Bad Breath: নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ, শরীরে লুকিয়ে ডেঞ্জারাস রোগ, কীভাবে বুঝবেন? সাবধান হন এখনই

।। প্রথম কলকাতা ।।

Bad Breath: নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ! দামি টুথপেস্ট ব্যবহার করেও দুর্গন্ধ কাটছে না। অবহেলা করছেন? ভাবছেন এ তো সামান্য ব্যাপার, মারাত্মক ভুল করছেন এখানেই। অজান্তে গুরুতর রোগের আস্তানা হয়ে উঠছে শরীর। হয়ত বয়ে বেড়াচ্ছেন ডেঞ্জারাস রোগ। আপনার মুখে আছে ১৭০ ধরনের ব্যাকটেরিয়া। দুর্গন্ধ প্রভাব ফেলবে আপনার ব্যক্তিত্বে। বিষয়টা নিয়ে একটু ভাবুন। দেরি করলে কিন্তু মুশকিল। মুখের দুর্গন্ধ নিয়ে কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা? কেন বারংবার মুখের দুর্গন্ধ নিয়ে সতর্ক করা হয়? শুনুন তবে।

মুখের দুর্গন্ধের নেপথ্যে থাকতে পারে ডেঞ্জারাস রোগ। তালিকাটা বেশ লম্বা। ডায়াবেটিস, কিডনি ফেলিওর, লিভারের সমস্যা সহ ক্যানসারের জন্যও মুখে দুর্গন্ধ হয়। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিশেষজ্ঞদের দাবি অনুযায়ী, মুখের দুর্গন্ধ যদি অ্যামোনিয়ার মতো হয় তাহলে টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকতে পারে। দেহে ইনসুলিনের অভাব রয়েছে। প্রতিদিন সকালে ঘুম উঠে একই গন্ধ পেলে মুখের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া বাসা বেঁধেছে। নিয়মিত দাঁত মাজলেও লাং ক্যানসারের কারণে মুখে দুর্গন্ধ হয়। সজগ্রেন’স সিনড্রোমের কারণেও এমনটা হতে পারে। দীর্ঘদিন আলসার, গ্যাস্ট্রিক কিংবা অম্বলের সমস্যায় ভুগলে মুখে দুর্গন্ধ থাকে। যদি নিঃশ্বাসে আঁশটে গন্ধ থাকে তাহলে কিডনির সমস্যা রয়েছে। ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের কারণে যাদের মাথা ব্যাথা হয়, তাদের নিঃশ্বাসে কর্পূরের মত গন্ধ থাকে। নিঃশ্বাস থেকে সবসময় দুর্গন্ধ বেরোলে, শ্বাস তন্ত্রের সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি গলায় টনসিলের সমস্যা বাড়লেও মুখে দুর্গন্ধ হয়। মুখের মধ্যে জ্বালাপোড়া হয়।

আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। এসব রোগ ছাড়াও সাধারণ কারণে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে,
সব সময় ওরাল হাইজিন মেনে চলা উচিত। পর্যাপ্ত পরিমাণে লেবু খাওয়া দরকার। সিগারেট বা জর্দা দেওয়া পান খাওয়ার অভ্যাস থাকলে ছেড়ে দিন। সবসময় তাজা ফল আর সবজি খান। কফির বদলে বেছে নিন লিকার চা। দিনে অন্তত দুবার খাবার পর ব্রাশ করুন। বেশিরভাগ সময় মুখে দুর্গন্ধের পিছনে দায়ী থাকে দৈনন্দিন জীবনযাত্রা। মদ তামাক পেঁয়াজ রসুন জাতীয় খাবার বেশি খেলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে। এই ধরনের খাবারগুলো একটু এড়িয়ে চলুন। ব্যবহার করুন ভালো মানের মাউথ ফ্রেশনার। খেতে পারেন কয়েকটা মৌরি। এসবের পরেও দুর্গন্ধ যদি না যায়, তাহলে সমস্যা ফেলে রাখবেন না। রোগ গুরুতর হওয়ার আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version