।। প্রথম কলকাতা ।।
KMC: নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও পুরসভার জায়গা ছাড়েনি দোকানগুলি। তাই অবশেষে দখলদারদের উচ্ছেদ করতে অভিযানে নামল কলকাতা কর্পোরেশন এবং কলকাতা পুলিশ। শনিবার অভিযান চলল রক্সি বিল্ডিং এর নিচের দোকানগুলিতে। পুরনিগম সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, মোট ১৩ টি দোকানের শাটার নামিয়ে তাতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি তালা গুলিকে সিল পর্যন্ত করে দেওয়া হয়েছে। সিনেমা হলের সামনে এসে উপস্থিত হন লালবাজার বাহিনীসহ কলকাতা কর্পোরেশনের আধিকারিকরা। আর তারপর চলে দখলদার উচ্ছেদের এই কর্মসূচির।
এই রক্সি সিনেমা হলের মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই একটা জটলা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে সমস্যার সমাধানে হাইকোর্টের রায় নেওয়া হয়। সেখানে হাইকোর্ট সিদ্ধান্তে জানায় যে, রক্সি প্রেক্ষাগৃহের মালিকানা রয়েছে কলকাতা পুরনিগমের হাতে। এরপর পুরনিগমের মার্কেট বিভাগ রক্সি সিনেমা হলে নিচে থাকা দোকানগুলিকে অবিলম্বে খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। একটি নোটিশ দিয়ে তাদেরকে সরে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল । সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সাতদিন। কিন্তু তারপরেও দোকানদাররা জায়গা ছাড়েনি। সেপ্টেম্বর মাসে তাদের হাতে গিয়ে নোটিশ পৌঁছায়। অবশেষে বাধ্য হয়ে ডিসেম্বরের ১০ তারিখে পুলিশের সহায়তা নিয়ে সেই দোকানগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, পুরসভার স্পেশাল কমিশনার চিঠি লিখে সাহায্য চান কলকাতা পুলিশের কাছে। আর তারপর শনিবার কলকাতা পুলিশ বাহিনী নিয়ে হাজির হয় দখলদারি উচ্ছেদ করার জন্য। নিউ মার্কেট থানা থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ বাহিনী এসে উপস্থিত হয় ঘটনাস্থলে। শনিবার সকালে অন্যান্য দিনের মতো যখন রক্সি সিনেমা হলে নিজের দোকানগুলি খোলা হয়েছিল। তখনই সেখানে হানা দেয় পুলিশ। দোকানদারদের বের করে শাটার নামিয়ে দেওয়া হয়। দোকানে তালা দিয়ে সিল করে দেওয়া হয়। যদিও এই প্রসঙ্গে দোকানদার থেকে সেখানে কর্মরত কর্মচারীরা কেউ মুখ খুলতে চাননি।
কলকাতা পুরনিগম এর স্পেশাল কমিশনারের নির্দেশ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, অতি দ্রুত পুরসভার সম্পত্তিতে যারা বেআইনি দখল বসিয়ে রেখেছে তাদের সরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হবে। শনিবার সেই সিদ্ধান্তের বাস্তব রূপায়ণ করা হল। এক্ষেত্রে অবশ্য পুলিশ প্রশাসন এবং পুর নিগমের যৌথ উদ্যোগ রয়েছে বলেই খবর।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম