পিওকের পর কী নেক্সট টার্গেটই হবে আকসাই চীন? ‘সহ্যের সীমা পেরিয়েছে’ বোঝালেন অমিত শাহ

।। প্রথম কলকাতা ।।

আকসাই চীন নিয়ে অমিত শাহের চাঞ্চল্যকর দাবি চীন আতঙ্কে আগেভাগেই বিবৃতি জারি করে দিয়েছে। কূটনৈতিকভাবে সেটার গুরুত্ব অনেক। পিওকের পর কী নেক্সট টার্গেটই হবে আকসাই চীন? অনেকেই বলছেন এত সহজ নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোন ট্র্যাকে নিয়ে যাচ্ছে বিষয়টা জানতে হবে। কাশ্মীরের কোনওদিনও ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার হবে এই কল্পনাটাও যারা করতে পারেনি ২০১৯ সালে ৫ অগাস্ট মোদী সরকার তাদের চমকে দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের কাশ্মীর নিয়ে ঐতিহাসিক রায়ের পর এবার হট কেক POK সেইসঙ্গে আকসাই চীন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে
সুর চড়িয়েছেন বহুবার। আপনারা অনেকেই সেই বক্তব্য শুনেওছেন। প্রকাশ্যে দৃপ্তকণ্ঠে শাহ বলছেন পিওকে ভারতেরই অংশ কিন্তু কীভাবে? ভারত কীভাবে দখল করবে পিওকে? শাহের সেই স্ট্র্যাটেজি কিন্তু এখনও পর্যন্ত সামনে আনা হয়নি। ভারতবাসীর কাছে এখনও সেই উত্তর অধরাই। এবার এনিয়েই মুখ খুললেন অমিত শাহ। পরিস্কার বলে দিলেন তিনি কী করতে চলেছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে। এখানেই শেষ নয় আকসাই চীন নিয়েও এমন কিছু কথা শেয়ার করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তা দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষ করে কংগ্রেসকে জোর ধাক্কা দিল এটা বলাই বাহুল্য।

চীন কি আন্দাজ করতে পারছে ভারত এবার আকসাই চীনের দিকে ঝুঁকবে? নাকি পাকিস্তান চুপি চুপি চীনের মনে ভয় ঢোকাচ্ছে যে পিওকে নিয়ে তো দিল্লি এত হইচই করছে এবার বোধহয় নেক্সট টার্গেট আকসাই চীন। আর ঠিক সেই কারণেই হয়ত আগেভাগেই ভারতকে কড়া বার্তা বেজিংয়ের। ইন্ডিয়া টুডের একটি সাক্ষাতকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পিওকে-কে ভারতের দখলের করার কী ভাবনা রয়েছে তা নিয়ে খোলাখুলি প্রশ্ন করেন সাংবাদিক। যার উত্তরে শাহ বলেন, ‘আমি মানছি ভারতের এই অংশের ওপর পাকিস্তান কবজা করে রয়েছে তবে এধরণের প্রোগ্রামে খোলাখুলি আমি কি আপনাকে বলে দেব পিওকে দখল নিয়ে ভারতের কী প্ল্যান রয়েছে?’

এরপরই প্রশ্ন ঘুরে যায় আকসাই চীনের দিকে। কারণ সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী শাহকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন ডেপসাং, নিমচকে ঘাঁটি বানাচ্ছে পিএলএ আর্মি। মোদী সরকার পারলে আকসাই চীনকে ভারতে ফিরিয়ে আনুক। এ প্রশ্নের জবরদস্ত উত্তর দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এ প্রশ্ন অন্য করে রাজনৈতিক দল করলেও মেনে নেব কিন্তু রাহুল গান্ধী করতে পারেন না। কারণ দেশের ইতিহাস বলছে ভারতের সবথেকে বড় অংশ যদি কোনওসময় দেশ হারিয়ে থাকে তাহলে তা নেহেরুর সময় হারিয়েছিল এবং কংগ্রেসের পলিসির জন্য হারিয়েছিল।’ একইসঙ্গে শাহের কড়া বার্তা কংগ্রেস পার্টি কোনওভাবে ভারতীয় জনতা পার্টি ও মোদী সরকারকে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও পরামর্শ দেওয়ার অবস্থাতেই নেই।

এদিকে চীনের সম্প্রতি আগ বাড়িয়ে লাদাখ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেন,
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কোনও কিছুর বদল হবে না। ভারত-চীন সীমান্তের পশ্চিমাংশ চীনেরই থাকবে  ভারত একতরফা ও বেআইনিভাবে লাদাখকে পৃথক করেছে। চীন কখনও তথাকথিত কেন্দ্রশাসিত লাদাখ অঞ্চলকে স্বীকৃতি দেয় না। অনেকেই মনে করছেন কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর লাদাখ ও আকসাই চীন নিয়ে বেজিং অনেক বেশি প্রটেকটিভ। এবার এটাই অপেক্ষার যে সত্যি ভারত কবে অ্যাকশন নেয়।

 

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version