Chandrayan 3: চন্দ্রযান ৩ এ ইঞ্জেকশন পুশ! ধাক্কার চোটে ছিটকে গেল কোথায় ? ১ দিনেই বড় পরীক্ষা প্রজ্ঞানের! বাড়ছে প্যালপিটিশন

।। প্রথম কলকাতা ।।

Chandrayan 3: পৃথিবীকে চক্কর কাটা শেষ, চাঁদের হাইওয়ে ধরলো চন্দ্রযান ৩! চাঁদের বৃত্তে পৌঁছেই টুইট করে কি জানালো চন্দ্রযান ৩? ইনজেকশন পুশ করে চন্দ্রযান ৩-কে কোথায় ঠেলে দিলো ইসরো? বাড়ল ইঞ্জিনের গতি, এবার শুধু একটা কাজই বাকি! কবে নিজের পায়ে দাঁড়াবে প্রজ্ঞান? চাঁদে নামার পর কিভাবে কাজ করবে চন্দ্রযান ৩? কাউন্টডাউন শুরু। লাকি আগস্ট হোক ইসরোর, প্রার্থনা ভারতবাসীর।

কেমন আছে চন্দ্রযান ৩?

ইসরোর LVM3-M4/CHANDRAYAAN-3 MISSION টুইটার হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ঠিকভাবেই কাজ করছে চন্দ্রযান-৩, টুইটটিতে লেখা রয়েছে, ‘I’m doing GREAT!’ প্রতীকী ছবিটি প্রকাশ করে ইসরো বোঝাতে চেয়েছে চন্দ্রযান-৩ একেবারে চাঙ্গা‌ রয়েছে।

গোটা পৃথিবীর চারিদিকে পাঁচ বার চক্কর কাটার পর ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গিয়ে চাঁদের পথ ধরে ফেলেছে চন্দ্রযান তিন। তার আগে বাড়ানো হয়েছিল ইঞ্জিনের গতি। একটি রাসায়নিক রকেট ইঞ্জিন এই গতিবেগ বাড়ানোর কাজ করে। তারপর ট্রান্স লুনার ইনজেকশন পদ্ধতি ব্যবহার করে একটা জোর ধাক্কায় মহাকাশযানটিকে চাঁদের কক্ষপথের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়।

ট্রান্সলুনার ইনজেকশন কী ?

এটা এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি যেখানে মহাকাশযানটিকে পৃথিবীর মাধ্যকর্ষণ ক্ষেত্র থেকে সম্পূর্ণভাবে বের করে, সেটাকে ঠেলে দেওয়া হয় চাঁদের আকর্ষণ ক্ষেত্রের দিকে। পরবর্তী স্টেপ, চাঁদের কক্ষপথে মহাকাশযানটি প্রবেশ করবে ৫ অগাস্ট ২০২৩।

চাঁদের আরও কাছে চন্দ্রযান-৩। কিন্তু কক্ষপথে পৌঁছানোর পর? একবার চন্দ্রযান-৩ চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছলে, ইসরোকে চন্দ্রযান-৩-এর উচ্চতা কমিয়ে ১০০ কিলোমিটার করতে হবে। এরপর একই ভাবে ধাপে ধাপে চাঁদের চারপাশে কয়েকবার পাক খাবে এই মহাকাশযান। প্রতি ধাপেই চন্দ্রযান-৩-এর থেকে কমবে চন্দ্রপৃষ্ঠের দূরত্ব।১৭ আগস্ট ল্যান্ডার মডিউল থেকে প্রপালশন মডিউল আলাদা করার সময় নির্ধারণ করেছে ISRO! এরপর কাজ শুরু হয় ল্যান্ডার মডিউলের। এই মডিউলই ঠিক করে কী ভাবে চাঁদের বুকে বিক্রমের মাধ্যমে নামবে প্রজ্ঞান। চাঁদের মাটি থেকে ৩০ কিমি উপর থেকে ২০ মিনিট ধরে পালকের মতো নামবে ল্যান্ডার বিক্রম। তার গতি নিয়ন্ত্রণে কখনও করা হবে রাফ ব্রেকিং, কখনও কন্ট্রোলড ব্রেকিং। মাটি ছোঁয়ার পর খুলে যাবে দরজা।

সেই দরজা দিয়ে বেরিয়ে আসবে সৌরচালিত রোভার প্রজ্ঞান। এই পর্যায়েই সমস্যা হয়েছিল গত বার। এবার তেমন কিছু হবে না বলেই স্থির বিশ্বাস। শুরু হবে প্রজ্ঞানের কাজ। চাঁদের মাটির চরিত্র, বিভিন্ন খনিজ পদার্থের উপস্থিতি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করবে। পাশাপাশি, যে অঞ্চল দিয়ে প্রজ্ঞান চলাচল করবে সেখানকার চাঁদের জমিতে অশোকস্তম্ভ এবং ইসরোর প্রতীক আঁকা হবে। প্রজ্ঞান চাঁদের বুকে ‘বেঁচে’ থাকবে ১৪ দিন। ১৪ দিন অবশ্য পৃথিবীর হিসাবে। চাঁদের হিসাবে মাত্র এক দিন। এর পরেই ‘মৃত্যু’ হবে প্রজ্ঞানের। ফলে বলাই যায়, সফলতার আরও কাছাকাছি ইসরো। সেদিকেই নজর গোটা বিশ্বের।

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version