চীন নামছে ভারত উঠছে! চমকে দেওয়া তথ্য মার্কিন রিপোর্টে? রিয়ালিট চেক হবে

।। প্রথম কলকাতা ।।

চীনের বুকে বড় ধাক্কা! অর্থনীতিতে টপকে গেল ভারত। মোদীর তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির ঘোষণা মিলে যাবে আর কয়েকমাসে। আমেরিকা বাড়ে তুলছে দিল্লিকে নাকি সত্যি এটাই গোপন বাস্তব! চীন এত সহজে নিজের জায়গা ছেড়ে দেবে? এটাও কি সম্ভব আমেরিকার থিঙ্ক ট্যাঙ্কদের বড় কোম্পানি ‘মর্গ্যান স্ট্যানলি’র ভবিষ্যতবাণী ভারত নতুন কিক পেল এবার। ২০২৪ সালে মোদী ক্ষমতায় এলে যা করে দেখানোর কথা বলছেন সেটা সম্ভব হবে ১০০ গুণ এখনই ইঙ্গিত দিয়ে দিল মার্কিন সংস্থা। ভারত বর্তমানে ৩.৭৫ ট্রিলিয়নের অর্থনীতি। এই সংখ্যা হু হু করে বাড়বে পূর্বাভাস এমনই। চীনকে ঠিক কোথায় টেক্কা দেওয়া যাচ্ছে? চীন কি দেখতে পাচ্ছে না ভারতের এগোনোর গতি? নাকি বেজিংয়ের মোরাল ডাউনের জন্য ভারতকে ওপরে তুলে সঠিক সময়ে মই কেড়ে নেবে আমেরিকা? শুধু রিপোর্টে কি বলা হচ্ছে সেটা দেখলেই হবে না এর সঙ্গে বাস্তবের মিল কতটা সেটাও জানা দরকার।

২০২০ সালে ব্রিটেনের অর্থনীতি সমীক্ষা সংস্থা ‘সেন্টার ফর ইকনমিক্স অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ’ (CEBR) দাবি করেছিল ভারতীয় অর্থনীতির ব্রিটেনকে টপকে যেতে আর ৫ বছর সময় লাগবে। এবার কার্যত চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট মার্কিন সংস্থার। আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতীয় অর্থনীতির চেহারা ঠিটি কি, বহুলাংশে বাড়িয়ে বলা হচ্ছে? এমনটা কিন্তু মনে করেন বহু অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আমেরিকার প্রখ্যাত আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা ‘মর্গ্যান স্ট্যানলি’-র সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানানো হয় আর্থিক উন্নয়নের গতিতে চিনকে টপকে গেল মোদীর দেশ। তথ্য কিছুটা এরকম আর্থিক বৃদ্ধির নিরিখে ভারত ‘ইক্যুয়াল ওয়েট’ (সমান ওজন) থেকে উন্নীত হয়েছে ‘ওভারওয়েট’ (বেশি ওজন) স্তরে। সেক্ষেত্রে চীনে আর্থিক মন্দার নেতিবাচক প্রভাব আরও বাড়বে বলে দাবি সংস্থা। সেখানে শি জিনপিংয়ের দেশকে নামানো হয়েছে ‘ইক্যুয়াল ওয়েট’ স্তরে।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, ওভারঅল ভারতীয় অর্থনীতির উন্নতি হচ্ছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে আন্তর্জাতিক স্তরে এখনও প্রচুর কিছু ডেভলপ করা দরকার। ২০২২ সালে সৌদি আরবের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৭ শতাংশ। তার পরের স্থানটিতেই ছিল ভিয়েতনাম। সেখানে বৃদ্ধির হার ছিল ৮ শতাংশ। ২০২৩ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে ফিলিপিন্স ৬.৪ শতাংশ বৃদ্ধির হার অর্জন করে ভারতকে অতিক্রম করে যায়। আয়তনের দিক থেকে এই সব দেশের অর্থনীতি ভারতের চেয়ে অনেকটাই ছোটো। পশ্চিম গোলার্ধে পণ্য রফতানির নিরিখে দেখলে ভিয়েতনাম এই মুহূর্তে চিনের প্রায় সমপরিমাণ বস্ত্র আমেরিকায় সরবরাহ করে। আবার অন্য দিকে, উঠতি খেলোয়াড় হিসেবে ভারত যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এবং অন্যদের তুলনায় বাজার হিসেবেও তার আয়তন বড়।

সেইসঙ্গে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, একসময় আমেরিকান ডলারের নিরিখে ভারতীয় টাকার দর হু হু করে পড়ছিল। সেক্ষেত্রে দেখলে এখন অনেকটাই স্থিতিশীল রয়েছে ভারতের মুদ্রা বরং আন্তর্জাতিক স্তরে এক প্রাণপ্রতিষ্ঠার স্ট্রাগল প্রতিমূহুর্তেই চলছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে টানাপড়েনের আবহেও ভারতে জিডিপি বৃদ্ধির হার ধারাবাহিক ভাবে ৬.২ শতাংশের উপরে থাকার ঘটনাকে ‘আশাব্যঞ্জক’ বলা হয়েছে ‘মর্গ্যান স্ট্যানলি’-র রিপোর্টে। প্রসঙ্গত, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.২ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। এই ইতিবাচক দিকটাকে অস্বীকার করা যায় না। এটাও সত্যি চীনের অর্থনীতিকে টপকাতে গেলে ভারতের আরও অনেক বেশি সময় দরকার এখন? সেই পথ ধরেই এগিয়ে চলছে ভারত।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version