।। প্রথম কলকাতা ।।
মোটামুটি বুক পর্যন্ত দাড়ি নেমে এসেছে। না কোনও পুরুষ নয়! এই তরুণীর ইয়া বড় দাড়ি সেই বিশাল দাড়ির জন্য পেয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় দাড়িওয়ালা মহিলার খ্যাতি। নাম উঠেছে গিনেস বুকে পলিসিসটিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম অর্থাৎ PCOS বদলে দিয়েছে এই তরুণীর জীবন। জীবনের কঠিন সত্যিটা মেনে নেওয়া সহজ ছিল না। আমেরিকার মিচিগান শহরের বাসিন্দা এরিনের যদিও একদিনে এত বড় দাড়ি হয়নি। যার জন্য লেগেছে প্রায় দুই বছর।
ছোটবেলায় ছিলেন একদম অন্যরকম। মিষ্টি মেয়েটার চেহারায় বদল আসতে থাকে আচমকাই ১৩ বছর বয়সে প্রথমবার এরিনের মুখে দাড়ি গজাতে শুরু করে। স্কুলে তাঁকে দেখে হাসাহাসি শুরু হয়। চিকিৎসকদের কাছে গেলে এরিন জানতে পারেন তিনি পলিসিসটিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোমের শিকার সেকারণে নারীদেহে পুরুষ হরমোন বাড়তে শুরু করেছে। সাথে বাড়তে থাকে ওজনও
্লোকসমাজে অস্বস্তি এড়াতে নিয়মিত দাড়ি-গোঁফ কাটতেন এরিন। দিনে অন্তত তিনবার মুখের পশম তুলতে ওয়াক্সিং করতেন। ব্যবহার করতেন হেয়ার রিমুভাল ক্রিমও। যাতে কেউ কিছু বুঝতে না পারে। সব ঠিক ছিল। কিন্তু হঠাৎ সব ওলটপালট হয়ে যায়।
আচকমকাই স্ট্রোক হয় এরিনের। আরও আরেকটা ঝড় এসে এরিনের জীবনটাকে তছনছ করে দেয়। সেপটিক হয়ে একটা পা বাদ দিতে হয়। কৃত্তিম পা নিয়ে শুরু হয় পথ চলা। অন্ধকার জীবনে আলো আনেন জেন। এরপরেই দাড়ি কাটা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। এরিন বিয়ে করে নতুন জীবন শুরু করেন। সঙ্গী জেন এই সিদ্ধান্ত নিতে উৎসাহ দিয়েছিলেন। ৩০ সেন্টিমিটার অর্থাৎ ১১.৮১ ইঞ্চি লম্বা দাড়ির জন্য়ই বিশ্বসেরার শিরোপা পেলেন এরিন এর আগে এই রেকর্ড ছিল ৭৫ বছর। বয়সি ভিভিয়ান হুইলারের তাঁর দাড়ির দৈর্ঘ্য ছিল ২৫.৫ সেন্টিমিটার।
একসময় যে দাড়ির জন্য লোকসমাজে হাসির খোরাক হতে হয়েছিল এরিনকে। আজ সেই বড় দাড়ির জন্য বিশ্বের প্রত্যেকটি মানুষ তাঁকে চিনছে। সত্যি এ যেন নিমেষে ভাগ্য বদল।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম