India-Australia: সন্ত্রাস রুখতে তৎপর ভারত ও অস্ট্রেলিয়া! জঙ্গি দমনে কোনো বাছবিচার চলবে না

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

India-Australia: ভারত(India) সফরে এসেছেন অস্ট্রেলিয়ার(Australia) প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজ(Anthony Albanese) । সন্ত্রাস দমনের জন্য ভারতকে বারংবার সরব হতে দেখে হতে দেখা গিয়েছে। এক্ষেত্রে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে বহু দেশ। এবার সেই তালিকায় নতুন করে সংযোজন হল অস্ট্রেলিয়া। সন্ত্রাস দমনে ভারতকে সমর্থন করবেন বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ।

 

শুক্রবার দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে একটি বার্ষিক শীর্ষ বৈঠকের যৌথ বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজ এই বিষয়ে নানান কথা বলেন। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসীরা কোন দেশের জমিকে সন্ত্রাসের কাজে ব্যবহার করতে পারবে না এবং জঙ্গিরা যাতে কোথাও গা ঢাকা দিতে না পারে সেক্ষেত্রে দুই দেশ সুনিশ্চিত ভাবে প্রচেষ্টা চালাবে। পাশাপাশি এই বৈঠকে সন্ত্রাস দমনের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির কথা বলা হয়।

 

ভারতীয় সীমানায় পাকিস্তানি কিংবা চীনা শত্রুরাও ওঁত পেতে রয়েছে। যার কারণে সীমান্তে বারংবার ড্রোনের অনুপ্রবেশ দেখা যায়। ভারত সরকার দেশের গণ্ডি পেরিয়ে অবৈধ প্রবেশ রুখতে যথাযথ ভাবে কড়া নজরদারি বাড়িয়েছে। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞমহল মনে করছে, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে এই সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সন্ত্রাসীদের আর্থিক সাহায্যের ক্ষেত্রে বারংবার আঙুল উঠেছে পাকিস্তানের দিকে। যদিও পাকিস্তান এই ধরনের অভিযোগ স্বীকার করতে নারাজ। ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসীদের কোন দেশের জমিতে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না এবং জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে দুই দেশ ধারাবাহিকভাবে চেষ্টা করবে। পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদের মূল কারণ গুলিকে নিশ্চিহ্ন করার কথাও বলা হয়। এই প্রসঙ্গে উঠে এসেছে মুম্বাই হামলা এবং পাঠানকোট সেনা শিবিরের জঙ্গি হানার প্রসঙ্গ। যৌথ বিবৃতিতে স্পষ্টভাবে বলে দেওয়া হয়েছে, সন্ত্রাস দমনের ক্ষেত্রে কোন বাছবিচার করা হবে না।

 

অপরদিকে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীন নিজের দাপট ধরে রাখতে বারংবার গোপনে শত্রুতা বাড়াচ্ছে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে। চীন যেভাবে সমুদ্রে নিজের আধিপত্য কায়েম করতে চাইছে তা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। এমত পরিস্থিতিতে চীনকে রুখতে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী পারস্পারিক সহযোগিতা আরো দৃঢ় এবং মজবুত করার কথা বলেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের নৌ আধিকারিকদের মধ্যে যোগাযোগ এবং তথ্য আদান প্রদান বাড়ানো হবে।

Exit mobile version