Chandrayaan-3’s Moon Landing: বাঁকুড়া থেকে রাইপুর, চন্দ্রযান ৩ এর দায়িত্বে বাঙালি বিজ্ঞানীরা

।। প্রথম কলকাতা ।।

Chandrayaan-3’s Moon Landing: আবেগে ভাসছে গোটা দেশ। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করেছে চন্দ্রযান ৩ এর ল্যান্ডার বিক্রম। মহাকাশ বিজ্ঞানে নতুন ইতিহাস গড়েছে ভারত। আর এই সাফল্যের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন বেশ কয়েকজন বঙ্গ সন্তান। কারা তাঁরা? এই অভিযানের কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজে যুক্ত ছিলেন এই বিজ্ঞানীরা? বুধবার সন্ধ্যা ছটা বেজে চার মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখেছে বিক্রম। সেইসঙ্গে বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে উঠে এসেছে ভারত। তবে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখেছে এই দেশ। ভারতীয় বিজ্ঞানীদের কাছে তা একটি বিশাল সাফল্য। সেই সাফল্যের ভাগিদার এক ঝাঁক বাঙালি বিজ্ঞানী।

ইসরোর এই বিজ্ঞানীদের মধ্যেই অন্যতম হলেন বসিরহাটের মানস সরকার। ইসরোর এই কৃতি বিজ্ঞানী নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন আবাসিক বিদ্যালয়ের কৃতি ছাত্র। এখানে থেকে তিনি ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত পদার্থবিদ্যায় স্নাতক স্তরের পড়াশোনা করেছিলেন। তাঁর এই অসামান্য সাফল্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে পোস্ট করেছে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন আবাসিক বিদ্যালয়। মানস সরকার ইসরোতে টেলিমেট্রি ট্রাকিং কমান্ড নেটওয়ার্কের একজন পদস্থ অফিসার।

এছাড়াও এই মিশনে আছেন বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়ের ব্লকের কৃষাণু নন্দী। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটি ছোঁয়ার পরে কাজ শুরু করেছে রোবট গাড়ি। সেই গাড়ির গতিবিধির দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম ইসরোর ইঞ্জিনিয়ার পাত্রসায়েরের কৃষাণু। তাঁর এই সাফল্যে আনন্দে ভাসছে গোটা বাঁকুড়া জেলা।

এছাড়াও এই মিশনে অপারেশন ডিরেক্টর হিসেবে আছেন বীরভূম জেলার রাইপুর গ্রামের সৌম্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়।ইসরোর এই সাফল্যে ফেসবুকে পোস্ট করে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাইপুর গ্রামের অনেকেই।

এই গর্ব-স্বপ্নকে বাস্তব করার জন্য সবথেকে বেশি যাঁদের ওপর ভরসা করেছে ইসরো, তাঁদের আর একজন বাঙালি বিজ্ঞানী অনুজ নন্দী। চন্দ্রযান ৩-র ক্যামেরার ডিজাইন করেছেন উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বাসিন্দা অনুজ। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর হাই স্কুলে পড়াশোনা শেষ করার পর রায়গঞ্জ কলেজে বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক হন তিনি। ইসরোতে গত আট বছর ধরে কাজ করছেন এই বাঙালি বিজ্ঞানী।

এর আগে চাঁদের এই অংশে কোনও দেশ যান পাঠাতে সক্ষম হয়নি। ভারতের চন্দ্রযান চাঁদের মাটিতে পা রাখতেই আনন্দিত হয়ে পড়েছে গোটা দেশ।কোথাও চলেছে লাড্ডু বিতরণ কোথাও আবার বাজি ফাটিয়ে চলে উচ্ছ্বাস। তাদের কৃতী সন্তানেরা এই অভিযান সফল করতে বিশেষ ভূমিকা নেওয়ায় গর্বে বুক ফুলে উঠছে বাঙালিদের।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version