Didir Doot: ময়দানে নামছে ‘দিদির দূত’, বুধবার থেকেই শুরু নয়া কর্মসূচি

।। প্রথম কলকাতা ।।

Didir Doot: জনসাধারণের সুবিধার জন্য রাজ্য সরকার দুয়ারে সরকারের সূচনা করেছিল। আর এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আরও এক নতুন কর্মসূচি নিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে যেতে চলেছেন দিদির দূতরা (Didir Doot)। ১১ জানুয়ারি অর্থাৎ আজ থেকে শুরু হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশিত কর্মসূচি। প্রত্যেকটি জেলার একেবারে গ্রামাঞ্চলগুলিতে গিয়ে সেখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন দিদির দূতরা। রাত কাটাবেন দলীয় কর্মীর বাড়িতে। মধ্যাহ্নভোজ এবং নৈশভোজের আয়োজন করা হবে ওই গ্রামেই।

মূলত রাজ্য সরকারের যে ১৫ টি জনকল্যাণমুখী প্রকল্প রয়েছে সেগুলি থেকে আদৌ সাধারণ মানুষ পাচ্ছেন কিনা, যদি পেয়ে থাকেন তাহলে কতটা সুবিধা ভোগ করছেন তাঁরা, আর যদি না পান তাহলে কেন পাননি? এই সমস্ত বিষয়ে খতিয়ে দেখবেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিকে নির্দিষ্ট রুট ম্যাপ দেওয়া হয়েছে। নেতারা কোন এলাকাগুলিতে যাবেন, এলাকায় পৌঁছে তাঁরা কী করবেন এবং পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে সমস্ত কিছু পূর্ব পরিকল্পিত।

জানা গিয়েছে, সাংসদ, বিধায়ক, জেলা সভাপতি, জেলা পরিষদের সদস্য এবং দলীয় পদাধিকারীরা কোন দিন কোন গ্রামে গিয়ে পৌঁছবেন তার একটি নির্দিষ্ট তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ওই দিনের সফরে সর্বপ্রথম নির্দিষ্ট এলাকার কোন ধর্মীয় স্থানে যাবেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা (Trinamool Congress Leaders)। তারপর পরিদর্শন করবেন পঞ্চায়েত অফিস এবং সরকারি হাসপাতাল । পরবর্তীতে স্থানীয় কোন গ্রামবাসী অথবা দল কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন তাঁরা। এরপর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তাঁরা জনসাধারণের সব অভাব অভিযোগ শুনবেন ধৈর্য্য ধরে। দিনের দ্বিতীয় ধাপে অবশ্য জনসংযোগ বা সভা করতে হবে নেতাদের।

রাতেও তাদের জন্য গ্রামেই নৈশভোজের আয়োজন করা হবে। তবে তাতে এলাহি কোন ব্যবস্থা করা যাবে না। দিদির দূত কর্মসূচি নিয়ে দলের তরফ থেকে একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তার মধ্যে স্পষ্ট জানানো হয়েছে বড় গাড়ির কনভয় নিয়ে গ্রামে প্রবেশ নয়। বরং সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এবং সমস্যার সমাধান করাই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২ জানুয়ারি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নজরুল মঞ্চের একটি সভায় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ (Didir Suraksha Kavach) কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিলেন । রাজ্যের ২ কোটি পরিবারের ১০ কোটি মানুষের কাছে কীভাবে পৌঁছে যাওয়া যাবে তার উত্তর হল এই ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির অন্তর্গত ‘দিদির দূতরা’। মঙ্গলবার ভবানীপুর বিধানসভার ‘দিদি সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির সূচনা করেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version