।।প্রথম কলকাতা।।
Fatty liver diet plan: যকৃতে চর্বি বেড়ে যাওয়াকে ফ্যাটি লিভার বলে। যকৃতের নিজস্ব ওজনের ৫ থেকে ১০ ভাগ চর্বি জমলে এমনটি ঘটে।কখনো কখনো যকৃতে শুধু চর্বি জমে থাকে, কিন্তু কোনো প্রদাহ থাকে না। একে বলে সাধারণ ফ্যাটি লিভার বা নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। পরে এক পর্যায়ে প্রদাহ সৃষ্টি হয় তখন একে বলা হয় স্টিয়ো-হেপাটাইটিস। এ পর্যায়ে যকৃতের কোষগুলো ধীরে ধীরে ধ্বংস হতে থাকে।
এক সময় লিভারের কোষ কাঠামো ভেঙে এবড়োখেবড়ো আকার হয়ে যায়। ফাইব্রাস টিস্যু বা শক্ত কোষের আধিক্য বেড়ে যায়। এটাকে বলা হয় ফাইব্রোসিস। পরে এটি মোড় নেয় লিভার সিরোসিসের দিকে। তাই ফ্যাটি লিভারের(Fatty liver) ব্যাপারে কখনোই অবহেলা করা উচিত নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ তো নেবেনই, সেই সঙ্গে খেতে হবে এমন কিছু খাবার যা আপনাকে দ্রুত সাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে। এখন দেখে নেওয়া যাক সেই খাবারগুলি কি কি।
পেঁপের(papaya) পেটের জন্য প্রায় ধন্বন্তরি। নানা এনজাইমে ভরপুর এই ফল। এই খাবার আপনি কাঁচা অবস্থায় রান্না করে এবং পেকে গেলে ফল হিসেবে খেতে পারেন। অনেকটা পরিমাণে ফাইবার থাকে। এছাড়া আছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি। এছাড়়াও পেঁপের জুস পান করতে পারেন।
শীতকালে প্রচুর লেবু পাওয়া যায়। পেটের জন্য সব লেবুই প্রায় উপকারী। তবে সবথেকে ভালো হতে পারে মুসাম্বিলেবু। এই লেবুতে রয়েছে অনেকটা পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, থিয়ামিন, পটাশিয়াম, নিয়াসিন। এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই খাবার। তাই এই ফল খেলে ভালো থাকতে পারেন লিভারে ফ্যাট থাকা রোগীরা। তবে মুসাম্বি জুস করে খাওয়ার থেকে শুধু খাওয়া ভালো।
ফ্যাটি লিভারের ক্ষেত্রে বাতাবি লেবু দারুণ এক উপকারি ফল। এই লেবু নানা সমস্যার সমাধান করে ফেলতে পারে। এই লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম সহ অন্যান্য খনিজ ও ভিটামিন। তাই এই খাবার আপনাকে অবশ্যই খেতে হবে। তবে বাতাবিলেবু খেতে হবে নুন ছাড়া।
লাউ (gourd) শরীর ও পেট সুস্থ রাখার কারিগর। খুব সহজেই এই খাবার বহু সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে। তাই এই খাবার নিয়মিত বাড়িতে রান্না করলে ভালো হয়। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম, ডায়েটরি ফাইবার থেকে শুরু করে অন্যান্য উপাদান।
ফ্যাটি লিভার রোগীদের জন্য সহজপাচ্য খাদ্য হিসাবে ভাত কিন্তু দারুণ ভালো খাদ্য। এতে রয়েছে ভালো পরিমাণে ক্যালোরি। এই ক্যালোরি শরীরে প্রয়োজন। তাই আপনি অনায়াসে ভাত খেতে পারেন। তবে বেশি খাবেন না। তাতে সমস্যা বাড়তে পারে। তাই ভাত একটু মেপে খান। তবেই ফ্যাটি লিভার কমবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম