Bullying : আপনার বাচ্চা কি স্কুলে যাওয়ার সময় কান্নাকাটি করে? এই কাজগুলো করে দেখুন

।।প্রথম কলকাতা।।

Bullying: অনেক ছেলে মেয়েরাই সকালবেলা উঠে কান্নাকাটি চিৎকার করে স্কুলে যেতে আপত্তি জানায়‌। আদর করে বুঝিয়ে বা জোর করে যদিও বা স্কুলে পাঠানো হয় তারপর স্কুল থেকে আসতে থাকে নানান ধরনের অভিযোগ। এক্ষেত্রে বকা ঝকা করা বা জোর করে স্কুলে পাঠানো কিন্তু সমাধানের পথ নয়। বরং বুঝতে হবে সন্তান কেন স্কুলে যেতে চাইছে না।

পরিবারে চেনা গন্ডি ছেড়ে স্কুলে নতুন পরিবেশে যাওয়ার সময় বাচ্চারা ভয় পেতে পারে। তাই বাচ্চার সামনে স্কুল সম্পর্কে সব সময় একটা ইতিবাচক দিক তুলে ধরুন। সন্তানকে বোঝাতে চেষ্টা করুন স্কুল মানে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে যাওয়ার জায়গা যেখানে সে অনেক কিছু শিখতে পারবে। সন্তানের বয়স আড়াই থেকে তিন হলেই বাড়ির কাছাকাছি কোনো প্লে স্কুলে ভর্তি করে দিন। ছোটবেলা থেকে স্কুলের অভ্যাস তৈরি হয়ে গেলে বড় স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর মানিয়ে নিতে অনেক সুবিধা হবে।

আপনি যদি চান আপনার সন্তান আপনাকে সব কিছু বলুক তাহলে আপনি তাকে নিরাপদ বোধ করান। তার মনে হওয়া উচিত যে সে তার সমস্যাগুলি আপনার সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারে। আপনার সঙ্গে আলোচনা করার জন্য তার উন্মুক্ত হওয়া উচিত। তার বোঝা উচিত যে আপনি তার কথা শুনবেন এবং তার সমস্যাকে উপেক্ষা করবেন না।

আপনার সন্তানের যদি কয়েকদিন ধরে হতাশা গ্রাস করতে শুরু করে বা স্কুলে যাওয়ার সময় মন খারাপ হতে শুরু করে তাহলে তার আবেগ এবং এই পরিবর্তনকে উপেক্ষা করবেন না। তাকে কি বিরক্ত করছে তা জানতে তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করুন। তাকে সমাধানের কথা না বলে তার দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার চেষ্টা করুন। অনেক সময় সমাধান শোনার পর শিশুটি অনুভব করতে থাকে যে তাকে উপদেশ দিয়ে সবাই চলে যায় কিন্তু কেউ তার মনের কষ্ট বুঝতে পারে না। দরকার পড়লে আপনি ক্লাসের পরিবেশ সম্পর্কে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলুন। তাতে জিজ্ঞাসা করুন কোন বাচ্চাকে ক্লাসে সাইড লাইন করা হচ্ছে এবং এর জন্য স্কুলের পক্ষ থেকে কি কি পদক্ষেপ নেবে তাও আপনার জানা জরুরী। এটি আপনার কাজকে অনেক সহজ করে দিতে পারে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version