যোগীর বড় স্টেপ রোহিঙ্গা নিয়ে! রামমন্দির তৈরির আগে কোন ছক? কড়া নজরদারি উত্তরপ্রদেশে

।। প্রথম কলকাতা ।।

যোগী আদিত্যনাথ রোহিঙ্গাদের নিয়ে বড় ঘোষণা। রামমন্দির তৈরির আগে উত্তরপ্রদেশে একসঙ্গে এত রোহিঙ্গা গ্রেফতার কেন? যোগীরাজ্যে সর্বনাশের কোন ছক কষা হচ্ছিল আসলে! মায়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের কীভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে ভারতের বিরুদ্ধে? এমূহুর্তে দাঁড়িয়ে ভারতে ঠিক কত রোহিঙ্গাদের বসতি? কোন আইডিয়া আছে আপনার? দেশের নিরাপত্তা কত বড় ঝুঁকি? রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশের মতো এবার ভারতেও টেনশন বাড়ছে। যোগীরাজ্যে ৭৪ জন রোহিঙ্গাকে হাতেনাতে গ্রেফতার ইউপি এটিএস। হ্যাঁ সেই এটিএস যারা সীমা হায়দারকে জেরা করেছিলেন। এর আগেই উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন গন্ডগোলে মিলেছিল রোহিঙ্গাদের যুক্ত থাকার প্রমাণ এবার তাহলে কী?

মায়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে এমন আশা করাও বৃথা। ভারতের তরফ থেকে বারবার অনুরোধ করেও লাভ হয়নি। যোগীর পুলিশ এবার রামমন্দির হওয়ার আগেই এমন কোন ষড়যন্ত্রের সন্ধান পেল? ওয়াকিবহাল মহল বলছে ভারতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রোহীঙ্গাদের। কোনও পাকিস্তানী সংগঠন কাজে লাগাচ্ছে না তো? ভারতে এমূহুর্তে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা বাস করে। যাদের মধ্যে সাড়ে ১৬ হাজার জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার তালিকাভুক্ত এটা অবশ্যই সরকারী হিসেব। কাশ্মীর, দিল্লির শরণার্থী শিবির, হায়দ্রাবাদ, গুজরাট, মুম্বাইতে, উত্তরপ্রদেশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে রোহিঙ্গারা। তাদের কাশ্মীরে থাকা নিয়ে আগেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বহু মহল।

যোগীরাজ্যের পুলিশ এবার ৭৪ জন এমন রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করে যাদের বিরুদ্ধে বৈধ কোনো নথিপত্র ছাড়া অবৈধভাবে ভারতে বসবাসের অভিযোগ রয়েছে। জানা যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের স্থানীয় লোকেরাই গোপনে তাদেরকে থাকতে দিয়েছিল। গ্রেফতার রোহিঙ্গাদের মধ্যে মহিলা রয়েছে। এদের বেশিরভাগই কোন না কোনও মিটের কারখানায় কাজ করত। তথ্য বলছে আগেই উত্তরপ্রদেশে থাকা রোহীঙ্গাদের হুমকি দিয়েছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। বলেছিলেন এরা ভারতের শরনার্থী নয় বরং জোর করে ঢুকে পড়া শরনার্থী এটিএস উত্তরপ্রদেশের মথুরা থেকে প্রায় ৩১ জন আলিগড় থেকে ১৭ জন গাজিয়াবাদ থেকে ৪ বাকীরা গ্রেফতার হয়েছে মেরাট-সাহারানপুর থেকে। যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশে এখন অনেক বেশি সতর্ক পুলিশ৷ রামমন্দির নির্মাণের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কোনও ধরণের গন্ডগোল বরদাস্ত করা হবে না৷

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version