Music Therapy: মানসিক শান্তির বড় অভাব ? জীবনকে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে আনবে মিউজিক থেরাপি

।। প্রথম কলকাতা ।।

Music Therapy: আঁটোসাঁটো রুটিনে বাধা জীবনে হাঁফিয়ে ওঠা কোন অস্বাভাবিক বিষয় নয়। রোজ, একঘেঁয়ে কাজ, অফিস কিংবা স্কুল-কলেজ পড়াশোনা ছাত্র জীবনে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা এবং চাকরিজীবী মানুষদের সংসারের দায়িত্ব, নিজের দায়িত্ব এবং আরও কত কী! এরকম পরিস্থিতিতে একটার পর একটা চ্যালেঞ্জ (Challenges) আসতেই থাকে। সকালে দুচোখের পাতা খোলার পর থেকে যে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয় সেটা রাতে ঘুমানোর আগে পর্যন্ত চলে। নানান ধরনের উতারচড়াও পরিস্থিতি রাতের শান্তির ঘুম টুকু পর্যন্ত কেড়ে নেয় অনেক ক্ষেত্রে। আর তা থেকেই সৃষ্টি হয় মানসিক সমস্যা (Mental Problem)।

এর অনেক ধরন হতে পারে। দুশ্চিন্তা অল্প বেশি সকলেই করেন। কিন্তু যারা নিজেদের চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করে নিতে পারেন অথবা তাকে সদর্থক কোনো রাস্তায় নিয়ে যেতে পারেন তাদের আলাদা করে এই নিয়ে ভাবার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু যারা দুশ্চিন্তায় ডুবে গিয়ে অবসাদ, উৎকণ্ঠা, হিস্টিরিয়া, অকারণ ভয়ের মতো সমস্যা আগলে ধরেন তাদের সচেতন হওয়া জরুরী। অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা, অবসাদ কোনভাবেই মানসিক শান্তি (Mental Peace) ফিরিয়ে আনতে পারেনা। বরং এতে হিতে বিপরীত হয়। সেই সময় একমাত্র প্রয়োজন নিজের মাথা থেকে বাড়তি চাপ সরিয়ে দেওয়ার। নিজেকে একটু সময় দেওয়ার এবং নিজেকে খুশি রাখার। আর এর জন্য সাহায্য নেওয়া যেতে পারে মিউজিক থেরাপির (Music Therapy)।

* কী এই মিউজিক থেরাপি ?

শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গেলে মানসিক স্বাস্থ্য (Mental Health) ভালো রাখাও ভীষণ প্রয়োজন । আর মানসিক স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করার জন্য ভীষণ প্রচলিত একটি চিকিৎসা পদ্ধতি হল মিউজিক থেরাপি। মিউজিক (Music) কথাটা শুনে শুধুমাত্র গান শোনা কিংবা গান গাওয়াকে ভেবে নিলে কিন্তু চলবে না। এই মিউজিক থেরাপিতে বিভিন্ন ধরনের ভাইব্রেশনের সিরিজ ব্যবহার করে থাকেন চিকিৎসকরা। ওই সিরিজ এক ধরনের শব্দ তৈরি করে। সেই শব্দ বা কম্পন যখন শরীরে প্রবেশ করে তখন থেকেই ধীরে ধীরে রিলাক্স হতে থাকে শরীর-মন । এর পাশাপাশি পছন্দের গান শোনা, নিজে গান গাওয়া, যেকোনো ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজানো এইগুলিও অভ্যাসে রাখা যেতে পারে।

আমাদের মন খারাপ, ডিপ্রেশন, উৎকণ্ঠা, অকারণে ভয় লাগার অন্যতম একটি কারণ হল নির্দিষ্ট কিছু হরমোনের অভাব। মানুষ যখন অতিরিক্ত উৎসাহিত কিংবা খুশি হন তখন তাদের শরীরে একটি ভালো হরমোন নিঃসৃত হয় । যা মন ভালো রাখে এবং দুশ্চিন্তা দূর করে। কিন্তু অতিরিক্ত চিন্তাভাবনায় সেই হরমোন ক্ষরণ বন্ধ হয়ে যায়। পুনরায় মন ভালো করার জন্য সেই হরমোন ক্ষরণ শুরু হয় মিউজিক থেরাপির মাধ্যমে। এই সমস্যা থেকে অবশ্যই বেরিয়ে আসা সম্ভব। কিন্তু তাতে নিজেকে কিছুটা সময় দিতে হয় এবং চিকিৎসা পদ্ধতির উপরেও আস্থা রাখতে হয়।

* কী করলে প্রয়োজন হবে না মিউজিক থেরাপির ?

ভারতে এখনও পর্যন্ত মানসিক সমস্যা নিয়ে তেমন খোলামেলা আলোচনা হয় না। শারীরিক সমস্যায় ডাক্তার দেখানো অবশ্যই উচিত, এটা সকলেই মনে করেন। কিন্তু মানসিক সমস্যা অনেকেই আড়াল করে রাখতে চান। চিকিৎসকদের কাছ থেকে নিজেদের দূরে রাখতে চান। এতে ক্ষতি ছাড়া ভালো কিছুই হয় না কিন্তু প্রথম পর্যায়ে নিজেকে অবসাদ থেকে মুক্ত করার পথ নিজের হাতেই থাকে। এই মিউজিক থেরাপিকে নিজের মতো করে কাজে লাগান। নিজের পছন্দের গান শুনুন অন্য কোন কাজ করার সময়। শান্তি খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন কোন গানের মাধ্যমে অথবা কোন সুরের মাধ্যমে। এই কাজটি যদি নিজে করতে পারেন তাহলেই দেখবেন অর্ধেক সমস্যার সেখানেই সমাধান হয়ে গিয়েছে। একদিকে শরীর যেমন ভালো থাকছে তেমনই ভালো থাকছে মন। দুশ্চিন্তার বেড়াজাল টপকে ততক্ষণে নতুন কিছু নিয়ে ভাবনা চিন্তা করার আগ্রহ তৈরি হয়ে গিয়েছে আপনার মধ্যে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version