ভারতের নামবদলে বড় ক্ষতির মুখে চীন! দিল্লি-র চমকে অন্ধ হচ্ছে বেজিং

।। প্রথম কলকাতা ।।

ভারতের নাম বদলালে চীনের বড় ক্ষতি! রে রে করে তেড়ে আসছে বেজিং। গ্লোবাল টাইমসে কার্যত দিল্লিকে তুলোধনা। ভারতের নাম জ্বলজ্বল করলে জিনপিংয়ের সমস্যা। একটা নাম বদলালে এমন কোথায় এগিয়ে যাবে ভারত? ভারত বা ইন্ডিয়া নাম যাই হোক না কেন একটা দেশ তাদের নাম নিয়ে যা কিছু ভাবুক না কেন তাতে চীনের অসুবিধা কোথায়? শি জিনপিংকে কী সব ব্যাপারে কথা বলতেই হবে। ভারতের নাম পরিবর্তন হলেই পাকিস্তান চায় ইন্ডিয়ার নাম চীন কি সরকারী বিবৃতি জারি করে কোনও বয়ান দিল?

না সেটা তারা করেনি আর করবেও না এটা বেশ স্বাভাবিক ব্যাপার বলছেন কূটনীতিবিদরা। কিন্তু গ্লোবাল টাইমস চীনের সরকারী মুখপত্র সেখানে কার্যত ভারতকে নিয়ে ভারতের নাম বদলের চিন্তাভাবনাকে নিয়ে কটাক্ষ করা হল বিশেষজ্ঞদের দাবি অন্য দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে ঢোকা বরাবরই চায়নার স্বভাব। এবার তার অন্যথা কীভাবে হয় বেজিংয়ের দাবি নামবদল ছাড়াও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে নজর দিক ভারতবর্ষ। গ্লোবাল টাইমসে প্রতিবেদন প্রকাশের পাশাপাশি টুইটারে এই নিয়ে একটি দীর্ঘ পোস্ট করে The Global Times, সেখানে চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে। “এটা ইন্ডিয়া না ভারত? কোনও দেশের জি২০ সভাপতিত্ব অর্থনৈতিক সংস্কারে দৃঢ় পদক্ষেপের জন্য হওয়া উচিত। যাতে করে আরও বেশি করে দরজা খুলে যায়। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আকর্ষণ বোধ করেন। এগুলি সব নামবদলের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

এর পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও নয়াদিল্লিকে একগুচ্ছে পরামর্শ দিয়েছে গ্লোবাল টাইমস। এক্ষেত্রে অনেকেরই দাবি, গুরুত্বের কথা উঠলে এবার জি২০তে উপস্থিত থাকাটাও তো চীনা প্রেসিডেন্টের জন্য মারাত্মক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেটা কি তিনি করেছেন আদৌ? ভারতকে কী এবার শিখতে হবে চীনের থেকে কোনটা ইমপরটেন্ট আর কোনটা নয়? চীন ভারতকে সেখাবে বিদেশি বিনিয়োগকে কীভাবে দেশে টানতে হবে? যদিও বা বেজিংয়ের তরফ তেকেঅফিসিয়াল কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। কিন্তু আনঅফিসিয়ালি হলেও ভারতকে নিয়ে উদ্বেগে বেজিং।বিশেষজ্ঞদের দাবি, জি২০ একধারে অন্যদিকে এবার নামবদল ইস্যু গোটা বিশ্বে এখন ভারতকে নিয়ে একটু বেশিই চর্চা। আমেরিকা সহ তাবড় তাবড় দেশের নজর এখন দিল্লির দিকে সেটাই যেন কোনওভাবে সহ্য করতে পারছে না বেজিং। তাই নামবদলের মতো একটা আভ্যন্তরীণ ইস্যুতেও নাক গলাতে একটু বাধছে না চীনের। যেটা আদৌ হবে কিনা তেমনও কোনও নিশ্চয়তা নেই।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version