Ovarian Cyst Problem: বেশিরভাগ মেয়েদের ওভারিতে সিস্ট, সন্তান ধারণে অসুবিধা! লক্ষণ দেখে এখনই সাবধান হন

।। প্রথম কলকাতা ।।

Ovarian Cyst Problem: সাম্প্রতিক সময়ে মেয়েদের অন্যতম শারীরিক সমস্যা হল ওভারিয়ান সিস্ট (Ovarian Cyst)। যার কারণে শরীরে বাসা বাঁধে নানান জটিল রোগ। সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে অসুবিধা দেখা দেয়। প্রথম থেকেই যদি ওভারিয়ান সিস্টকে (Ovarian Cyst) নিয়ন্ত্রণ করা না যায় পরবর্তীকালে অপারেশনের প্রয়োজন পড়ে। সিস্ট আকারে বড় হলেই সমস্যা। অনিয়মিত পিরিয়ড, হরমোনের সমস্যা, অল্প বয়সে ঋতুস্রাব শুরু, শরীরে অতিরিক্ত মেদ, দেরিতে সন্তান ধারণ, অনিয়মিত সেক্স লাইফ প্রভৃতির কারণে ওভারিতে সিস্ট হতে পারে।

ওভারিতে সিস্ট হলে প্রথম দিকে বোঝা যায় না। কিন্তু দ্রুত চিকিৎসা শুরু হলে তা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। প্রাথমিক পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ থাকে রোগীর হাতে। সিস্টের অন্যতম কারণ ইস্ট্রোজেন হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া। যখনই এই হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায় তখন ওভারিতে সিস্ট জমতে থাকে। তাই প্রথমে খেয়াল রাখতে হবে কিভাবে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা ঠিক রাখবেন। অনেক সময় দীর্ঘদিন প্লাস্টিকের বোতল থেকে জল খেলে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে এই হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। প্লাস্টিক বোতলের জল একেবারেই এড়িয়ে চলুন। হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখতে খাবারের তালিকায় রাখুন অর্গানিক মিট আর ডেয়ারি প্রোডাক্ট।

ওভারিয়ান সিস্টের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মেদ অন্যতম শত্রু। তাই চেষ্টা করুন অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলার। খাবারের তালিকা থেকে শর্করা জাতীয় খাবারের পরিমাণ একটু কমিয়ে দিন। তার পরিবর্তে বেশি পরিমাণে রাখুন প্রোটিন জাতীয় খাবার। সারাদিনের ডায়েটে ঘন ঘন অল্প পরিমানে খান। সেক্ষেত্রে ওটস, ছাতু, বিভিন্ন ফল খেতে পারেন। এছাড়াও সম পরিমাণে খেতে হবে মাছ, মাংস, ডিম, সয়াবিন আর সবুজ শাকসবজি। কারণ এক্ষেত্রে হরমোনের ব্যালেন্স ঠিক রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান। প্রতিদিন সকালে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট এক্সারসাইজ করার চেষ্টা করুন। খুব অসুবিধা হলে এই সময়ে হাঁটতে পারেন।

ওভারিতে অনেক রকমের সিস্ট হয়। যার মধ্যে বহু সিস্ট বিপ্পজনক নয়। আবার কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসা না হলে ভবিষ্যতে এর থেকে ক্যানসার তৈরি হতে পারে। ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে সিস্টের লক্ষণ খুব একটা বোঝা যায় না। মূলত সোনোগ্রাফি করে দেখা হয়। যখন সিস্ট খুব বড় হয় তখন পেট ফুলতে থাকে। সিস্টের আকার ৫ সেমি কম হলে ওষুধ দিয়ে চিকিৎসকরা গলানোর চেষ্টা করেন। যদি তা ৫ সেমির বড় হয়ে যায় সেক্ষেত্রে অপারেশন করা হয়। পলিস্টিটিক ওভারি সিস্ট প্রেগনেন্সিতে নানান সমস্যা তৈরি করে। এমনকি বন্ধ্যাত্বও দেখা দিতে পারে।

লক্ষণ

ভারিয়ান সিস্ট এর কিছু লক্ষণ রয়েছে

এই লক্ষণ গুলি দেখা দিলে বিন্দুমাত্র দেরি না করে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নিন। ওভারিয়ান সিস্ট পরবর্তীকালে সন্তান ধারণের সময় নানান অসুবিধা তৈরি করে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version