Aditya L1: আদিত্য এল ১ পৌঁছে দেবে বরফ যুগে! সূর্যে কোন রহস্য ভেদ করবে ইসরোর সৌরযান ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Aditya L1: সূর্যের দিকে ছুটে গেল আদিত্য এল ১। চাঁদের পর সূর্য ছোঁবে ভারত। ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্টে পৌঁছলেই হবে ধামাকা। কত কাছে বরফ যুগ? তপ্ত সূর্যের ধারে কাছে ঘেঁষলেই ‘ফিনিশ’? কিভাবে এতো কাছে যাবে আদিত্য-এল১? রহস্য ভেদ করবে ইসরো, সোলার মিশনে জানবে সূর্যের নাড়ি নক্ষত্র। সামনের ৫ টা বছরে সূর্যকে স্টাডি করার মোক্ষম সুযোগ। সূর্য ছুঁতে হাতে কতক্ষণ বাকি? ফের ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ গোটা বিশ্ব। এবার ইসরোর নজরে সূর্য।

আদিত্য এল ১ এর সফল উৎক্ষেপণ। ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী রইল গোটা ভারতবর্ষ। কী করবে ভারতের এই সৌরযান? ফিরিয়ে আনবে বরফ যুগ? উৎক্ষেপণের পর, আদিত্য-এল ১ পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরত্বে সূর্যের দিকে ছুটে যাবে। তারপরেই নিজের পজিশন নিয়ে নেবে। ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্টে অবস্থান করবে। ল্যাগ্রেঞ্জ বা এল ১ পয়েন্ট এমন একটা জায়গা যেখানে সূর্য এবং পৃথিবীর মহাকর্ষীয় শক্তি একে অপরকে প্রতিহত করে। তাই আদিত্য এল ১-এর ল্যান্ড করবে এখানেই। তারপর? ৫ বছর ধরে মহাকাশের ওই এলাকার উপর কড়া নজর রাখবে। নানাভাবে স্টাডি করবে। পৃথিবীতে বিজ্ঞানীদের কাছে ডেটা পাঠাবে। রহস্য বলে কিছু থাকবে না।

পৃথিবীতে আইস এজ মানে বরফ যুগের ইতিহাস কী ছিল সেই সম্পর্কেও তথ্য কালেক্ট করবে আদিত্য এল-১। সূর্যের কার্যকলাপ বুঝতে সাহায্য করবে, পৃথিবীতে এর এফেক্ট সম্পর্কে জানা যাবে। আমরা জানতে পারব বরফ যুগের কারণ কী? ভবিষ্যতে কী কী সম্ভাবনা রয়েছে? ঠিক কী কী ঘটতে পারে? তাছাড়া, ১১ বছরে সূর্যের কিছু পরিবর্তন হয়েছে। সৌরজগতে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটছে। এই মিশনের সাহায্যে ভারত আগের সমস্ত তথ্য অধ্যয়ন করতে পারবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, আদিত্য এল-১ মিশন ভারতের জ্যোতির্পদার্থবিদ্যা মানে অ্যাস্ট্রোফিজিক্স এবং সৌর পদার্থবিদ্যার মানে সোলার ফিজিক্সকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। রিস্ক আছে। সৌরজগতের সমস্ত দিক থেকে শক্তির ব্যাপক মুক্তি পৃথিবীর জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে পাঠানো স্যাটেলাইটও এই নির্গমনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। করোনাল ম্যাস ইজেকশন কখন ঘটছে তা জানতে হবে যা এই মিশনের সাহায্যে খুঁজে বের করা সম্ভব হবে। এই মিশনের সাহায্যে ইসরোর বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো সূর্যের চৌম্বক ক্ষেত্রে বিদ্যমান যন্ত্র সম্পর্কে জানতে পারবেন।

এমনকি সৌর বায়ু বিশ্লেষণ করাও সহজ হবে। পৃথিবীর আবহাওয়ার উপর সূর্যের ঠিক কী প্রভাব পড়ে, তাও জানা সম্ভব হবে। টার্গেট এক, বেনিফিট অনেক। লক্ষ্য পূরণ হলে ইসরো আরো একবার জিতে যাবে। শনিবার, ২রা সেপ্টেম্বর ঠিক সকাল ১১.৫০ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা মহাকাশ কেন্দ্র থেকে পিএসএলভি-সি৫৭ রকেটে করে উৎক্ষেপণ করা হলো ইসরোর মহাকাশযান আদিত্য এল ১। ফার্স্ট স্টেপ পাশ করে গেছে ইসরো। নেক্সট স্টেপ, ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট এল ১-এ অবস্থান করা। না সূর্যে পৌঁছাবে না ভারতের সৌরযান আদিত্য এল ১। কিন্তু, এমনভাবে অরবিটে প্রতিস্থাপন করা হবে যে সূর্যকে এক সেকেন্ডের জন্যেও চোখের আড়াল করবে না ইসরোর আদিত্য এল ১। মাত্র ১২৫ দিনের পথ হ্যাঁ, ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্টে পৌঁছতে আদিত্য এল ১ সময় নেবে ১২৫ দিন। তারপরেই অসম্ভবকে সম্ভব করবে ইসরোর আদিত্য এল ১।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version