরাষ্ট্র আগামী কয়েক বছর প্রতিরক্ষা খাতে একে অপরকে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে। আর এতেই চীনের টেনশন বাড়ছে। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশ ভারত এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও প্রযুক্তিগত সম্পর্ক দৃঢ় করার চেষ্টাকে চীনের আধিপত্য মোকাবিলার কৌশল হিসেবে দেখছে।
যুক্তরাষ্ট্রও বুঝিয়ে দিয়েছে চীনকে রুখতে ভারত তাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ওয়াশিংটন বলছে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের এই স্ট্রাটেজিক পার্টনারশিপ অবাধ নৌ-চলাচল, মুক্ত, সমৃদ্ধ ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল তৈরীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ যে চীন ক্রমশই শক্তিশালী হয়ে ওঠার কারণে প্রশান্ত-মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করতে শুরু করেছে। তাদের আধিপত্যকেই পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানাতে ভারতকে কাছে টানছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে যেমন ভারতের প্রতিরক্ষা খাতে অভূতপূর্ব উন্নতির চান্স বাড়ছে, তেমনি চীনকে শায়েস্তা করার রাস্তা পরিষ্কার হচ্ছে। মোদ্দা কথা এক ঢিলে দুই পাখি মারছে ভারতবর্ষ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম