আধার বাদ! বার্থ সার্টিফিকেট না থাকলে কোন বিপদে পড়তে পারেন ? ১ লা অক্টোবর থেকেই

।। প্রথম কলকাতা ।।

আধার নয়, বার্থ সার্টিফিকেটই এখন থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট আপনার জন্য। না থাকলে বহু সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন আপনি। বড় ঘোষণা কেন্দ্রীয় সরকারের। আপনি কী খবরটা মিস করে গিয়েছেন এবার কি তাহলে আধার একেবারে অকেজো হয়ে গেল? মা – বাবাদের আমলে অনেকেরই বার্থ সার্টিফিকেট নেই আপনার হাতে সময় ভীষণ কম। ১ অক্টোবর থেকে বার্থ সার্টিফিকেট নিয়ে নতুন নিয়ম চালু হতে চলেছে। এখনও না জেনে থাকলে সবটা জানুন। দেশ যেমন বদলাচ্ছে তেমনই বদলাচ্ছে দেশের নিয়মকানুনও। আর এবার বার্থ সার্টিফিকেটের নিয়মেও এসে গেল বড় পরিবর্তন। আধার নয়। কোন কোন ক্ষেত্রে জন্মের শংসাপত্র মাস্ট হয়ে গেলো বিস্তারিত জানুন।

এবার থেকে যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য জন্মপত্র লাগবেই। যে কোনও সরকারি ক্ষেত্রেই এই নথী লাগবেই ভোটার তালিকা তৈরি থেকে শুরু করে আধার কার্ডের আবেদন। স্কুল-কলেজে ভর্তি সব ক্ষেত্রেই বার্থ সার্টিফিকেট লাগবেই। সরকারি চাকরি বা পাবলিক সেক্টরের নানা ক্ষেত্রে এমনকী পাসপোর্ট তৈরিতেও বিয়ের রেজিস্ট্রি করতে গেলেও একই পদ্ধতি। গত বাদল অধিবেশনেই নরেন্দ্র মোদীর সরকার বিলটি পাশ করিয়েছিল। এবার কার্যকর হতে চলেছে সেই আইনই। এই সংশোধনীর ফলে ভারতীয়দের জন্ম-মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য সরকারের হাতে আরও নিখুঁত ভাবে থাকবে‌। যার ফলে স্বচ্ছতা আসবে সরকারি সুযোগ সুবিধা ক্ষেত্রেও।

কার জন্ম স্থান কোথায়, তার প্রামাণ্য নথি হিসাবেও এবার থেকে জন্ম শংসাপত্রকেই ব্যবহার করা যাবে৷ ফলে স্কুলে ভর্তি, সরকারি চাকরির নিয়োগের ক্ষেত্রেও জটিলতা অনেক কমবে। এমনটাই মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। ১ অক্টোবর থেকে বার্থ সার্টিফিকেটের গুরুত্ব বাড়ছে আধার কার্ডের মতোই, জন্ম সার্টিফিকেটটিও হবে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি। কারণ এখন থেকে এটিই হবে আপনার প্রধান প্রমাণপত্র। এবার আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে অনেকেরই তো বার্থ সার্টিফিকেট থাকে না। এমন অনেক প্রবীণ রয়েছেন যাদের মাধ্যমিকের এডমিট কার্ড দিয়েই কাজ চলে গিয়েছে এত বছর। এবার পয়লা অক্টোবর থেকে তাহলে কোন কোন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন তারা?

যেকোনো সরকারি কাজের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন পাসপোর্ট করাতে চাইলেও সমস্যায় পড়বেন আপনি সাধারণত সদ্যোজাতের জন্মের ১৫-২১ দিনের মধ্যে সংগ্রহ করতে হয় বার্থ সার্টিফিকেট। এই শংসাপত্র সংগ্রহ করা যায় শহরের মিউনিসিপ্যালিটি বা কর্পোরেশন থেকে। গ্রাম অঞ্চলের ক্ষেত্রে, পঞ্চায়েত থেকে এই সার্টিফিকেট সংগ্রহের সুযোগ রয়েছে। তবে বার্থ সার্টিফিকেট পেতে, সর্বনিম্ন ফি হিসাবে ২০ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি সরকারকে দিতে হয়। তাই শিশুর জন্মের পর অবশ্যই বর্থ সার্টিফিকেট সংগ্রহ করবেন। না হলে ভবিষ্যতে বিপদে পড়বে আপনার ছেলে মেয়েও।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version