২০২৪ এ বড় বদল ভারতে! কোন খাতে বইছে দেশের অর্থনীতি ? প্রকৃত সত্য ফাঁস

।। প্রথম কলকাতা ।।

ভারতের অর্থনীতি নিয়ে কোন ভবিষ্যৎবাণী করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী? ২৪-এ মোদীর গ্যারান্টি নিয়ে চারিদিকে হুলস্থূল কাণ্ড। মোদী সরকারের তৃতীয় আমলে ফের একবার স্বপ্নপূরণ হবে ভারতের? ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির গ্রাফ উর্ধমুখী। ২০৭৫ এর আগেই বদলে যেতে পারে হিসেব-নিকেষ। আইএমএফ থেকে গোল্ডম্যান স্যাচের রিপোর্ট। কোন পথে এগোচ্ছে দেশের অর্থনীতি? “ল্যান্ডমার্ক” পদক্ষেপ মোদীর। ভারতীয় অর্থনীতির প্রকৃত ছবিটা কেমন? বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারতের স্থান কি সত্যিই আশাব্যঞ্জক? ভারতের অর্থনীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে জোর গুঞ্জন। এর মাঝেই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে। চূড়ান্ত কনফিডেন্ট মোদী, ঠিক কী বললেন?

ফের বড় প্রতিশ্রুতি! ক্ষমতায় ফিরে দেশের অর্থনীতিকে ৩ নম্বরে নিয়ে যাবেন, ২৪-এ `বড় গ্যারান্টি` মোদীর। বিশ্বের প্রথম ৩ অর্থনীতির অন্যতম হবে ভারত। বড় কথা বলেছেন। কিন্তু এই গ্যারান্টির সঙ্গে ভারতের অর্থনীতির সামঞ্জস্য কতটা? সেটাও তো ইম্পরট্যান্ট ফ্যাক্টর। ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড মানে IMF জানিয়েছে, 2023-24 সালে ভারতের আনুমানিক GDP বৃদ্ধির হার হতে চলেছে 6.1 শতাংশ। জিডিপি মানে গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট। একটি আর্থিক সূচক যা যে কোনও দেশের সীমানার মধ্যে যে কোনো জিনিসের মূল্য বেশ কিছুটা সময়ের জন্য নির্ধারণ করে এবং সেদেশের আর্থিক বৃদ্ধির পরিমাপক হিসেবে কাজ করে। ব্যবসায়িক, নীতিনির্ধারক ও বিনিয়োগকারীদের কাছে এটি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ অংশ হিসেবে ব্যবহত হয় যাতে তাঁরা আর্থিক সিদ্ধান্ত, নীতি নির্ধারন সম্পর্কিত বিষয়গুলি সঠিকভাবে করতে পারে।

সেক্ষেত্রে আশার আলো দেখিয়েছে আইএমএফ। এছাড়াও আইএমএফ বলছে, দেশের অভ্যন্তরে শক্তিশালী বিনিয়োগের দৌলতে এই পরিসংখ্যানের মধ্যে 2022 সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে হওয়া বৃদ্ধির প্রতিফলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর ভারতের জিডিপি বৃদ্ধি পাওয়ার পিছনে একাধিক ইতিবাচক কারণ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। যার মধ্যে শক্তিশালী প্রযুক্তি এবং পরিষেবা খাতের বৃদ্ধি ছাড়াও বিদেশি বিনিয়োগের বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি অন্যতম! এছাড়াও রয়েছে অনুকূল লভ্যাংশ, ব্যবসায়িক সুবিধা প্রদানকারী সরকারি নীতি এবং ভোক্তা ব্যয় পূর্বাভাস অনুযায়ী পুনরুদ্ধারের মতো বিষয়। এই বিষয়গুলি কোভিড-19 পরবর্তী সময় থেকে ভারতে একটি উন্নত সামগ্রিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। চারদিক থেকে যা শোনা যাচ্ছে, যা লেখালিখি হচ্ছে তার সারমর্ম একটাই, ভারত বিশ্ব অর্থনীতিতে কিছু কালের মধ্যেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করতে চলেছে।

এমনকি ২০৭৫ সালে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে ভারত, এমন রিপোর্টও প্রকাশ করেছে আইএমএফ ও গোল্ডম্যান স্যাচে আমদানী রপ্তানি ব্যবসা, তথ্যপ্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী ক্ষেত্রে উন্নতি, বেসরকারী ক্ষেত্রে আর্থিক খরচের বহর বাড়ানোর ক্ষেত্রে উৎসাহ দেওয়ার মত বিষয়গুলো বিবেচনা করে গোল্ডম্যান স্যাচে তাদের একটি রিপোর্টে জানিয়েছে। ২০২৮ সালে ভারতের জিডিপি ৫.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। ২০৭৫ সালে যা এক লাফে ৫২.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। তাছাড়া, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতীয় অর্থনীতি চাঙ্গা হয়েছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। একটি মার্কিন সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, মোদী সরকারের পরিশ্রমে এটা সম্ভব হয়েছে। পরিকাঠামো ক্ষেত্রে প্রচুর বিনিয়োগ, জিএসটির মতো ‘ল্যান্ডমার্ক’ সংস্কার, সেইসব মিলিয়েই নরেন্দ্র মোদীর আমলে ভারতের উন্নতির যাত্রা অব্যাহত।

মোদীর আমলে ডিজিটাল দুনিয়ায় ভারতের ব্যাপক উন্নতি, পরিকাঠামো ক্ষেত্রে প্রচুর টাকা বিনিয়োগ, দেশে বিনিয়োগ টানার জন্য পরিবেশ সংক্রান্ত আরও কার্যকরী নীতি গ্রহণ। আ্য তাতে ভর করেই মাত্র নয় বছরে আজকের জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় অর্থনীতি। সেই অনুযায়ী দেখতে গেলে, মোদীর গ্যারান্টি, প্রতিশ্রুতি পূরণ হাওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। মোদী বলেছেন, “আমাদের প্রথম দফায় অর্থনীতির নিরিখে দশম স্থানে ছিল ভারত। আমাদের দ্বিতীয় দফায় এখন পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি। আমি দেশবাসীকে বলতে চাই, তৃতীয় দফায় অর্থনীতি বিশ্বের প্রথম তিনে থাকবে। আমার তৃতীয় দফায় বিশ্বের প্রথম ৩ অর্থনীতির তালিকায় থাকবে ভারত, এটাই মোদীর গ্যারান্টি”। অর্থাৎ, ২০২৪-এ লোকসভা ভোটে মোদীর বিরুদ্ধে I.N.D.I.A র লড়াই যে বিফলে যাবে সেটা এক প্রকার বুঝিয়ে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। রাতারাতি নয়, অনেক বছরের পরিশ্রমের কারণে সেট করা গোল যে অ্যাচিভ করা যায়, আর ভারতের কাহিনীটা যে সেরকমই তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত মোদী সরকার, বলছেন মার্কিন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version