Influenza : সর্দি-কাশি বা জ্বরকে এড়িয়ে যাচ্ছেন ? শীতের শেষে ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণ হয়নি তো!

।। প্রথম কলকাতা।।

Influenza : ঋতু পরিবর্তনে হালকা সর্দি-,কাশি জ্বর- জ্বর ভাব এই সমস্ত অধিকাংশ মানুষের শরীরেই দেখা দেয়। মরশুম বদলাচ্ছে, তাই হয়তো এর প্রভাব পড়ছে শরীরে। এমনটা ভেবে বিষয়টিকে এড়িয়ে যান অনেকেই । কিন্তু একেবারে সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশির মতো উপসর্গের ( Symptoms) আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারে ভাইরাল সংক্রমণ ইনফ্লুয়েঞ্জা ( Influenza) । এটিও কিন্তু হাঁচি-কাশির মাধ্যমেই ছড়ায়। যদিও ইনফ্লুয়েঞ্জা বছরে যেকোনো সময় আপনার শরীরে থাবা বসাতে পারে । কিন্তু শীতের শেষে এর প্রকোপ আরও বেশ খানিকটা বেড়ে যায়। তার থেকেও চিন্তার বিষয় হল, যে ভাইরাসের কারণে ইনফ্লুয়েঞ্জা হয়ে থাকে সেটি প্রতিনিয়ত নিজেকে পরিবর্তন করে। বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলে মিউটেশন।

কীভাবে বুঝবেন সাধারণ সর্দি-কাশি না ইনফ্লুয়েঞ্জা ?

আবহাওয়ার বদল ঘটলে প্রাথমিকভাবে গলা খুসখুস করা, ঠান্ডা লাগা, গলা ব্যথা, জ্বর এই সমস্ত লেগেই থাকে। সময়ের সাথে সাথে তা একাই ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু যদি এই ঠান্ডা লাগা দু-তিন দিনের মধ্যে না সারে বরং দ্রুতগতিতে উপসর্গগুলি আরও জোরালো হতে শুরু করে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। হতে পারে সাধারণ সর্দি কাশি নয় বরং ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়েছেন সেই রোগী। লক্ষণ গুলি হল – প্রচণ্ড মাথা ব্যথা, শরীর অতিরিক্ত দুর্বল হয়ে যাওয়া , ঠান্ডার কারণে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, খাবার খাওয়াতে অনিচ্ছা, বমি বমি ভাব, ডায়ারিয়া, হঠাৎ করেই ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি জ্বর চলে আসা প্রভৃতি।

ইনফ্লুয়েঞ্জা কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে ?

যেহেতু ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমনের উপসর্গগুলি একেবারেই সাধারণ এই কারণে অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না প্রথমদিকে। তাঁরা সাধারণভাবেই জীবন যাপন করতে থাকেন । মানুষের সাথে দেখা করা, কথাবার্তা বলা, তাদের সাথে মেলামেশা সবই চলতে থাকে। সেই রকম একজন ব্যক্তির হাঁচি কাশি কিংবা তাঁর সঙ্গে কথা বলা অথবা তাঁর ব্যবহৃত কোন জিনিস ব্যবহার করলেও ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস অন্য কারও শরীরে চলে যেতে পারে। আর তার থেকেও বড় চিন্তার বিষয় হল ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস প্রতিনিয়ত নিজের গঠনের মিউটেশন ( Mutation) করতে থাকে। প্রতিবেদনে উল্লেখিত লক্ষণ গুলি দেখতে পেলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। চিকিৎসক তাঁর শ্বাসনালী থেকে নমুনা সংগ্রহ করার পর সেইগুলি পিসিআর এবং Rapid Antigen টেস্ট করেন। টেস্ট রিপোর্ট পজেটিভ আসলে সে ব্যক্তি ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত এবং নেগেটিভ আসলে সাধারণ সর্দি-কাশির সমস্যাতে ভুগছেন।

ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসা

মানবদেহে বিভিন্ন রোগের আনাগোনা নতুন কোন বিষয় নয়। রোগ থাকলেই রোগের নিরাময়ের পথ রয়েছে। শুধুমাত্র এই সময় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলার চেষ্টা করতে হবে । যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণ হলে রোগীকে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম ( Rest) করতেই হবে। যেহেতু সেসময় শরীর অতিরিক্ত দুর্বল হয়ে পড়ে, সেই কারণে বিশ্রাম প্রয়োজন। রোগীর শরীরে দেখা দেয় জলের অভাব ( Lack Of Water) । তাই প্রচুর পরিমাণে জল তার সঙ্গে ফলের রস পান করতে হবে। ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্ত রোগী যে প্লেট, গ্লাস অথবা অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহার করবেন সেই সময় ওই সামগ্রী গুলি অন্য কেউ আর ব্যবহার করতে পারবে না। রোগীকে ঠান্ডা যে কোন জিনিস থেকে দূরে রাখতে হবে। তাকে ঘরের বাইরে না বের করাই শ্রেয় । যতটা সম্ভব গরম আবহাওয়ায় রাখার চেষ্টা করতে হবে। প্রতি বছর যদি একটি করে ফ্লুর টিকা ( Flu Vaccine) নেওয়া যেতে পারে তাহলে ইনফ্লুয়েঞ্জাতে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে আসে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version