গিরগিটির মতো রূপ পাল্টাবে ড্রোন! চীনে ঢুকবে রুস্টার, ভারতীয় সেনার কী ভীষণ মাস্টারস্ট্রোক

।। প্রথম কলকাতা ।।

চীনের ঘরের গুপ্ত খবর অনায়াসে ভারতে। গিরগিটির মতো আড়ালে আবডালে ঘুরে বেড়াবে নতুন অস্ত্র সেনার নর্দান কমান্ডের হাতে তুলে দেওয়া হল রুস্টার ড্রোন। সেটা আবার কী? ড্রোন নাকি জলজ্যান্ত রোবট ধরতে পারা যাবে না। কোনও ফাঁকা এলাকায় নয় হয় জঙ্গলে নয় সারি সারি বহুতলের মাঝেই। আড়ি পাতবে আর সব খবর তুলে আনবে ভারতের নয়া অস্ত্র। ড্রোন হামলা রুখতে নতুন হাতিয়ার হিসেবে বাজ পাখিকে ট্রেনিং দিয়েছে ভারতীয় সেনা। কিন্তু রুস্টার ড্রোন একবার শত্রুদেশে ঢুকলে কারোর ক্ষমতা নেই একে ধরার। কারণ গিরগিটির মতোই রূপ বদলে ফেলে এই ড্রোন। কখন ড্রোন তো কখনও ছোট একটা রোবট। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট বলছে এবার এই রুস্টার ড্রোনই তুলে দেওয়ার হল ভারতীয় সেনার নর্দান কামান্ডারের হাতে। কি কাজে আসবে এই ড্রোন?

সাধারণত এধরণের দেখতে হয় না কোনও ড্রোন
তবে মনুষ্যবিহীন এই যুদ্ধবিমানের সামনে দুপাশে দুটো চাকা কেন? তথ্য বলছে হায়দরাবাদে ফার্ম ব্রেন সার্ভিস, ভারতীয় সেনা ও রাষ্ট্রীয় রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোলাবরেশনে তৈরি করা হয়েছে। সম্পূর্ণ দেশীয় ভারতের রুস্টার ড্রোন। ড্রোন তৈরির ইনসপিরিসন নেওয়া হয়েছে স্থলে বসে থাকা পাখিদের, যা মুভমেন্ট হয় সেখান থেকে জানা যাচ্ছে এই ড্রোন শুধু উড়বে না। একে শত্রুপক্ষ তাক করলে ওই দুই চাকার সাহায্যে মাটিতে গড়িয়েও যেতে পারে রুস্টার ড্রোন। মাটিতে পা ফেললেই রোবটের মতো আচরণ করবে এই ড্রোন। উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন যে ক্যামেরা এতে লাগানো রয়েছে তাতে কোন এলাকার টপ ভিউ জানলার ওপারে কী চলছে মানে কোনও রুমের ভিতরের ছবি সবটাই ক্যাপচার করতে ক্ষমতা রয়েছে। ২০২২ সালে ভারতীয় সেনায় যোগ হয়েছিল সোয়ার্মিং ড্রোন। শত্রুপক্ষের যেকোনও গতিবিধিকে চিহ্নিত করে তাদের ঘিরে ফেলতে পারবে এই ড্রোন বাহিনী। তারপর শুরু হবে ঝাঁকে ঝাঁকে অ্যাটাক।

রুস্টার ড্রোন কিন্তু সেধরণের নয় কর্ণেল কনভলজিত সিং যিনি বর্তমানে স্কুল অব ইন্টালনাল সিকিউরিটির ডিরেক্টর তিনি জানাচ্ছেন, ৪০০ মি রেঞ্জের এই তিনটে ড্রোনকে কন্ট্রোল করা সম্ভব কোনও একজনের পক্ষেই। ভারতীয় সেনার একটা গোটা টিম অলরেডি প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়ে গিয়েছে। ঠিক কীভাবে হ্যান্ডেল করতে হবে এই ড্রোনকে ক্রিটিক্যাল ইন্টালিজেন্স, শহরাঞ্চল, ঘন জঙ্গল, এবং দুর্গম পাহাড় এলাকাতে চরম পারফরমেন্স দেখাতে পারবে রুস্টার। তেমনই ভাবেই এর সফটওয়ার, হার্ডওয়ার তৈরি করা হয়েছে। ড্রোনে চরম সাফল্য পাচ্ছে ভারতীয় সেনা। পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চীন সেনার গতিবিধি নিখুত ভাবে নজর রাখতে ক্ষিপ্র গতি, অথচ বিশ্বের সবচেয়ে হালকা ড্রোন অলরেডি রয়েছে ভারতীয় সেনার হাতে। এবার রুস্টার ড্রোন পাকাপাকিভাবে কাজ করা শুরু করলে চীন নাকি পাকিস্তান কোন শত্রুঘাঁটিতে পাঠানো হয় সেটাই দেখার।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version