Negative Effects of Plastic Surgery: সঠিক পদ্ধতিতে করান প্লাস্টিক সার্জারি, বিপদ বাড়বে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায়

।। প্রথম কলকাতা ।।

Negative Effects of Plastic Surgery: মানুষ নিজেকে সুন্দর করতে ঝুঁকছে প্লাস্টিক কিংবা কসমেটিক সার্জারির দিকে। প্লাস্টিক সার্জারিতে বেশিরভাগ সময় ব্যবহার করা হয় ইনজেকশন। সাম্প্রতিক সময়ে মানুষের মধ্যে সৌন্দর্য সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সৌন্দর্য চর্চা শুধুমাত্র আর নানা উপকরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। জন্ম থেকে শরীরে থাকা নানা খুঁত কিংবা অঙ্গকে সুন্দর বানাতে মানুষ ছুটে যাচ্ছেন শল্য চিকিৎসকদের কাছে। কিন্তু প্লাস্টিক সার্জারিতে রয়েছে বিপদ। অপারেশন সাকসেসফুল না হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণত চিকিৎসাশাস্ত্র অনুসরণ করে বিভিন্ন ধাপে প্লাস্টিক সার্জারি করা হয়। খুব একটা নেতিবাচক প্রভাব না থাকলেও, যদি সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা না হয় তাহলে বিপদের সম্ভবনা রয়েছে।

প্লাস্টিক সার্জারির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

প্লাস্টিক সার্জারি মূলত একটি ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া। সাধারণত জেনেটিক বা জন্মগত খুঁত দূর করতে অনেকেই এই পন্থা অবলম্বন করে থাকেন। চোখ, ঠোঁট, নাক, স্তন ইত্যাদি শরীরের বিভিন্ন অংশে প্লাস্টিক সার্জারি করা হয়ে থাকে। বর্তমানে প্লাস্টিক সার্জারির গড় খরচ প্রায় ৫ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ বা তার বেশিও হতে পারে। অপারেশনের ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতির একটু এদিক হলেই মুখের চারপাশের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ওষুধের প্রতিক্রিয়া মানব দেহকে প্রভাবিত করে। এমনকি অস্ত্রোপচারের পর অনেক সময় শরীরে দাগ থেকে যায়।

প্লাস্টিক সার্জারি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যাদের মাথায় একদমই চুল নেই বা দিনের পর দিন টাক পড়ে যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে টাক দূর করতে কয়েক ধরনের সার্জারি করা হয়। প্রথমে মাথার ফাঁকা জায়গায় ৩ থেকে ৪ মিমি চুল সহ ত্বক প্রতিস্থাপন করুন। দ্বিতীয়ত, মাথার দুই পাশ থেকে রক্তনালীসহ চুল ও ত্বক মাথার সামনের দিকে নিয়ে আসা হয়। এই সার্জারিতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে অস্ত্রোপচারের পরে সংক্রমণ, দাগ বা অতিরিক্ত রক্তপাতও হতে পারে। মোটা নাক পাতলা করতে, আঁকাবাঁকা নাকের আকৃতি ঠিক করতে, অবদমিত নাককে তীক্ষ্ণ করতে রাইনোপ্লাস্টি করা হয়। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে নাকের ত্বকে লালভাব, ফোলাভাব এবং রক্তপাত হতে পারে। অস্ত্রোপচারের পর ছয় মাস সূর্যালোক এড়িয়ে চলতে হয়। ভ্রু উত্তোলনের অস্ত্রোপচার দুটি উপায়ে করা হয়, বোটক্স (ইনজেকশন দ্বারা) এবং থ্রেড লিফট। এতে বার্ধক্যজনিত কারণে ভ্রু কুঁচকে যাওয়া এবং কপালের ঝুলন্ত চামড়া ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে সংক্রমণ, দাগ এবং সংবেদনশীলতা হারানোর মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

মৃত্যু প্লাস্টিক সার্জারি সর্বনিম্ন সাধারণ ঝুঁকি। অপারেশনের ভুল ফলাফল নিয়ে অনেকে সব থেকে বেশি ভয় থাকেন। যে স্বপ্ন দেখে কোনো ব্যক্তি মুখ পরিবর্তনের জন্য প্লাস্টিক সার্জারি করেন, তেমন চেহারা না পেলে ফলাফল সন্তোষজনক নাও হতে পারে। মোটামুটি প্লাস্টিক সার্জারি করাতে হলে বিশেষজ্ঞদের সঠিক পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক পদ্ধতিতে উন্নত জায়গা থেকে করানো উচিত।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version