বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের ডিটো ? একের পর এক বিমান গায়েব মাঝ আকাশে! মধ্যপ্রাচ্যে রহস্যের মায়াজাল

।। প্রথম কলকাতা ।।

ডিটো বারমুডা ট্রায়াঙ্গল? মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে ঘনাচ্ছে কোন রহস্যের মায়াজাল? ভারতের একের পর এক বিমান কি এই পয়েন্টেই হারিয়ে যাচ্ছে? সত্যিই কি এখানে কোন সুপারন্যাচারাল পাওয়ার কাজ করছে? টেনশন বাড়ছে। মাঝ আকাশে কি ঘটছে বিমানগুলোর সাথে? ভারত ভাঙবে এই মিস্ট্রি। বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল এ কি ঘটে সেটা আপনারা জানেন। কিন্তু সেই একই ঘটনা এবার মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে? কোন অদৃশ্য চক্রব্যূহে হারিয়ে যাচ্ছে ভারতের বিমানগুলো? এ এক আশ্চর্য রহস্য কিন্তু ফ্যাক্টটা জানতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে ওড়ার সময় অনেক ক্ষেত্রেই জিপিএস সিগন্যাল হারিয়ে ফেলছে ভারতীয় বিমানগুলো। গত দু মাস ধরে অভিযোগ আসছে, ভারতীয় যাত্রীবাহী বিমানগুলিকে এই ধরনের অভিজ্ঞতার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।

পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। ক্রমাগত ঘটে চলা এই ধরনের ঘটনার ফলে যে কোনও সময় যে কোনও বিমান বড় দুর্ঘটনার মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এটাকে বড় ‘নিরাপত্তা-বিপত্তি’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। DGCA মানে Directorate General of Civil Aviation ডিজিসিএ এই ধরনের বিপদের প্রকৃতি এবং কীভাবে এর মোকাবিলা করতে হবে সেই সম্পর্কে সতর্ক করেছে উড়ান সংস্থাগুলোকে। ভারতের সমস্ত উড়ান সংস্থাগুলোর কাছে একটা নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। সত্যিই কি সেকেন্ড বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে? ডিজিসিএ-র নোটিশে বলা হয়েছে, বিশেষ জিপিএস সিগন্যাল স্পুফিং ওৎগ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম জিএনএসএস এ জ্যামিং সমস্যা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আগে জানতে হবে স্পুফিং ব্যাপারটা ঠিক কী? মধ্যপ্রাচ্যের কোনও কোনও অংশ দিয়ে যাওয়ার সময় বিমানগুলো বিশেষ জিপিএস সংকেত পায়।য়এগুলো আসলে ‘প্রতারণা’-জিপিএস সিগন্যাল। যেটাকে বলা যায় একটা বড়সড় ট্র্যাপ।

বিমান চালককে বিভ্রান্ত করার লক্ষ্য থাকে যে সিগন্যালগুলোর। তাঁকে বোঝাতে থাকে, তিনি নিজের কাঙ্ক্ষিত যাত্রাপথ থেকে বহু দূরে রয়েছেন। যার ফলে অরিজিনাল জিপিএস সিগনাল থেকে হারিয়ে যায় বিমানগুলো। এই পুরো পরিস্থিতির জন্য বিমান চলাচল অনিশ্চয়তায় ভুগছে। যখন তখন বিপদের মুখে পড়তে পারে ভারতীয় বিমানগুলি। ফলে আগাম সতর্কতা হিসাবে নেভিগেশন সিস্টেমের জ্যামিং মোকাবিলা করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করার আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে একটি নেটওয়ার্ক কমিটি তৈরির কথাও বলা হয়েছে। এর কাছেই কি সেই ভয়ানক চক্রব্যূহ?

সেপ্টেম্বর থেকেই বিশেষত, ইরানের কাছাকাছি বেশ কয়েকটি বিমানের নেভিগেশন সিস্টেম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে! ইরানের কাছাকাছি একটি বিমান স্পুফিংয়ের কবলেও পড়েছিল। ফলে বিনা অনুমতিতে ইরানের আকাশসীমায় ঢুকে যায় সেটি। এরপরই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্র। ভারত সরকার এখন পুরো বিষয়টার দিকে কড়া নজর রাখছে। এই ধরনের ঘটনা কেন ঘটছে, জ্যামিং ও স্পুফিংয়ের পিছনে কে রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ডিজিসিএ। এরপরেও সমস্ত দিক থেকে আঁটঘাট বেঁধে বিমানগুলোকে পাঠানোর পরেও মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে কি ঘটবে সেদিকেই নজর গোটা ভারতের।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version