Dementia Home Treatments: হঠাৎ ভুলে যাওয়ার রোগ রয়েছে? অবহেলা নয়, বাড়িতেই করুন চিকিৎসা

।। প্রথম কলকাতা ।।

Dementia Home Treatments: মাথার উপর চশমা রেখে সারা ঘরে চশমা খুঁজছেন। মোবাইল চার্জে দিয়েছেন অথচ মোবাইলের জন্যই চিন্তায় রয়েছেন। ভাবছেন মোবাইলটি হারিয়ে ফেলেছেন। এই ধরনের ভুল কি আপনার প্রায় সময় হয়? সাধারণত বয়স ৫০ পেরোলেই স্মৃতিশক্তি একটু দুর্বল হয়ে যায়। তার পিছনে রয়েছে মানসিক চাপ, ঘুমের অসুবিধা, অপুষ্টি, থাইরয়েড, হরমোন, মদ্যপান, ধূমপান, মানসিক চাপ প্রভৃতি। বেশি বয়সে স্মৃতিভ্রম হওয়া অত্যন্ত সাধারণ ব্যাপার। এই সমস্যায় কম বেশি অনেকেই ভোগেন। যদিও বিষয়টি খুব একটা জটিল নয়। আপনি কিছু ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে পারেন। হেঁসেলেই রয়েছে এমন কিছু খাবার যা স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে। এই খাবারগুলি প্রতিদিনের খাবারের খাদ্য তালিকায় রাখলে ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা একটু হলেও কমবে।

(১) প্রতিদিন ৫ থেকে ১০টি কাঠবাদাম খেতে পারেন। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা স্মৃতিশক্তি এবং মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে। প্রতিদিন রাত্রে ৫ থেকে ১০টি কাঠ বাদাম জলে ভিজিয়ে রাখবেন। পরের দিন সকালে ভালোভাবে খোসা ছাড়িয়ে গুঁড়ো করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ফুটিয়ে খেতে পারেন। মেশাতে পারেন সামান্য চিনি কিংবা মধু। টানা ৩০ থেকে ৪০ দিন এটি খেলে ফল অবশ্যই পাবেন, তবে দুধ কিংবা বাদাম খাওয়ার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া দরকার। কারণ বয়স আর স্বাস্থ্য অনুযায়ী অনেক সময় চিকিৎসকরা বিভিন্ন রোগ ভেদে এই দুটি জিনিস খেতে বারণ করেন।

(২) সবার রান্নাঘরে মোটামুটি মধু এবং দারুচিনি থাকে। দারুচিনি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্রম সচল রাখে। আপনি চাইলে ঘুমের আগে মধু খেয়ে ঘুমাতে পারেন। এর ফলে ঘুমের খুব একটা ব্যাঘাত ঘটবে না। পাশাপাশি মানসিক চাপ কমবে। প্রতিদিন রাতে এক চা চামচ মধুর সঙ্গে এক চিমটি দারুচিমি মিশিয়ে খান। এই উপায়টি টানা কয়েক মাস করার পর ভালো ফল পাবেন।

(৩) মগজের শক্তির জন্য বেছে নিতে হবে সঠিক খাবার। মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করবে তা নির্ভর করে গ্লুকোজের মাত্রার উপর। খেয়াল রাখবেন, শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা যেন হেরফের না হয়। পাশাপাশি নজর দিতে হবে পেটের দিকে। কারণ পরিপাকতন্ত্রে বসবাস করে প্রায় ১৩ ট্রিলিয়নেরও বেশি অনুজীব, যা মস্তিষ্কের সঙ্গে সংযোগ রাখে। তেল চর্বি জাতীয় খাবারকে একেবারে বিদায় করার দরকার নেই। খান পরিমিত পরিমাণে। খাবারের তালিকায় রাখুন বিভিন্ন বাদাম, তেলের বীজ এবং মাছ। খাবার সময় কখনই একা একা খাবেন না। সবার সাথে বসে খাবেন।

(৪)গানের সুরের মাঝেই রয়েছে ম্যাজিক। কারণ মস্তিষ্ক সুরের প্রভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠে। দেখা গিয়েছে অধিকাংশ মানুষ খুব সহজেই সঙ্গীতের সুর স্মৃতিতে ধরে রাখতে পারেন, যা ডিমেনশিয়ার মতো মানসিক অবস্থা রুখে দেয়। অবসর সময়ে গান শুনতে পারেন।

(৫) নতুন কোন কাজ শেখার চেষ্টা করুন। এমন কাজ করা যাবে না যেখানে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পাবে। মানসিক চাপ স্মৃতিশক্তি কমিয়ে দেয়। বন্ধু এবং পরিচিতির জন্য সঙ্গে মেলামেশা করুন। ভিডিও গেমের পরিবর্তে বেছে নিন ব্রেন গেম। বন্ধুদের সঙ্গে দাবা খেলতে পারেন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version