Toothache: দাঁত শিরশির করে ? পেন কিলার না খেয়ে যন্ত্রণা কমান এই উপায়ে

।। প্রথম কলকাতা ।।

Toothache: ঠান্ডা খেলেই আপনার দাঁত শিরশির করে? দাঁতের যন্ত্রণায় রাতে দুচোখের পাতা এক করতে পারছেন না! পেন কিলার খেয়ে আর কতদিন কাটাবেন? অথচ রান্নাঘরের সাধারণ উপকরণ দিয়ে দাঁতের ব্যথা কমাতে পারেন হাতের কাছেই এই ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করলে আরাম পাবেন আপনি। অনেক সময় দাঁতে হয়ে যায় গর্ত। ক্ষয় হতে হতে দাঁতের ভেতর পর্যন্ত গর্ত পৌঁছে যায় তখন ব্যথা শুরু হয়। ঠান্ডা খেলে দাঁত শিরশির শুরু হয়। ব্যথার ওষুধ খেয়ে আর কতদিন সহ্য করবেন বলুন তো? রান্নাঘরে লবঙ্গ তো থাকেই লবঙ্গের মধ্যে রয়েছে দারুণ কিছু ব্যথা কমানোর উপাদান। তাই দাঁতের যন্ত্রণায় লবঙ্গ ব্যবহারে ভীষণ কাজ হয়। এক্ষেত্রে লবঙ্গ তেল ওই ব্যথার জায়গায় লাগাতে পারেন। দেখবেন ফল মিলেছে হাতেনাতে দাঁতের যন্ত্রণা কমাতে চাইলে আপনি দাঁতে লাগাতেই পারেন সরষের তেল শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি এক্ষেত্রে তেলের সঙ্গে সামান্য নুন মেশান।

মুখের ভিতরের যত্ন নেওয়াও জরুরি। তার জন্য পেয়ারা পাতা যে কত কাজের তা আর আলাদা করে বলে দিতে হবে না! দাঁতের যে কোন সমস্যা কমাতে চাইলে পেয়ারাপাতা হতে পারে আপনার অন্যতম হাতিয়ার। এক্ষেত্রে পেয়ারাপাতায় রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি গুণ এছাড়া ব্যথা কমাতেও এই পাতার জুড়ি মেলা ভার। তাই দাঁতে ব্যথা হলে অবশ্যই পেয়ারাপাতা মুখে রাখুন তাহলেই ভালো থাকবেন। যে কোনও ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে কাঁচা রসুন দারুণ কাজ করে তাই দাঁতের ব্যথা কমাতে চাইলেও আপনি রসুন সামান্য কেটে দাঁতে লাগাতে পারেন।দেখবেন দারুণ কাজ হয়েছে। আমার আপনার রান্না ঘরের সাধের আলু হতে পারে আপনার দাঁতের সমস্যায় দারুণ কাজের। আলু কেটে দাঁতে লাগান দেখবেন ম্যাজিকের মতো কাজ করেছে ব্যথাও কমে গিয়েছে অনেক।

আপনি দাঁতের জন্য যে ব্রাশটি ব্যবহার করছেন, তা কত দিনের পুরনো? ব্রাশ খারাপ না হলেও তিন-চার মাস অন্তর, তা বাতিল করুন। প্রত্যেকের দাঁতের গড়ন আলাদা, তাই আপনার মুখের জন্য কোনটি ঠিক সেটা দেখে তবেই ব্রাশ কিনুন।কোনও কিছু খাওয়ার পর প্রতি বার হালকা গরম জলে মুখ ধুলেই ভাল। তবে সব সময় মুখ ধোয়া সম্ভব না হলে, খাওয়ার পর জল খাওয়ার অভ্যাস করুন।

দাঁতের অবস্থা খারাপ হয়, তা হলে ক্ষতিগ্রস্ত দাঁতটি তুলে ফেলুন। কারণ ওই দাঁতটি থেকেই পাশের ভাল দাঁতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই ঘরোয়া টোটকাগুলো কাজ না করলে আপনাকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই জরুরি। তিনিই আপনাকে সঠিক পরামর্শ দিতে পারবেন। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version