।। প্রথম কলকাতা ।।
New Parliament Building: নতুন পার্লামেন্ট ভবন কি চত্রুবূহ্য! শত্রুরা একবার ঢুকলে বের হতে পারবে না। কোনও ধরণের অ্যাটাক হওয়ার আগেই কী পাওয়া যাবে টের? কতটা উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নতুন সংসদ ভবনে? কেন এই ভবন গোলাকার না করে ত্রিভুজের মতো করা হল ধাপে ধাপে রহস্য না জানলে মিস করবেন। গণেশ চতুর্থীর শুভ দিনে পুরোনোর যাত্রা শেষ নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে নতুনের শুরু। ২০০১ সালের পার্লামেন্ট হামলা তার থেকেই সবক শিখে ভারতের নতুন সংসদ ভবনকে সাজানো হল। স্টেপ বাই স্টেপ টাইট সিকিউরিটিতে। অ্যাটাক হওয়ার আগে থেকেই কী পাওয়া যাবে টের? কোনও হামলা হলে কী কী ব্যাকআপ থাকছে? ভবন গোলাকার না হয়ে ত্রিভুজের মতো হল বলেই কি সুবিধা? সূত্র বলছে নতুন এই ভবন তৈরির আগে দেশ-বিদেশের নানান উন্নত লেভেলের নিরাপত্তা প্রযুক্তি ঘেঁটে তারপরই এ ভবন তৈরি হয়।
আজ তো নতুন পার্লামেন্টের যাত্রা শুরু হল তাহলে পুরোনো ভবনটার কী হবে? সংসদে ভবনের চতুর্দিকে থাকছে ৩৬০ অ্যাঙ্গেলের সিসিটিভি ক্যামেরা। পার্লামেন্টে রয়েছে ছ’টি প্রবেশদ্বার। গজ দ্বার, অশ্ব দ্বার, গরুড় দ্বার, মকর দ্বার, শার্দুল দ্বার এবং হংস দ্বার। এছাড়া ভিআইপি, সাংসদ ও অতিথিদের জন্য আলাদা প্রবেশপথের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেকটা দ্বারেই থাকছে কড়া নিরাপত্তা। ত্রিভুজাকৃতির চার তলা বিল্ডিং যা ৬৪,৫০০ বর্গ মিটার জুড়ে বিস্তৃত। সাইবার সুরক্ষা থেকে ডিজিটাল সুরক্ষা সবেতেই থাকছে একের পর এক চমক। তৈরি করা হয়েছে নতুন এক আইকার্ড। এই সংসদ ভবনে প্রবেশ করতে হলে যেতে হবে এক থার্মাল মেশিনের মধ্য দিকে তাতেই স্ক্যান হয়ে যাবে ব্যক্তি আপাদমস্তর পুরো তথ্য বা ডেটা।
লক্ষ্য করে দেখবেন পুরনো সংসদ ভবন আকৃতিতে বৃত্তাকার কিন্তু নতুন সংসদ ভবনটি ত্রিভূজাকার এর নেপথ্যে আসল কারণটা কী? এক্ষেত্রেও কি জড়িয়ে রয়েছে সুরক্ষার কোনও ফ্যাক্টর? নতুন লোকসভা হলে মোট আসনের সংখ্যা ৮৮৮, নতুন সংসদের নিম্নকক্ষের নকশা ভারতের জাতীয় পাখি ময়ূরের থিমের উপর তৈরি করা হয়েছে। পিটিআই-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী নতুন সংসদ ভবনের স্থপতি বিমল প্যাটেল জানিয়েছেন এর আকৃতি বৈদিক সংস্কৃতি ও তন্ত্রশাস্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। একটি ত্রিভূজাকার প্লটের তিনটি অংশ লোকসভা, রাজ্যসভা এবং কেন্দ্রীয় লাউঞ্চ। ত্রিভূজাকার আকৃতি দেশের বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতিতে পবিত্র জ্যামিতির প্রতীক শ্রীয়ন্ত আকৃতিতে ত্রিভূজাকার। তিন দেবতা ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরও ত্রিভূজের প্রতীক।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন এবার থেকে পুরোনো সংসদ ভবনকে সংবিধান ভবন নামে ডাকা হবে। সরকারি সূত্র বলছে, পুরনো সংসদ ভবন ভাঙা হবে না সংসদীয় কর্মসূচির কথা মাথায় রেখে কার্যক্ষম স্থান আরও বাড়ানো হবে। সূত্র বলছে ঐতিহাসিক স্থাপনাটি সংরক্ষণ করা হবে। কারণ এটি দেশের একটি প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ” তবে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আর কোন কোনও কৌশল ব্যবহার হয়েছে সেটা যে ফাঁস করা হবে না সেটাই স্বাভাবিক।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম