।। প্রথম কলকাতা ।।
Netaji: নামি দামি মন্ডা মিঠাই নয়, তিনি শখ করে খেতে চেয়েছিলেন ভাতে ভাত। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের স্ত্রী বাসন্তী দেবীর কাছে। তিনি বাসন্তী দেবীকে মা বলে ডাকতেন। দেশবন্ধুর সাথে সুভাষ চন্দ্রের (Subhash Chandra) মতপার্থক্য হলে সেই সময় মধ্যস্থতা করতেন বাসন্তী দেবী। সুভাষ চন্দ্রের জীবনের পরতে পরতে রয়েছে বর্ণময় কাহিনীর ছটা, যা আজও গোটা ভারতকে অবাক এবং আপ্লুত করে। যদি নেতাজির ছোটবেলার দিকে তাকানো যায়, সেই সময় তিনি কম দাপুটে ছিলেন না। তাঁর ছোটবেলার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানান মজার কাহিনী।
ছোটো থেকেই বিশ্বভুবন সম্পর্কে ছোট্ট নেতাজির (Netaji) জানার আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। শিক্ষার প্রারম্ভিক লগ্নে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল কটকের প্রোটেস্ট্যান্ট ইউরোপিয়ান স্কুলে। সেই স্কুলের ভাবধারা ছিল সম্পূর্ণভাবে ইউরোপিয়ান। স্কুল থেকে ছোট্ট নেতাজি নিয়মানুবর্তিতা শিখলেও স্কুলের পরিবেশ তাঁর মোটেও ভাল লাগত না। সাহেবি স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে বারংবার বাইরে চলে আসতে চাইতেন। সেই স্কুলে বাংলা ভাষা শেখার সেভাবে সুযোগ ছিল না।
১২ বছর বয়সে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে (Netaji Subhas Chandra Bose) সেই মিশনারি স্কুল থেকে ভর্তি করা হয় একেবারে বাংলা মাধ্যমের একটি স্কুলে। নতুন স্কুলে এসে তিনি অত্যন্ত খুশি হয়েছিলেন কিন্তু প্রথম দিকে তাঁকে সহপাঠী এবং শিক্ষকদের কাছ থেকে নানান ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ শুনতে হত। বাংলা জানতেন না বলে তাঁকে নিয়ে সবাই হাসাহাসি করত। একদিন শেখার অদম্য জেদেই বার্ষিক পরীক্ষায় সবার থেকে বাংলা বিষয়ে তিনি বেশি নম্বর পান। শুধু তাই নয় তিনি পারদর্শী হয়ে উঠেছিলেন সংস্কৃত ভাষাতেও।
ছোট্ট সুভাষ লুকিয়ে লুকিয়ে যোগাভ্যাস করতেন। একবার তিনি এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে কিছু বিবেকানন্দের বই বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেই বইগুলি কয়েক মাসের মধ্যে এত বার পড়েছিলেন, যে রীতিমত বিবেকানন্দের অনুরাগী হয়ে উঠেন। আত্মসংযমের জন্য অনুসরণ করতে শুরু করেন রামকৃষ্ণ এবং বিবেকানন্দের আদর্শ। তিনি লুকিয়ে সন্ধ্যের পর রাতের দিকে যোগাভ্যাস করতেন। একদিন অন্ধকারের বিছানায় বসে যোগাভ্যাস করছিলেন, ঠিক সেইসময় ঘরে প্রবেশ করেন বাড়ির ঝি। কিন্তু ঝি ছোট্ট সুভাষকে না দেখতে পেয়ে রীতিমত ঘাড়ে হুড়মুড়িয়ে পড়ে। তারপর আলো জালিয়ে ছোট্ট সুভাষকে দেখে রীতিমত হতভম্ব হয়ে যান ঝি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম