Earthquake in Jammu and Kashmir: শুক্রবার ভোরে কেঁপে উঠল জম্মু-কাশ্মীর! বিশ্বজুড়ে অব্যাহত

।। প্রথম কলকাতা ।।

Earthquake in Jammu and Kashmir: শুক্রবার ভোর বেলায় আচমকা কেঁপে উঠল ভূস্বর্গ। আতঙ্কিত হয়ে এলাকাবাসী বাইরে বেরিয়ে আসেন। সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠলেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভূমিকম্পের (Earthquake) ঘটনার কথা উঠে আসছে। সেই তালিকায় রয়েছে ভারতও (India)। আসাম, গুজরাট, সিকিমের পর আবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir)। বৈশ্বিক মানচিত্রের দিকে তাকালে দেখা যাবে, গতকাল ফিলিপাইনে ভূমিকম্প হয়েছে। তার আগের দিন ভূমিকম্প হয়েছে নিউজিল্যান্ডে। এখনো পর্যন্ত তুরস্ক আর সিরিয়ার ভূমিকম্পের ক্ষত দগদগে। উদ্ধারকার্য অব্যাহত মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছাতে পারে প্রায় ৫০ হাজারের কাছে। ভূমিকম্পের নাম শুনলেই এখন আতঙ্কিত গোটা বিশ্ব।

শুক্রবার ভোরবেলা হঠাৎ করেই জম্মু-কাশ্মীর কেঁপে ওঠে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির (National Centre for Seismology) তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৬। ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার ভোর পাঁচটা এক মিনিট নাগাদ। জম্মু ও কাশ্মীরের কাটরা (Katra) থেকে ৯৭ কিলোমিটার পূর্বে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল। এই ঘটনায় প্রাণহানি বা কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনো পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পের উৎস স্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে। প্রশাসনের তরফ থেকে পুরো এলাকা পরিদর্শন করা হবে। ১৩ই ফেব্রুয়ারি ঠিক একই ভাবে ভোরে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল সিকিম। যার কেন্দ্রস্থল ছিল সিকিমের ইয়োকসাম। কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৩। ঠিক তার আগের রবিবার অসমে ভূমিকম্প হয়, কম্পনের মাত্রা ছিল ৪। তার আগে শনিবার ৪.২ মাত্রার কম্পনে কেঁপে উঠেছিল লাদাখের কারগিল থেকে প্রায় ৩৪৩ কিলোমিটার দূরে থাকা উত্তরাঞ্চল। ঠিক একইভাবে তার আগের শুক্রবার মাঝ রাতে ৩.৮ মাত্রায় কেঁপে ওঠে গুজরাটের সুরাট। এক মাসের মধ্যে ভারতের বহু এলাকা ভূকম্পে কেঁপে উঠেছে। ভূমিকম্পগুলির ফলে সেভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোন খবর পাওয়া যায়নি।

ভূমিকম্পের জেরে তুরস্ক আর সিরিয়া এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত। ইতিমধ্যেই মৃত্যু সংখ্যা পেরিয়েছে প্রায় ৪৩ হাজারের বেশি। জাতিসংঘ আশঙ্কা করছে এই সংখ্যা পৌঁছাবে প্রায় ৫০ হাজারে। ভূমিকম্পের রেশ কাটতে না কাটতেই আবার তুরস্কের মাটি ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। ভারতীয় সময় রাত ১টা ১০ মিনিট নাগাদ তুরস্কে ভূমিকম্প হয়। কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.১। যদিও এরফলে তুরস্কের নতুন করে ক্ষতি হওয়ার কিছুই নেই। কারণ ৬ই ফেব্রুয়ারি ভোররাতে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে যেভাবে তুরস্ক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, সেই ক্ষতি সামাল দিতে হিমশিম তুরস্ক সরকার। সেদিনের ভূমিকম্পের পর থেকে লাগাতার একের পর এক কম্পনের মুখে পড়ছে তুরস্ক।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version