শাশুড়িকে হাতে আনবেন কীভাবে ? এই টোটকায় শাশুড়ি গলে জল, উঠতে বসতে ঝগড়া হবে না

।। প্রথম কলকাতা ।।

সামনেই বিয়ে? অনেকেই বলেন শ্বশুরবাড়িতে বরের সাথে নয় আসল বনিবনা করতে হয় শাশুড়ির সাথে, নাহলে অশান্তি। বিয়ের আগে টেনশন হচ্ছে? ভাবছেন কীভাবে শাশুড়িকে নিজের মনের মত করবেন? বিয়ের পর থেকেই জাস্ট কয়েকটা টিপস মানতে হবে আপনাকে। বউমারা এই ৭ টিপস মানলেই শাশুড়ি, আপনাকে ভালোবাসতে বাধ্য। শাশুড়ি-বউমা সম্পর্ক নিয়ে বিয়ের আগে থেকেই টেনশনে থাকেন অনেকেই। হতেই পারে বিয়ের পর কোনো ঘটনায় দোষের পাল্লা আপনার কম। কিন্তু সেটা শাশুড়িকে বোঝাতে অশান্তি নয়। এই কৌশল গুলো মানুন।

সব সময় মনে রাখবেন, আপনি আপনার স্বামীর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ হলেও তিনি তাঁর মা সুতরাং তাঁর সঙ্গে সম্পর্কের প্রতিযোগিতায় নামাটা বোকামি। বিয়ের পর সবার আগে যেটা করবেন শাশুড়িকে সময় দিন। বিয়ের পরই বেশিরভাগ মায়ের মনে হয় যে ছেলে বুঝি এখন বউয়ের, আর মায়ের নেই। তাই বিয়ের পর পরই ঝামেলা এড়াতে প্রথম প্রথম একটু বেশি সময় দিন তাকে। সেটা ঠাকুর ঘরে হোক বা কিচেনে। বর যখন থাকবে না তখন শাশুড়ির সঙ্গে গল্প করুন এতে শাশুড়িরও আপনাকে বুঝতে সহজ হবে। আপনার স্বামীর ওপর আপনার অধিকার সবচেয়ে বেশি। এটা শাশুড়িকে বোঝানোর কোনো দরকার নেই। ছেলে হিসাবে মায়ের অধিকার যেমন রয়েছে স্ত্রী হিসাবে আপনার অধিকারও রয়েছে আপনার বরের ওপর। মনে রাখবেন সব সময় আপনার শাশুড়ি আপনাকে যা যা বলছেন সব সময় আপনাকে তা মেনে চলতে হবে না। একইভাবে আপনার সব কথা শাশুড়িও মেনে চলবেন না এটা বুঝে নিন। কারণ আপনারা দুজনেই আলাদা মানুষ। দুজনের পছন্দ থেকে দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা। ​শাশুড়ি তাঁর মত আপনার উপর চাপিয়ে দেন? তা মেনে নেওয়া মোটেও শান্তিতে থাকার সমাধান নয়। বরং খুব শান্তভাবে প্রতিবাদ করুন। আপনিও যে তাঁর উপর নিজের মত চাপাবেন না সে বিষয়টাও মাথায় রাখুন। দু জনে মিলে কোনও কাজ করলে তার প্রশংসার সিংহ ভাগ শাশুড়িকেই দিন। বয়স হলে মানুষ অভিমানী হয়ে পড়েন। তাই তাঁর ভূমিকা কম থাকলেও তাঁকে প্রশংসা বেশি করছেন দেখলে তিনি খুশিই হবেন।

অনেকেই মনে করেন, শাশুড়িকে ভাল রাখার, খুশি রাখার দায় তাঁর নয়। কিন্তু এই একই ভাবে আপনার ভাইয়ের বউ যদি আপনার মাকে নিয়ে ভাবতেন, তা কি ভাল হত? ননদ থাকলে অনেক সময়ই শাশুড়িরা তাঁর মেয়েকে ছেলের বউয়ের চেয়েও বেশি গুরুত্ব দেন। এই বিষয়টা নিয়ে খুব বেশি অভিমানী হবেন না। ৩০ বছরে আপনার বিয়ে হচ্ছে। হঠাৎ করে একদিন কাওকে মা বলে ডাকা সম্ভব হয় না অনেকেরই। শাশুড়িকে মা বলে ডাকতে অনেকের অসুবিধা হয়। তাহলে কী করবেন? অনেকেই শাশুড়িকে মা বলে ডাকতে চান না সেটা কিন্তু শাশুড়ির মোটেই ভালো লাগে না। তাই নতুন কোনও আদুরে নাম পাতিয়ে নেওয়া সবচেয়ে ভালো। যেমন মামণি বা মামমাম ডাকতে পারেন, তাতে তিনি খুশিই হবেন।

কখনো শ্বশুর বা স্বামী অথবা শ্বশুরবাড়ির অন্য কারও সঙ্গে শাশুড়িকে নিয়ে হাসিঠাট্টায় অংশ নেবেন না। বরং এসব ক্ষেত্রে শাশুড়ির পক্ষ নিন অথবা চুপ করে থাকুন। শাশুড়ির পছন্দের বিষয়, পছন্দের রান্না, শরীর খারাপ হবে খেয়াল রাখা, তাঁর জন্মদিনটা একটু অন্যরকম ভাবে পালন করুন।এগুলো খুব কাজে আসে। আসলে দীর্ঘ দিন সংসার টানতে টানতে তাঁরা খিটখিটে হয়ে পড়েন, সে ভাবে কেউ যত্ন নিচ্ছে দেখলে খুশিই হন। সকলে মিলে গল্প করুন, সময় দিন শাশুড়িকে।তাহলেই মনোমালিন্য আর হবে না।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version