।। প্রথম কলকাতা ।।
Chandrayaan-4: চন্দ্রযান ৪ ভারতের নতুন ঘোষণা অবাক বিশ্ব। চাঁদের মাটি থেকে অমূল্য রত্ন পৃথিবীতে আনবে ইসরো। চন্দ্রপৃষ্ঠী এমন কোন রহস্যের সন্ধান পেয়েছিল ইসরো? যা আর কেউ জানে না। মহাকাশ ফুঁড়ে রহস্যভেদ করবে ইসরো। চন্দ্রযান ৩ ইসরোকে খোঁজ দিয়েছে চাঁদের মাটিতে থাকা এমন কিছুর যা এবার সরাসরি পৃথিবীতে আনার জন্যই ইসরোর নয়া অপারেশন শুরু। বিজ্ঞানীরা বলছেন ভবিষ্যত বদলে দিতে পারে চন্দ্রযান ৪। চন্দ্রযান ৩ মিশন সম্পূর্ণ হতে না হতেই চাঁদে নতুন মিশনের ঘোষণা ভারতের। ভারত একাই নামবে এই মিশনে নাকি চাঁদের নতুন অভিযানে এবার থাকবে আমেরিকা-জাপান- রাশিয়ার মতো কোনও দেশ? ইসরো যা তৈরি করে ফেলেছে তা জানলে চমকে যাবেন। এর মানে চাঁদ থেকে সেই মহামূল্যবান বস্তু পৃথিবীর মাটিতে এলে তা দেখতে পাবে ভারতবাসী গোটা বিশ্ব। স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের প্রধান নীলেশ দেশাই ঘোষণা করে দিয়েছেন ইসরোর চতুর্থ চন্দ্রাভিযানের লক্ষ্য ঠিক কী হবে? অনেকেরই মনে প্রশ্ন রয়েছে এই অভিযানেই কি চাঁদের মাটিতে মানুষ পাঠাতে চলেছে ভারত?
তাহলে বলে রাখি না এই অভিযানে হতে চলেছে অনন্য কিছু। তৃতীয় চন্দ্রাভিযানে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে ঘুরে দেখেছিল ইসরোর রোভার। তবে নির্দিষ্ট সময়ের পর চন্দ্রযান ৩ এর ল্যান্ডার ও রোভার বিক্রম ও প্রজ্ঞান ঘুমিয়ে পড়ে। তারা যেই স্থানে ঘুমিয়ে পড়েছিল সেই জায়গার নাম নমো দিয়েছিলেন শিবশক্তি পয়েন্ট। এবার শিবশক্তি পয়েন্টের আশ পাশ থেকে চাঁদের মাটি-পাথর পৃথিবীতে বয়ে আনবে চন্দ্রযান-৪। এর মানে চাঁদের নমুনা সরাসরি আসবে পৃথিবীর মাটিতে। কি এমন অমূল্য মিনারেল রয়েছে চাঁদের মাটি-পাথরে সেটাই এবার পরীক্ষা করবে ভারত। প্রজেক্টের নাম রাখা হয়েছে লুনার স্যাম্পল রিটার্ন মিশন। আপনাদের মনে আছে সেই খবরটা চাঁদের মাটিতে লাফ দিল ল্যান্ডার বিক্রম। মাটি থেকে ৪০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত উঠে বেশ কিছু দূরে অবতরণ করেছিল সেটি। ইসরোর নিয়ন্ত্রণে থেকেই এই কাজ করে দেখিয়েছে ল্যান্ডার কিন্তু এর মানে কি ছিল? এর মানে এটাই ছিল চাঁদের মাটিতে থেকে উঠে পৃথিবীতে ফেরাও সম্ভব আর সেই ফেরার কাজটাই এবার করবে চন্দ্রযান ৪।
সঙ্গে এই জানা গিয়েছে চন্দ্রাভিযান ৩ মাত্র ১৪ দিনের মতো পরিচালিত হয়েছিল, তবে চতুর্থ চন্দ্রাভিযান প্রায় ১০০ দিনের জন্য পরিচালনা করার পরিকল্পনা চলছে। এর মানে নতুন চন্দ্রযানটি এমন ভাবে তৈরি করা হবে যাতে চাঁদে অন্ধকার নেমে নতুন করে সূর্য উঠলে আবার সেটি জেগে ওঠে। রিপোর্ট অনুযায়ী, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ৯০ ডিগ্রি খাড়া হয়ে যাতে চন্দ্রযান ৪ অবতরণ করে সেভাবেই তৈরি করা হবে মহাকাশযানটিকে। এদিকে যে নতুন রোভার এবার পাঠানো হবে তা যেন ১ বর্গ কিলোমিটার পর্যন্ত পথ অতিক্রম করতে পারে সেদিকে নজর রাখা হবে। চন্দ্রযান ৩ এর রোভার প্রজ্ঞানের ওজন ছিল ৩০ কেজি ৫০০ বর্গমিটার এলাকায় তার ঘোরাফেরার ক্ষমতা ছিল। যতটুকু জানা যাচ্ছে কিন্তু এবার রোভারের ওজন হবে সাড়ে ৩০০ কেজি। চাঁদ থেকে পৃথিবীতে হবে তার রিটার্ন জার্নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এসব কারণে এবার ভারতের মিশন হবে আরও কঠিন-জটিল ও আরও ব্যায়বহুল।
আর যদি এই মিশন সাকসেসফুল হয়ে যায় তাহলে মহাকাশ গবেষণায় আরও উচ্চতায় পৌঁছে যাবে আমাদের দেশ। এখানেই শেষ নয় গগনযানে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। এই মিশনে তিনজন মহাকাশচারী অ্যাটমসফিয়ারের বাইরে আর্থ অরবিটে পৌঁছে যাবে। এরপর যদি চাঁদে মানুষ পাঠানোর কথা ভাবে ভারত। তাহলে সেখান থেকে ফেরাও সম্ভব কিনা হাতেকলমে সেটাই দেখে নিচ্ছে ইসরো। এর মানে চন্দ্রযান ৪ সাকসেস হলে সত্যি বদলে যাবে অনেককিছুই।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম