ভারতের মিশাইলে চীনের জাহাজ ধ্বংস ! ইন্ডিয়ান নেভির মাস্টারস্ট্রোক, জ্যামারও হবে ফেল

।। প্রথম কলকাতা ।।

কপ্টার থেকে মিশাইল ছুঁড়ে চীনের জাহাজ ধ্বংস! ইন্ডিয়ান নেভি নয়া ব্রহ্মাস্ত্র নামিয়ে দিল সাগরে। ফেল হয়ে গেল বেজিংয়ের অত্যাধুনিক জ্যামার। ডিআরডিও যা বানিয়ে ফেলেছে সেটা অবিশ্বাস্য। ভারত কোথায় এমন হামলা করল চীনের ওপর? পাল্টা বেজিং ফুঁসছে নাকি পিএলএর নৌবাহিনীর শক্তি কতটা ভারত হারে হারে জানে, এবার কি যুদ্ধে লেগে যেতে পারে যখন তখন। যুদ্ধে যাতে না লাগে আর চীনের চালাকি যাতে মুহ তোড় জবাব দেওয়া যায় এবার তারই বড় প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে ইন্ডিয়ান নেভি। সিকিং ৪২বি হেলিকপ্টার থেকে প্রথমবার ছোড়া হল। একেবারে দেশিয় প্রযুক্তিতে তৈরি জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। এর মানে হেলিকপ্টার থেকে শত্রুর জাহাজকে তাক করে এই মিশাইল ছুড়লে কারোর ক্ষমতা নেই একে আটকাবে। ভারতীয় নেভি টেস্ট করল এনএএসএম-এসআর (NASM-SR) বা নাভাল অ্যান্টি-শিপ মিসাইল-শর্ট রেঞ্জ। আর এই একটা অ্যাকশনেই সাবধান ভারতের শত্রুরা। মাত্র ৮ সেকেন্ডের একটা তাতে একে সাধারণ মিশাইল মনে হলেও এর এফেক্ট জানলে অবাক হবেন।

ভারতীয় নৌসেনার এই মিশাইলকে প্রতিরক্ষা মহল বলছে গেমচেঞ্জার কিন্তু কেন? খেলা বদলে দেওয়ার মতো এমন কি গুণ আছে এতে? NASM-SR মিসাইলের পাল্লা ৫৫ কিলোমিটার। এর মানে ৫৫ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তু পর্যন্ত আঘাত করতে পারে। গতি মাক ০.৮ অর্থাত্‍, আলোর গতিবেগের ০.৮ গুণ বেশি। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ইনফ্রা-রেড ইমেজিং প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে জ্যামার ব্যবহার করেও এই মিসাইল প্রতিরোধ করা যায় না। প্রাথমিকভাবে হেলিকপ্টার থেকে ছোড়ার জন্য তৈরি করা হলেও সহজেই মিসাইলটি জাহাজ এবং স্থলযান থেকেও ছোড়া যায়। এর মানে সাগরের বুকে ভারতকে এবার হুমকি দিতে গেলে চীন-পাকিস্তানকে ভাবতে হবে দুবার। তবে আগে কি ভারতের কাছে এমন কোনও অস্ত্র ছিল না?
কত খরচ পড়ল এই নয়া অস্ত্র তৈরি করতে? প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন অবশ্যই ছিল কিন্তু তার এফেক্ট ছিল কম। ১৯৮০ সাল থেকেই সমুদ্র-ঈগল জাহাজ বিধ্বংসী মিসাইল ব্যবহার করে ভারতীয় নৌসেনা। নৌসেনার ওয়েস্টল্যান্ড সি কিং এমকে৪২বি মাল্টিপারপাস কপ্টারগুলি থেকে এই মিসাইল ছোড়া হয়। তবে এবার সমুদ্র-ঈগল মিসাইলগুলির জায়গাই নিতে চলেছে এনএএসএম-এসআর। পাল্লা কম, টেকঅফের ওজন বেশি এই রকম বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল সমুদ্র-ঈগল মিসাইলগুলির। এবার NASM-SR মিসাইলগুলি সেই ফারাকগুলি ভরাট করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সঙ্গে তারা এটাও বলছেন ভারতের হাতে ৫,০০০ কিলোমিটার পাল্লার পরমাণু অস্ত্র বহনযোগ্য। ‘ভূমি থেকে ভূমি’ ক্ষেপণাস্ত্র থাকলেও শত্রুপক্ষের বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজের মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নেই। ডিআরডিও প্রস্তাবিত নয়া ক্ষেপণাস্ত্র সেই চাহিদা পূরণ করতে পারে বলে মনে ্ক রছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ২০১৮ সালে তত্‍কালীন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ এনএএসএম-এসআর তৈরির প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। এর জন্য, ৪৩৪.০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় সংক্রান্ত কমিটি (ডিএসি) সবুজ সংকেত মিললেই ক্ষেপণাস্ত্রের বাণিজ্যিক নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version