Sea Food Side Effects: সমুদ্রে গিয়ে কাঁকড়া – মাছ ভাজা খাচ্ছেন ? প্রাণ যেতে পারে যখন তখন! কী হতে পারে জানেন ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Sea Food Side Effects: সমুদ্রে বেড়াতে গেলেই লাল লাল কাঁকড়া আর মাছ ভাজা খাচ্ছেন? সে দিঘা হোক পুরী কিংবা মন্দারমনি লোভে পড়ে অনেকেই খান। কিন্তু জানেন কি? সাধের কাঁকড়া কাড়তে পারে আপনার প্রাণ। তাহলে কি আর সমুদ্রের ধারে বসে কাঁকড়া, মাছ খাওয়া যাবে না? সমুদ্রের জলে মিশছে পারদ। সামুদ্রিক কাঁকড়া ,অক্টোপাস,মাছ আদৌ স্বাস্থ্যকর তো? স্যাকে বসে সামুদ্রিক মাছ ভাজা, কাঁকড়া খাওয়ার একটা আলাদাই আনন্দ তো? সমুদ্রের ঢেউ গুনতে গুনতে উল্লাস। কিন্তু এই বেশি আনন্দ করতে গিয়ে বিষ খাচ্ছেন না তো?

এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে সামুদ্রিক মাছ পুষ্টিতে ভরপুর হয় কিন্তু এই বর্ষায় সমুদ্রের মাছ, কাঁকড়াই গন্ডগোল ঘটাতে পারে আপনার পেটে। এমনকী বাড়াবাড়ি হলে প্রাণ যেতে পারে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিশেষজ্ঞদের দাবি , বর্ষায় জলের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। বৃষ্টির জলের সাথে নোংরা ময়লা সহ ক্ষতিকারক জিনিস মেশে সমুদ্রে। তাই এই সময় অত্যাধিক মাছ কাঁকড়া ভাজা খেলে পেটে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকতে পারে। বর্ষার জলে মেশে পারদের মতো বিষাক্ত ধাতু পারদের সংস্পর্শে যে যে মাছ বা প্রাণী আসে তাদের মধ্যে নানান সংক্রমণের সমস্যা দেখা দেয়। পারদ সংক্রমণ বেশি দেখা যায় টুনা। তরয়াল আর হাঙর প্রজাতির মাছের মধ্যে এই ধরনের মাছ বেশি পরিমাণে খেলে স্মৃতিশক্তি লোপ, মেজাজ খিটখিটে হওয়া ক্লান্তি সহ নানা উপসর্গ দেখা দেখা দিতে পারে।

বর্ষাকালে এই সময় পরজীবীর সংখ্যা বেড়ে যায় যার জেরে বহু মাছ সংক্রমণিত হয়। তাই সামুদ্রিক মাছ কাঁকড়া বেশি খেলে পেটে ব্যথা ডায়রিয়া, বমির মত সমস্যা হতে পারে। আর একটা বড় সমস্যা, অ্যালার্জি কাঁকড়া খেয়ে কিন্তু কখনো মৃত্যু হয় না। কাঁকড়া থেকে বিষক্রিয়াও হয় না। আসলে যাদের শরীরে ভীষণ অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের সামুদ্রিক কাঁকড়া আর মাছ না খাওয়াই উচিত আপনার যে যে সামুদ্রিক মাছে কিংবা কাঁকড়ায় অ্যালার্জি রয়েছে সেইসব থেকে একটু দূরে থাকুন। বৃষ্টির জলে নানা জায়গা থেকে নোংরা, ধুলো-ময়লা সমুদ্রে এসে মেশে। তাই মাছ যতই টাটকা হোক না কেন, তা খেলে পেটের রোগ হতে বাধ্য।

এখন ভাবছেন নিশ্চই সমুদ্রের ধারে যাবেন, অথচ মাছ কাঁকড়া খাবেন না, এমনটা আবার হয় নাকি? অবশ্যই খেতে পারেন। তবে একটু সাবধানে। খেয়াল রাখবেন যে মাছ কাঁকড়া ভাজা খাচ্ছে সেটা যেন একদম টাটকা হয়। সেটি যেন খুব ভালোভাবে উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করা হয়। তাহলে খাবারের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু সংক্রমণের ভয় থাকবে না।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version