ট্রেনে উঠে সব অভিযোগ এদের কাছে, অসহায় মানুষগুলো জীবন কেমন জানেন ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

আচ্ছা দাদা এসিটা একটু কম করা যাবে? মাংস তো ছেঁড়াই যাচ্ছে না, ভাতটা একেবারে ঠাণ্ডা, একটা বালিশ কম পড়েছে এদিকে দূরপাল্লার ট্রেনে নিশ্চিন্তে আপনি ট্রেনে যাতায়াত করতে পারেন এদের জন্যই। সব অভিযোগ আমরা করে থাকি তাদের কাছে। আপনার সমস্ত সমস্যা অভিযোগ মুখ বুজে শোনেন এরাই। প্রত্যেকদিন কলকাতা থেকে দিল্লি বা দিল্লি থেকে কলকাতা, কখনও আবার অনান্য স্টেশন সকাল থেকে রাত ট্রেনেই কাটে জীবন। ট্রেনে রাতে খাওয়ার পর্ব হয়ে গেলে আমরা তো প্রায় সবাই শুয়ে পড়ি! কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন তাদের রাতটা কীভাবে কাটে? এই ছবিটা দেখলেই হয়তো কিছুটা আন্দাজ করতে পারবেন। কারোর বাড়ি বাঁকুড়া, কারোর মুর্শিদাবাদ। কিন্তু বাড়ি থাকলে কী হবে! প্রত্যেকদিন এক ট্রেনে এক স্টেশন থেকে আরেক স্টেশন গন্তব্য। স্টেশনেই খাওয়া ঘুম। আপনার সব রাগ মুখ বুজো সহ্য করে এরা। কিন্তু ট্রেনে তাদের জীবন কেমন কাটে জানেন?

এই ছবিটিই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল যার সত্যতা যাচাই করেনি প্রথম কলকাতা। ছবিতে ট্রেনটি শিয়ালদহ রাজধানী এক্সপ্রেসের। খাবার খেয়ে যখন ট্রেনে লাইট অফ করে শান্তিতে যাত্রীরা ঘুম দেয়। আমরা তো প্রায় সবাই শুয়ে পড়ি কিন্তু এই স্টাফদের শোয়ার জায়গাটাও নেই। রাতের দিকে তেমন কাজ থাকে না। সারাদিনের ক্লান্তিতে চোখে ঘুম নেমে আসে কিন্তু এই অ্যাটেনডেন্টদের জন্য আলাদা শোয়ার কোনও ব্যবস্থা থাকে না। তাই মাটিতে এভাবেই শুতে হয়। আবার ভোর হলেই ব্রেকফাস্টের ব্যবস্থা করা। ছুটি বলতে একবেলা, তখন বাড়িতে যাওয়া আবার কখনও একটানা ডিউটি সেরে দুদিনের ছুটি কিন্তু এদের জীবনের বেশিরভাগটা কেটে যায় রোজকার যাত্রীদের সাথেই।

এই স্টাফদের তো প্রথম থেকে শেষ অব্দি ট্রেনে থাকতে হয়। আমরা অভাব অভিযোগ জানালেও তাদের কিছু করার থাকে কী ?অনেক ট্রেনেই এখন আইআরসিটিসির নিজস্ব কর্মী থাকে না। অনান্য বেসরকারি সংস্থাকে কনট্র্যাক্ট দেওয়া থাকে। এরা বেশিরভাগই পারমানেন্ট স্টাফ নয় । বেতন বেশি পান না। তবুও প্রতিদিনের যাত্রীদের অপমান শুনে যেতে হয়। এদের খেয়াল রাখে না কেউ।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version