আগুন ঝড়াচ্ছে অর্জুন, ইন্ডিয়ান আর্মির মেরুদন্ড টি-৯০! ভারতের ব্যাটেল ট্যাঙ্ক মানেই শত্রুর ত্রাস

।। প্রথম কলকাতা ।।

ধ্বংসের অস্ত্র ভারতের হাতে, অর্জুন-ভীষ্ম দেখে ভয়ে কাঁপছে শত্রুদেশ। যুদ্ধ বাধলে কতটা তৈরি ভারত? বিশাল ট্যাংক বাহিনী ভারতীয় সেনার শক্তি। রাশিয়াও ফেইল ভারতের অর্জুন ট্যাংকের কাছে। শুধু অর্জুন নয়, দাপট কম নয় ভীষ্ম থেকে শুরু করে অজেয়র। শত্রুর বুকে কাঁপুনি ধরাতে ভারতীয় সেনায় জুড়েছে মহাপরাক্রমী একের পর এক ব্যাটেল ট্যাঙ্ক। যেমন ভারতের তৈরি অর্জুন ট্যাঙ্ক দেশের গর্ব। ক্ষমতা তুখোড়। রাশিয়ার টি-৯০ ট্যাঙ্ককেও ছাপিয়ে গিয়েছে ভারতের তৈরি অর্জুন ট্যাঙ্কের সক্ষমতা।

অর্জুন ট্যাঙ্কগুলো তাদের ‘ফিন স্ট্যাবিলাইজড আর্মার পেয়ার্সিং ডিসার্ডিং সাবোট’ গোলাবারুদ এবং ১২০ মিমি ক্যালিবার রাইফেল বন্দুকের জন্য বিখ্যাত। এতে একটি কম্পিউটার-নিয়ন্ত্রিত ইন্টিগ্রেটেড ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম রয়েছে যা স্থির দর্শন-সহ সমস্ত রকম আলোতে কাজ করে। পূর্ববর্তী ট্যাঙ্কের চেয়ে ১৫ টি অতিরিক্ত আপডেটেড ফিচারে উন্নত ভারতের এই অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক। নির্মাণের সময়, সিভিআরডিই ইঞ্জিন, ট্রান্সমিশন, হাইড্রোপেনিউমেটিক সাসপেনশন, হাল এবং ট্যুরের পাশাপাশি বন্দুক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় অগ্রগতি অর্জন করেছিল “অর্জুন”। জানিয়ে রাখি, অর্জুন সামরিক ট্যাঙ্ক প্রজেক্টের মেইন টার্গেট ছিল “উন্নত অগ্নি শক্তি, উচ্চ গতিশীলতা এবং দুর্দান্ত সুরক্ষা-সহ একটি অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক তৈরি করা”। ভারতের জন্য আরেকটা ভরসার অস্ত্র খতরনাক টি ৯০ ভীষ্ম ট্যাঙ্ক।

দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলেও, টি-৯০ ট্যাঙ্কের ধারেকাছে কেউ ঘেঁষতে সাহস দেখায় না। কাঠামো রাশিয়ার হওয়ায় চরম প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে অনায়াসে মানিয়ে নিতে পারে টি-৯০। ২০০১ সালে রাশিয়ার থেকে প্রথমবার ৩১০টি টি-৯০ ট্যাঙ্ক কিনেছিল ভারত। এরমধ্যে ১২৪টি পুরোপুরি তৈরি হয়ে আসে। বাকি ১৮৬টি তৈরি হয় ভারতে। ভারত তার আগে থেকে টি-৭২ ট্যাঙ্ক ব্যবহার করত। ফলে, টি-৯০-র নকশা, অনেকটা তার পূর্বসূরীর মতো এতে ভারতের সুবিধা হয়! কারণ, প্রশিক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ অনেকটাই সহজ ও সাশ্রয়কর। উপরন্তু, পাকিস্তান ব্যবহার করে টি-৮০ ট্যাঙ্ক। ফলে, তার চেয়ে উন্নতমানের ট্যাঙ্কের প্রয়োজন ছিল ভারতবর্ষের। অন্যতম সেরা এই ব্যাটেল ট্যাঙ্কের প্রথম ব্যাচ দিনের আলো দেখে ২০০৪ সালে। সেই থেকে প্রতিনিয়ত টি-৯০ ট্যাঙ্কের উৎপাদন হয়ে চলেছে।এরমধ্যে বহুবার এই ট্যাঙ্কের আধুনিকীকরণও হয়েছে। এর শক্তি ও অস্ত্রক্ষমতা সবকিছুই বাড়ানো হয়েছে। এতে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক থার্মাল ইমাজিং ও ইনফ্রা ক্যামেরা ও ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র রোধক বিশেষ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

অনেক সমরাস্ত্র বিশেষজ্ঞ, চীনের টাইপ-১৫ ট্যাঙ্কের সঙ্গে বিশ্ব টি-৯০ ট্যাংকের তুলনা করে থাকেন। ভীষ্ম বাহিনীর অত্যন্ত ভরসার, ভারতীয় সেনার অতি-গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।এছাড়া ভারতের হাতে রয়েছে টি ৭২ অজয় ট্যাঙ্ক যা -৪৫ ডিগ্রিতেও তাপমাত্রাতেও টিকে গিয়ে কাজ করতে পারে বহাল তবিয়তে। পূর্ব লাদাখে চিনা ফৌজের আগ্রাসন রুখতে ও লালফৌজকে কড়া জবাব দিতে এই ব্যাটেল ট্যাংক ও কিছু কম যায়না। এগুলো ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরাট বড় শক্তি। উল্লেখ্য, সম্মুখ সমরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র ট্যাঙ্ক। ভারতের হাতে রয়েছে অর্জুন, টি ৯০ ভীষ্ম, টি ৭২ অজেয়-এর মতো মেন ব্যাটল ট্যাঙ্ক। এ ছাড়াও রয়েছে টি ৫৫ ও বৈজয়ন্ত ট্যাঙ্কের মতো অত্যাধুনিক যান। জানিয়ে রাখি, আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিন ছাড়া কোনও দেশের হাতে ভারতের চেয়ে বেশি ট্যাঙ্ক নেই। শুধু সংখ্যাতেই নয়, বিধ্বংসী ক্ষমতার নিরিখেও ভারতের তৈরি ট্যাঙ্ক এখন বিশ্বের সেরা কয়েকটি ট্যাঙ্কের অন্যতম। নয়াদিল্লির বিধ্বংসী ট্যাঙ্ক বাহিনী দাপট সম্পর্কে ভারতের প্রতিবেশীরাও ওয়াকিবহাল। কারণ যুদ্ধক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই ভারতীয় সেনা তার প্রমাণ দিয়েছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version