Covid 19 India: চীনে করোনা বিস্ফোরণ, সংক্রমণ রুখতে আগে থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত

।। প্রথম কলকাতা ।।

Covid 19 India: টানা দু’বছর গোটা বিশ্বজুড়ে করোনার (Corona) দাপট চলেছে। তারপর ধীরে ধীরে যখন করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসছে, তখন নতুন করে বেহাল হয়ে পড়েছে চীনের( China) অবস্থা। সারা বিশ্বে উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়ে সংক্রমণের হার বেড়েই চলেছে। ভারত( India) সরকার দেশে করোনা আটকাতে আগে থেকে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করে দিয়েছে। ভারত সমস্ত রাজ্যকে সতর্ক করে একটি বৈঠকের কথা জানিয়েছে।

করোনা রুখতে ভারতের প্রস্তুতি

দু’বছর আগে চীন থেকেই করোনা মহামারীর সূত্রপাত হয়েছিল, যা গোটা বিশ্বকে ঘর বন্দী করে রাখে। পাশাপাশি ছিল একরাশ আতঙ্ক আর ভয়। নতুন করে চীনের করোনার বাড়বাড়ন্ত দেখে ভারত সরকার বসে নেই। চীনের করোনা পরিসংখ্যানে পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য করোনা নিয়ে একটি বৈঠক করবেন। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন চীনে করোনা বিস্ফোরণের কারণে মহামারী ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করবে। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে চীনের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ করোনার কবলে পড়বে। শুধু চীন নয় পাশাপাশি জাপান,দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রাজিল এবং আমেরিকাতেও করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে।

ভারত আপাতত জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের প্রস্তুতি শুরু করেছে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রক সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নতুন কোভিড পজিটিভ রোগীদের নমুনা পাঠাতে বলেছে ইনাসাকগের (INSACOG) পরীক্ষাগারে। এখানে নমুনার সিকোয়েন্স করা হবে। পাশাপাশি যদি করোনার নতুন কোনো ভেরিয়েন্ট আবির্ভূত হয়, তাহলে সহজে ট্র্যাক করা যেতে পারে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কাছে একটি চিঠিতে জানিয়েছেন, এই জাতীয় অনুশীলন সঠিক সময়ে কোরোনার নতুন রূপ গুলি সনাক্ত করতে সাহায্য করবে। এর উপর ভিত্তি করে দ্রুত কেন্দ্রীয় সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে, যার ফলে সহজতর হবে দেশের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা।

বর্তমানে ভারতে করোনা সংক্রমণের হার অনেকটা কম। প্রতি সপ্তাহে প্রায় বারোশো মানুষ করোনা সংক্রমিত হচ্ছেন। বিয়ের বিষয় হল, বিশ্বে এখনো করোনা নিয়ে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৩৫ লক্ষ মানুষ করোনায় সংক্রমিত হচ্ছেন। জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র , কোরিয়া, ব্রাজিল এবং চীনে করোনার আকস্মিক বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের সমস্ত ইতিবাচক কেসের জিনোম সিকোয়েন্সিং করা প্রয়োজন। যাতে সহজে নতুন ভেরিয়েন্ট ট্র্যাক করা যায়।

করোনার কাঁটায় বেহাল চীন

বর্তমানে বিশ্বে প্রতিদিন গড়ে প্রায় পাঁচ লক্ষের বেশি মানুষ করোনায় সংক্রমিত হচ্ছেন। এই পরিসংখ্যানের মধ্যে চীনের অবস্থা বেশ খারাপ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বারংবার দেখা যাচ্ছে চীনে করোনার বিস্ফোরণের ভয়ঙ্কর দৃশ্য। এখানকার হাসপাতালগুলো এখন করোনা সংক্রমিত রুগীতে ভরপুর । ওষুধের দোকানে ব্যাপক ভিড়। জ্বর এবং মাথা ব্যথার জন্য বহু প্রয়োজনীয় ওষুধ চীনের ভাণ্ডারে মজুদ নেই। বেজিংয়ের মর্গ কিংবা শ্মশান গুলিতে ২৪ ঘণ্টা দাহকার্য চলছে। এমনকি শব দাহকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি পর্যন্ত বেঁধে গিয়েছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version