Mint: ভারতের কোন কোন শহরে ছাপানো হয় টাকা? কোথায় কোথায় রয়েছে RBI -র টাকশাল

।। প্রথম কলকাতা ।।

Mint: টাকা ছাড়া আমাদের দিন চলে না। মানিব্যাগে টাকা না থাকলে পথে বেরনোই দায়। টাকা না থাকলে সংসার চলেনা টাকাতেই যেন যত সুখ শান্তি কেনা যায়। আচ্ছা, এতো টাকা কোথায় ছাপা হয় বলুন তো? জানেন কি, ভারতীয় নোটের কোনওটাই কাগজের নয়! তাহলে কি দিয়ে তৈরি হয় নোট? এই যে নোট ছাপার কালি, তা কোথা থেকে আসে জানেন!

টাকা থাকলেই পকেট গরম, নাহলেই সব ঠান্ডা। ভাবুন তো, যদি আপনার একটা টাকার গাছ থাকতো ইচ্ছে মতো নোট কুড়িয়ে নিয়ে বাজারে যেতে পারতেন আপনি। কিংবা ঘরে যদি থাকতো টাকা ছাপানোর মেশিন! কি ভালোই হতো, তাই না? হাতের পর্যাপ্ত টাকা থাকলেই কিনে নিতে পারবেন যেটা ইচ্ছা। শুধু কি তাই, টাকা থাকলে খাওয়া দাওয়া, কেনা কাটা সবেতেই মনের ইচ্ছে মত খরচ করতে পারা যায়। কখনও কি ভেবে দেখেছেন, যে টাকা জীবনের সুখ, তৃপ্তি আনে সেই টাকা কীভাবে এবং কোথায় ছাপানো হয়?

খেয়াল খুশি মতো নয়, এই নোট ছাপা হয় ভারত সরকার এবং রিজার্ভ ব্যাংকের নির্দেশে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তদারকিতে সরকারি প্রিন্টিং প্রেস এই দায়িত্ব নেয়। সারা দেশের মধ্যে এরকম মাত্র ৪টিই ছাপাখানা রয়েছে। চারটি প্রেস রয়েছে নাসিক, দেওয়াস, মহীশূর এবং শালবনীতে। সেখানেই নোট ছাপা হয়। তবে নোট ছাপাবো বললেই হলনা, সেজন্য অনেক ঝক্কি রয়েছে। এই নোটের কালি আনা হয় সুইজারল্যান্ড থেকে। এজন্য বিশেষ ধরণের কালি ব্যবহার করা হয়। শুধু তাই নয়, নোট জাল হওয়া আটকাতে তার বিশেষ নকশা তৈরি করা হয়।এরপর সেই নকশা পাঠানো হয় ছাপাখানাগুলিতে। কোন ধরণের নোট কতগুলি ছাপানো হবে তা আগাম জানিয়ে দেওয়া হয়।

এখন প্রশ্ন, টাকা ছাপা হয় কিসে? বেশিরভাগই বলবেন কাগজে। কিন্তু উত্তরটা একেবারেই সঠিক নয়। ভারতীয় নোট তৈরিতে একশো শতাংশ কটন ব্যবহার করা হয়। চমকে দেওয়ার মতো হলেও এ তথ্য খাঁটি। হালকা, বেশিদিন টেকসই ইত্যাদি কারণের জন্যই ভারত-সহ একাধিক দেশ নোট তৈরির ক্ষেত্রে কটন ব্যবহার করে।তুলোর সঙ্গে মেশানো হয় নিলেন। যার ফলে কাগজের তৈরী নোটের তুলনায় অনেক বেশি শক্ত হয় এই নোটগুলো। জলে ভেজে কম। দ্রুত ছিঁড়েও যায় না। এই নোট ছাপাতে ঠিক কতটা পরিমাণে তুলো, নিলেন ও অন্য জিনিসের প্রয়োজন হয় বা সেই অণুপাত কত তা গোপন রাখে RBI। নোট জাল হওয়া ঠেকাতেই এই গোপনীয়তা।

জেনে রাখুন, আপনার পকেট বা দিনের পর দিন আলমারিতে থাকলেও এই নোট কিন্ত সরকারি সম্পত্তি আপনি ব্যাবহার করতে পারেন। কিন্তু কোনোভাবেই নোট ছিঁড়ে দিতে অথবা পুড়িয়ে ফেলতে পারেন না। সেক্ষেত্রে আপনাকে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী জেলে ঢুকতে হতে পারে। ভারতীয় নোট দেশের অর্থনীতির বুনিয়াদ। তাই এই নোট যদি জাল হতে শুরু করে, সেক্ষেত্রে অর্থনীতি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই নোট ছাপানোর ক্ষেত্রে নানান প্রযুক্তি ও সাবধানতার সাহায্য নেওয়া হয়।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version