Russia President Vladimir Putin: নিশ্চিহ্ন হবে যুক্তরাষ্ট্র? ওপেন চ্যালেঞ্জ, একাই একশো পুতিন! এবার হবে শেয়ানে শেয়ানে টক্কর

।। প্রথম কলকাতা ।।

Russia President Vladimir Putin: একেবারে ওপেন হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলেন ভ্লাদিমির পুতিন। পশ্চিমাদের একচেটিয়া আধিপত্যকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার থ্রেট। যত বড় শক্তিই হোক, পুতিনের চোখরাঙানির সামনে টিকতে পারবে তো? পশ্চিমের সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতায় নামতে তৈরি রাশিয়া। যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার উপর পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা সত্যিই কি ব্যর্থ হয়েছে? কি বলছেন পুতিন? তবে কি যুক্তরাষ্ট্রের প্ল্যান ডাহা ফেল করলো? কিভাবে যুদ্ধের এফেক্ট কাটিয়ে উঠবে রাশিয়া? তলে তলে জাল বুনছে মস্কো। পশ্চিমাদের মনবল ভেঙে দিতে মরিয়া রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। কি চাইছেন পুতিন? টার্গেটই বা কী? দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের পূর্বাভাস স্পষ্ট হচ্ছে।

এবার একেবারে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন পুতিন। জানিয়ে দিলেন বৈশ্বিক বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের যে একচেটিয়া আধিপত্য, তা শেষ করতে প্রতিযোগিতায় নামতে রাশিয়া সম্পূর্ণভাবে তৈরি। এদিনে পুতিনকে যথেষ্টই কনফিডেন্ট শুনিয়েছে। বুঝিয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র যা চেয়েছিল তাতে তারা সফল হতে পারেনি। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কিন্তু পুতিন বলছেন, এর জেরে রুশ কোম্পানিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঠিকই, তবে গত দেড় বছরে সেই এফেক্ট কাটিয়ে ওঠা অনেকটাই সম্ভব হয়েছে। কতটা ব্যর্থ যুক্তরাষ্ট্র? পুতিন বলছেন রাশিয়ার ওপর যেসব নিষেধজ্ঞা পশ্চিমারা দিয়েছে, তা রুশ অর্থনীতিকে ভেঙে ফেলতে পারেনি, এটা প্রমাণিত। বরং রাশিয়া যে নিষেধাজ্ঞার আঘাত কাটিয়ে উঠছে তা তাদের বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো প্রমাণ করে দিয়েছে, দিচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে যুদ্ধের এফেক্ট আরো কাটাতে কি করবে রাশিয়া, সেই প্ল্যানও সাজিয়ে ফেলেছে ইতিমধ্যেই।

পুতিন বলেছেন, তাঁরা ধাপে ধাপে এগোনোর প্ল্যান করছেন। প্রথম ধাপে রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন খাতে পশ্চিমা কোম্পানি ও ব্যবসায়ীদের প্রভাব কমাতে হবে। দ্বিতীয় ধাপে এগোতে হবে বৈশ্বিক অর্থনীতির দিকে। প্রাথমিকভাবে কমনওয়েলথ জোট, সংহাই করপোরেশন ও ব্রিকস জোটে তাঁদের যেসব বন্ধু রাষ্ট্র রয়েছে, তাদের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নয়ন এবং বিনিয়োগের হার বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে রাশিয়া। আর এতেই তাঁদের সফল হতে হবে। পশ্চিমা আধিপত্যের বিরুদ্ধে পুতিন একাই একশো, এটা বুঝিয়ে দিতে মস্কোর এক অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে পুতিন বলেছেন বিশ্বে কোনো প্রকার একচেটিয়া আধিপত্য চিরস্থায়ী নয়। আন্তর্জাতিক অর্থনীতি ও বাণিজ্যে পশ্চিমা কোম্পানিগুলোর একচেটিয়া আধিপত্য চলছে। এমনকি রাশিয়ার বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ খাতেও এসব কোম্পানি এখন পর্যন্ত বেশ শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে। তবে তাদের এই আধিপত্য আর খুব বেশিদিন টিকে থাকবে না।

জানিয়ে রাখি, পশ্চিমের বিরুদ্ধে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার নায়ক হিসেবে নিজেকে বারবার তুলে ধরেছেন পুতিন। একাই, পশ্চিমা প্রভাবের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষমতা রাখেন, সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন। পুতিনের এসব চক্রান্তের লক্ষ্য যতটা না অর্থনৈতিক, তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক! পুতিন বিশ্বাস করেন, তাঁর জয়ের একমাত্র পথ হলো পশ্চিমাদের মনোবল ভেঙে দেওয়া। সেক্ষেত্রে যেভাবে চালের উপর পাল্টা চাল দেওয়া শুরু হয়েছে রাশিয়া এবং পশ্চিমাদের ষ মধ্যে, তাতে এই যুদ্ধ শিগগির থামবে, এমনটা মনে করা কঠিন হয়ে উঠছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version