Scaling Myth: স্কেলিং করলেই দাঁতের ক্ষতি হয়? কোনটা সত্যি জেনে নিন আজই

।। প্রথম কলকাতা ।।

Scaling Myth: হাসির সৌন্দর্যের আকর্ষণীয়তা বৃদ্ধি করে সুস্থ দাঁত। সুন্দর হাসি দিয়ে মন জয় করা যায়। সুন্দর হাসি না হওয়ার কয়েকটি কারণের মধ্যে অন্যতম হলো ঠিকমতো দাঁত পরিষ্কার না করা বা ঠিক সময় স্কেলিং না করা। বিশেষ করে দাগ টেনিং করা নিয়ে অনেকেই সঠিক নিয়ম জানেন না কিংবা বিষয়টি হেলায় ফেলায় দেখেন। একটা সময় পর এই পরিনাম ভোগ করতে হয়। দাঁতের পাথর দূর করার জন্য স্কেলিং করা হয়। অন্য কথা বলতে গেলে দাঁত পরিষ্কার করতে গেলে স্কেলিং করার প্রয়োজন পড়ে। অনেকে ভাবেন স্কেলিং করতে দাঁত আলাদা হয়ে যায় বা দাঁতের ক্ষতি হয়। কত দিন অন্তর দাঁতের স্কেলিং করানো উচিত? অনেকেরই ধারণা, ঘনঘন স্কেলিং করালে দাঁতের এনামেল ক্ষয়ে যায়। এ কথা কি ঠিক? কত দিন অন্তর স্কেলিং করানো উচিত তাহলে? কী বলছেন চিকিৎসকেরা?

দন্ত চিকিৎসকরা  বলছেন, স্কেলিং এর প্রয়োজনীয়তা নির্ভর করে একজন মানুষের লালার উপর। কারোর লালা ভারী কারোর লালা পাতলা। স্কেলিংয়ে দাঁতের মোটেই কোনও ক্ষতি হয় না। বরং লাভই হয়। ‘দাঁতের ফাঁকে ময়লা জমে। যাকে দাঁতের পাথর বলা হয়। এগুলি জমে থাকলেই দাঁতের ক্ষতি হয়। পরিষ্কার করে দিলে কোনও ক্ষতি হয় না। দাঁতের এনামেলের উপর স্কেলিংয়ের কি আদৌ কোনও প্রভাব পড়ে? চিকিৎসকেরা বলছেন, দাঁতের পাথর সাফ করতে আল্ট্রাসনিক যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। দাঁতের এনামেলের স্তরে তার প্রভাব পড়ে না।

আপনারা বলবেন তা হলে অনেকের এমন ধারণা কেন? পাথর পরিষ্কার হয়ে গেলে, দাঁতের ভিতরটা খালি লাগে। সেই কারণে কারও কারও অস্বস্তি হয়। ভয়ও পান অনেকে। সেটাই এমন ভুল ধারণা ছড়ানোর জন্য দায়ী। স্কেলিং করালে কি দাঁতের ক্ষতি হয়? কত দিন অন্তর এই স্কেলিং করানো উচিত? চিকিৎসকেরা বলছেন, বছরে এক বার করাতেই হবে। তার পরেও খাদ্যাভ্যাস, দাঁত মাজার অভ্যাস, কোনও নেশা করেন কি না— তার উপর নির্ভর করে কত দিন অন্তর স্কেলিং করাতে হবে। যেমন যাঁরা প্রচুর পানমশলা খান, তাঁদের আরও ঘনঘন স্কেলিং করাতে হয়।

শিশুদেরও কি স্কেলিং করাতে হতে পারে?

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে চিকিৎসা করা বলেছেন ‘অবশ্যই পারে। এবং এটাও মনে রাখা উচিত, এই স্কেলিং শিশুদের জন্যও সম্পূর্ণ নিরাপদ। তথ্য চিকিৎসকরা বলছেন মুখকে তো দেহের প্রবেশপথ বলা হয়ে থাকে। প্রথম দিকে আমরা বিষয়গুলো খুব গুরুত্ব দিই না। আমাদের যদি মুখের স্বাস্থ্য ভালো না থাকে ব্যাকটেরিয়া যখন আক্রমণ করে তখন হার্টের সমস্যা তৈরি করে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version