ভারতের সুদিন রিজার্ভে ৬০০ বিলিয়ন! আমেরিকার ডলার পতনে দিল্লির বড় লাভ হল? বাংলাদেশ-পাকিস্তান হাঁ

।। প্রথম কলকাতা ।।

ভারতের রিজার্ভ চমকে দিল ৬০০ বিলিয়নের অঙ্ক, হিরো কে? মোদী করে দেখিয়ে দিলেন আচ্ছে দিন শুরু ভারতে। বাংলাদেশ-পাকিস্তানে রীতিমত চর্চা দিল্লির সাফল্যের আমেরিকার অর্থনীতিতে ব্যাপক ধস বলেই কি ভারতের লাভ? এই দিনটারই তো অপেক্ষা ছিল। ভারতকে দেখে যেমন হতবাক পাকিস্তান বাংলাদেশ তেমনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানেও পৌঁছে গেছে খবরটা। ৬০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল ভারতের রিজার্ভ, ভাবতে পারা যাচ্ছে না। খবরটা ভারতের প্রত্যেকটা সাধারণ জনতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মোদীর একের পর এক বিদেশ সফরই কী দেখাল ম্যাজিক? নাকি বৈদিশিক মুদ্রা ভান্ডার নিয়ে স্ট্রাগল চলছিল আগে থেকেই?

আপনি চোখ বুঝে বলতে পারেন ভারতের এত বড় সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে দেশের হিরো রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। গত সপ্তাহের বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব প্রকাশ করে আরবিআই। তবে এটা কিন্তু শুধু ডলারের রিজার্ভ নয় ডলারে প্রকাশ করা বৈদেশিক মুদ্রার সম্পদের মধ্যে ইউরো, পাউন্ড এবং ইয়েনের মতো মুদ্রার গতিবিধির প্রভাবও রয়েছে। আরবিআই পরিসংখ্যান বলছে বিদেশি মুদ্রার পরিমাণ ৬০ হাজার কোটি ডলারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে। ১৪ জুলাইয়ে ভারতের ভান্ডারে মোট বিদেশি মুদ্রার অর্থমূল্য পৌঁছে গিয়েছিল ৬০ হাজার ৯০২ কোটি ডলার। যা গত কয়েকমাস ধরেই ৫৯০ বিলিয়ন ৫৯৫ বিলিয়নের সংখ্যা ছুচ্ছিল। আরবিআইয়ের কাছে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার দুই-তৃতীয়াংশের বেশি মার্কিন ডলার রয়েছে। বাকি অর্থ রয়েছে ইউরো, ইয়েন, পাউন্ড ও চীনা মুদ্রা ইউয়ানে।

কিন্তু বৈদেশিক রিজার্ভ নিয়ে লড়াই করতে থাকা ভারতের প্রতিবেশী পাকিস্তান-বাংলাদেশের মাঝে থেকে ভারতে কীভবে ঘটল এমন মীরাকেল জানেন? আরবিআইয়ের গর্ভনর শক্তিকান্ত দাস প্রকাশ্যে এনেছেন গোপন তথ্য
এই ১৫ মাসে ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণে সফ্‌টওয়্যার পরিষেবা সংক্রান্ত জিনিসপত্র বিদেশে রফতানি করা হয়েছে। তার ব্যাপক প্রভাব পড়ে দেশের অর্থনীতিতেও। বিদেশে যত বেশি রপ্তানি তত বেশি বৈদেশিক মুদ্রার দেশে আসার সুযোগ৷ যেটা এমূহুর্তে কিছু প্রতিবেশী দেশের পক্ষে করা সম্ভব হচ্ছে না। তথ্য বলছে এটা অস্বীকার করা যায় না। কোভিড অতিমারীর কাটানোর পরই কিন্তু ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি কমতে শুরু করে সেই লড়াই চলছিল টানা ১৫ মাস ধরে। কারণ ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে শেষ বার ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার এতটা বৃদ্ধি পেয়েছিল। তখন মোট সঞ্চিত বিদেশি মুদ্রার অর্থমূল্য ছিল ৬৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলার।

শুধুই কি রফতানি নাকি নেপথ্যে ছিল আরও অন্য এক খেলা। এই গেম সরাসরি নয় কিন্তু পরোক্ষ প্রভাব মারাত্মক এফেক্ট ফেলেছে। অর্থনীতিবিদদের দাবি ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার বৃদ্ধি পাওয়ার নেপথ্যে পরোক্ষে আমেরিকার না চাইতেই অনেক অবদান রয়েছে ডলারের দুর্বলতা এবং মার্কিন ট্রেজারির ফলন হ্রাসের কারণে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বৃদ্ধির একটি বড় অংশ দেখা দিয়েছে। সোজা ভাষায় এর মানে আমেরিকার ডলার বিশ্বে এখন কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে। তাই অনেক ক্ষেত্রে ডলারের বিকল্প হিসাবে চিন, রাশিয়া বা অন্য কোনও দেশের মুদ্রা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক লেনদেনে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর এভাবেই ডলারের গুরুত্ব কমে যাওয়ার ফলে ডলারের গুরুত্ব কমে যাওয়ায় অনিবার্য ভাবেই অন্য বৈদেশিক মুদ্রার গুরুত্ব কিছুটা বাড়ছে। সেই প্রেক্ষিতে ভারতের টাকাও আন্তর্জাতিক বাজারে মাথা তুলছে। বেশি জটিল হিসেবে না গিয়ে মনে রাখুন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে টাকার ব্যবহার বাড়লে বৃদ্ধি পাবে তার গুরুত্বও। আর তা হলেই ডলারের সাপেক্ষে ভারতীয় মুদ্রার দাম বৃদ্ধি পাবে। ন্যাশনাল সিকিউরিটিজ ডিপোজিটরি লিমিটেডের তথ্য বিদেশি বিনিয়োগকারীরা গত তিন মাসে ভারতীয় বিভিন্ন কোম্পানির ইক্যুইটি কিনতে প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে ব্যস উন্নতির গতি আর আটকায় কে?

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version