২০২৪ চেহারা বদলে যাচ্ছে ভারতের! ৫ ধামাকা প্রজেক্ট কেন্দ্রের

।। প্রথম কলকাতা ।।

২০২৪ এ ভারতের চেহারা আপাদমস্তক বদলে যাবে। বিহারেও হতে পারে বিশ্বকাপ খেলা মোদী সরকারের ৫টা মেগা প্রজেক্ট। দুনিয়া দেখবে হাঁ করে মেট্রো থেকে ব্রিজ, বুলেট ট্রেন থেকে আইটি হাব চমক কোথায় কোথায়? ভারত ১০ বছরে কতটা বদলেছে? যা দেখছেন সেটাই কি সত্যি? ইনফ্রাস্টাকচারকে ভারত কি টেক্কা দিতে পারবে চীন আমেরিকা জাপানকে? সেই দিন বেশি দূরে নেই যখন ভারত এক একটা শহর চকচকে করবে একের পর এক উন্নয়নে ভারতের কোন প্রান্ত থেকে এই প্রতিবেদন দেখছেন আপনি?

টপ টেন মেগা প্রজেক্টের ৫ নম্বরেই রয়েছে মুম্বাই কোস্টাল রোড। ভারতে তো প্রচুর দেখার মতো সড়ক রয়েছে কিন্তু এদের মধ্যেও অসাধারণ একটি সড়কপথ হল মুম্বই কোস্টাল রোড। সাউথ মুম্বই থেকে নর্থ মুম্বইকে মাত্র ৫০ মিনিটে জুড়বে এই রাস্তা কারণ এটাই এমন একটা রোড যেখানে রি ক্রিয়েশন এরিয়া মানে খেলাধূলো বা শরীর চর্চার জন্য আলাদা জায়গা, সাইক্লিং ট্র্যাক, জগিং ট্র্যাক, অ্যাম্ফিথিয়েটার ও এমনকি থাকবে ট্যাক্সি স্ট্যান্ডও। একটা রাস্তা আর ফুল প্যাকেজ একে ছত্রপতি মহারাজ সম্ভাজি মহারাজ কোস্টাল রোড নাম দেওয়া। হয়েছে ৪১৫ একরের জায়গা বরাদ্দ করা হয়েছে এই রাস্তার জন্য ১২ হাজার কোটি খরচ হবে বলে খবর।

৪ নম্বরে রয়েছে সেলা টানেল। সেলা টানেল অসমের গুয়াহাটি থেকে অরুনাচল প্রদেশের তাওয়াং পর্যন্ত সমস্ত ধরণের আবহাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চলা একটা টানেল। ২০১৯ ফেব্রুয়ারি মাসে এর শিলান্যাস করেছিলেন মোদী।
একটি একটি ২ ওয়ে হাইওয়ে টাইপ টানেল যা তৈরি হবে NH 13 অন্তর্গত সেলার পাসের থেকে ৪০০ মিটার নীচে তৈরি হবে। এই টানেল টানেল ১ এর দৈঘ্য ৯৯৩ মিটার ও টানেল ২ এর দৈর্ঘ্য ১৫৯১ মিটার। এই টানেলের সমান্তরাল একটি এসকেপ টিউব বানানো হয়েছে সেলা টানেল ভিতরে সিসি ক্যামেরা ছাড়াও ফায়ার ফাইটিং ডিভাইস ভেন্টিলেশ সিস্টেম, মনিটারিং ও এলইডি লাইট ইনস্টল করা হবে।

৩ নম্বরে রয়েছে রাজগীর ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম। বিহারে তৈরি হচ্ছে রাজগীর ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম। বিহারের ভোল বদলে যেতে পারে এই স্টেডিয়াম উদ্বোধন হলে পটনা থেকে ১০০ কিমি দূরে নালন্দাতে তৈরি হচ্ছে এই স্টেডিয়াম। ৯০ একর জমিতে প্রায় ৬৩৩ কোটি টাকা খরচ করে সাপুরজি পালনজি গ্রুপ তৈরি করছে‌। এই স্টেডিয়ামে থেকে স্পোর্ট কমপ্লেক্স যেখানে ইনডোর আউটডোর গেম মোটিভেশনাল স্পিচ দেওয়ার জায়গা, ক্যাফেটেরিয়া, সুইমিং পুল সবকিছু থাকবে। শুধু ক্রিকেট নয় বাস্কেটবল ও ফুটবলও খেলা যাবে এখানে একসঙ্গে ৪৫ হাজার দর্শকের ক্যাপাসিটি।

২ নম্বরের মেগা প্রজেক্টে থাকছে অযোধ্যা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। উত্তরপ্রদেশ পর্যটন বিভাগের রিপোর্ট বলছে ২০২৩ সালে ২.৩ কোটি স্থানীয় পর্যটক অযোধ্যায় এসেছেন আর একবার রামমন্দির উদ্বোধন হলে তো ছেড়েই দিন তাই অযোধ্যায় একটা বিমানবন্দরের বড্ড দরকার ছিল। মর্যাদা পুরষোত্তম শ্রীরাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামে ডাকা হচ্ছে এই এয়ারপোর্টকে। যা ২০২৪ সালে উদ্বোধন করতে পারেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদী। এর বিশেষত্বই হল এই বিমানবন্দরে নেমে তৎকালীন রামমন্দির দর্শন করা সম্ভব হবে পর্যটকদের পক্ষে। কারণ রামমন্দির থেকে মাত্র ৭ কিমি দূরে রয়েছে এই বিমানবন্দর। ৮২১ একর জমিতে তৈরি হওয়া এয়ারপোর্টয় এখানে ডোমেস্টিক ও ইন্টারন্যাশনাল দুটো ফেজই থাকবে।

আজকের প্রতিবেদনে ১ নম্বরে যে প্রজেক্ট রাখা হচ্ছে তা হল দিল্লি মু্ম্বই ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর। ২৪ টা বিনিয়োগের এলাকা, ৮টা স্মার্ট সিটি ১৪৮৩ কিমি লম্বা দিল্লি মু্ম্বই ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর। যা কানেক্ট করবে দিল্লি থেকে হরিয়ানা, রাজস্থান, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, মুম্বইকে। ১০০ বিলিয়ন ডলার খরচ হতে পারে এই প্রজেক্ট যা ভারতের জিডিপি গ্রোথ বাড়াবে আর সেইসঙ্গেই কর্মসংস্থানেও বড়সড় বুস্ট হবে। ৪ টে ফেজের এই প্রজেক্ট ২০২৪ থেকে ২০২৫র মধ্যে শেষ করার কথা রয়েছে। এর মানেই বোঝা যায় ২০২৪ অনেক সুখবর নিয়ে ভারতের জন্য।

 

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version