হাসিনা দুর্বল করলে ক্ষতি! দিল্লির সেকেন্ড ওয়ার্নিং যুক্তরাষ্ট্রকে, জামাত ফুঁসছে

।। প্রথম কলকাতা ।।

আমেরিকাকে সেকেন্ড ওয়ার্নিং বাংলাদেশ নিয়ে দিল ভারত। জো বাইডেন-শেখ হাসিনা মুখোমুখি হবেন ভারতের মাটিতে। ভারতের কীভাবে ক্ষতি বাংলাদেশে হাসিনা সরকার দুর্বল হলে? জামাত-বিএনপি জোট কী এখনও তলায় তলায়? যুক্তরাষ্ট্র উড়িয়ে দিতে পারবে না দিল্লির এই বার্তা কারণ ফ্যাক্ট বলছে এটাই সত্যি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি জেনে বুঝেই ঝামেলা তৈরি করছে? ভারত বলছে সাবধান যা করছেন করার আগে দুবার ভাবুন। ৩ সপ্তাহ হাতে সময় তারপর যেন এমন কোনও ঘটনা না ঘটে। বিশেষ করে ভারতের মাটিতে যাতে চটে যায় বাংলাদেশ সরকার দিল্লি এই খেয়ালটা রাখছে দিল্লি চেষ্টাও করবে।

বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে বাড়াবাড়ি না করার সেকেন্ড ওয়ার্নিংটা দিয়েই দিল ভারত দেওয়াটা এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে অতি জরুরী। কিন্তু বাংলাদেশের নির্বাচনে হাসিনার ক্ষমতা খর্ব হলে তাতে ভারতের চিন্তা কেন? ভারতের নির্বাচন নিয়েও কী আওয়ামী লিগ উঠেপড়ে লাগবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন উদ্বেগ এখানে রাজনৈতিক নয় উদ্বেগ কৌশলগত অবস্থান উদ্বেগ কূটনীতির। ভারত কি তাহলে বিশ্বাস করে বিএনপি-জামাত জোট ওপর ওপর ভেঙে গেলেও তলায় তলায় আছে? জামাতকে নিয়ে বড়সড় বার্তা উঠে আসছে ্ভাববেন না বিজেপি সভাপতি নাড্ডার সঙ্গে আওয়ামী লিগের একচোট বৈঠক হল বলেই ভারতের এমন বার্তা। ্সেই বৈঠক না হলেও ভারত এটাই চাইত বলছেন কূটনীতিবিদরা।

আনন্দবাজার পত্রিকার রিপোর্ট বলছে সাউথ ব্লক মনে করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল জামাতে ইসলামিকে ‘রাজনৈতিক ছাড়’ দেওয়া হলে অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা পুরোপুরি মৌলবাদের দখলে চলে যাবে। এখন উদার পরিবেশ যেটুকু রয়েছে তা-ও আর থাকবে না। আর সেটা ভারতের জন্য অবশ্যই হবে অ্যালার্মিং পরিস্থিতি। ভারত জানে আমেরিকা জামাতকে বরাবর রাজনৈতিক ইসলামিক সংগঠন হিসাবেই দেখানোর চেষ্টা করে কিন্তু জামাত যে উগ্র মৌলবাদি সংগঠন তা নিয়ে কোনও সন্দেহ দিল্লির অ্যাটলিস্ট নেই। ঠিক ৩ সপ্তাহ পরই ভারতে মুখোমুখি হবেন জো বাইডেন- শেখ হাসিনা। তখনই একটা হেস্তনেস্ত করতে পারে ভারত।‌ যুক্তরাষ্ট্র যেন সেই পরিস্থিতি তৈরি করতেই উঠেপড়ে লেগেছে। ওয়াশিংটনের মতো ভারতও চায় বাংলাদেশের নির্বাচন সুস্থ ও শান্তিতে হোক
কিন্তু সেখানে হাসিনার সরকার দুর্বল হলে সমস্যা রয়েছে বলে মনে করে ভারত।

প্রথমত চীনকে এসুযোগ তুলতে কোনওমতেই দেবে না দিল্লি। ভারতের সঙ্গে দীর্ঘতম স্থলসীমান্ত রয়েছে বাংলাদেশের ফলে সে দেশের যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতি ভারতেও প্রভাব ফেলে। আমেরিকার আরেকটা বোকামিকে প্রশয় দিয়ে দক্ষিণ এশিয়াকে মৌলবাদের ্ফ্যাক্টরি হতেও দিতে চায় না দিল্লি। এভাবেই তো ভারতের উত্তরপূর্ব সীমান্ত অঞ্চল এখন বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে কারণ আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছিল। সূত্রের মতে, নয়াদিল্লি এ কথাই বাইডেন প্রশাসনকে জানিয়েছে যে জামাতকে আস্কারা দিলে এক দিকে যেমন ভারতের আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস বাড়তে পারে তেমনই চীনের প্রভাব বাংলাদেশের অনেকটাই বেড়ে যাবে। যা ওয়াশিংটনও কোনওভাবেই আদতে চায় না। ভারতের একের পর এক ওয়ার্নিং যুক্তরাষ্ট্র কি শুনবে? না শুনলে অন্য পথও বাঁছা হতে পারে অনুমান করছে কূটনীতিবিদরা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version