এত নিম্নচাপ কেন ? কলকাতার আবহাওয়া ভয়ানক খারাপ হবে, সুপার সাইক্লোন আর বন্যা খুব কাছে

।। প্রথম কলকাতা ।।

এতো নিম্নচাপ কেনো হচ্ছে? কলকাতার আবহাওয়া নিয়ে চিন্তা করার মত যথেষ্ট কারণ আছে। কলকাতার আবহাওয়া যত দিন যাবে খারাপ হবে। সুপার সাইক্লোন, বন্যায় ডুববে কলকাতা। অপরিশোধিত বর্জ্য ফেলার ফলে নদীর তাপমাত্রা বেড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় পরোক্ষভাবে ম্যানগ্রোভ। বর্জ্য সুন্দরবনের নদী দিয়ে সমুদ্রে গিয়ে পড়ছে। এতে সমুদ্রের তাপমাত্রা বাড়ছে। ফলে আঞ্চলিকভাবে নিম্নচাপের সৃষ্টি হচ্ছে। কলকাতায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। ২১১ কিমি প্রতি ঘন্টা বা তারও বেশি বেগের ঝড় বাড়বে। সুন্দরবনকে বাঁচাতে না পারলে কলকাতা বাঁচবে না। এই শতকের শেষেই সুন্দরবনের জলস্তর পারবে প্রায় ৬০ সেমি। ২০২৩ এর তাপমাত্রার বৃদ্ধি রেকর্ড ছুঁয়েছে।

সুন্দরবনের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে। সুন্দরবন লাগোয়া দুই ২৪ পরগনার পাঁচটি ব্লকের খুব কম করেও কুড়িটি গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষ্যাধিক মানুষের জীবন জমির জীবিকা সবই প্রশ্নের মুখে। সুন্দরবন এলাকায় প্রতিবছর তিন থেকে ৭ মিলিমিটার পর্যন্ত জলস্তর বাড়ছে। এই জল বাড়ার পরিমাপ দেশের অন্যান্য উপকূলের তুলনায় অনেকটা বেশি। তাইতো আয়লা ইয়াশ আম্ফানের র মত ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে সুন্দরবন এলাকার নদী বা সমুদ্রের জল স্থলভাগে ঢুকে এসেছিল। সুন্দর ব নের মত দ্বীপের নিয়মই হল তা একসময় ভাঙতে শুরু করবে। সুন্দরবন গড়ে উঠেছে গঙ্গা পদ্মার বদ্বীপ এলাকায়। দুই বিশাল নদী ও তাদের শাখা নদী গুলো সাগরে মেশার আগে প্রতিমুহূর্তে যে বিশাল পরিমাণ পলি জমা করছে কার্যত তার ওপরেই সুন্দরবন গড়ে উঠেছে।

সুন্দরবনের নদীগুলোতে চড়া পড়ছে নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় জলস্তরের উচ্চতা বাড়ছে সুন্দর বনে। কলকাতার আশঙ্কা বাড়ছে। দিনে দিনে কলকাতার আবহাওয়া বদলে যাচ্ছে। এই দুদিন আগে যে বৃষ্টি হলো তাতে কলকাতা রীতিমত ভেসেছে। বন্যার আশঙ্কা পর্যন্ত করা হচ্ছিল। আবার গত ৫০ বছরের মধ্যে উষ্ণতম জুন দেখেছে কলকাতা। জুন মাসে 50 ডিগ্রির আশেপাশেও চলে যায় কলকাতার উষ্ণতা।। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রতি ১৫০ দিন অন্তর ৩৫ ডিগ্রির উপরে তাপমাত্রা হবে কলকাতার। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে বৃষ্টির পরিমান। হানা দিবে বড় বড় সুপার সাইক্লোন।

গবেষণা বলছে ২০৩০ সালের মধ্যেই জলের তলায় চলে যেতে পারে পশ্চিমবঙ্গ মহারাষ্ট্র কেরালা গুজরাটের উপকূলবর্তী এলাকা গুলো। এক মার্কিন সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য। মাত্র ৯ বছরের মধ্যেই কলকাতার খুব কাছ দিয়ে বইতে পারে সমুদ্রের জল।। পরিস্থিতি যে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর তা বলাবাহুল্য। আম্ফান ইয়াস পরবর্তী পরিস্থিতিতে সুন্দরবনের ঘোড়ামারা মৌসুনি দ্বীপ কার্যতল জলের তলায় চলে গিয়েছিল। ওই এলাকার বাসিন্দাদের কাছে বৃষ্টিই আতঙ্কের অন্য নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে।

টান পড়তে শুরু করেছে মহানগরের ভূগর্ভস্থ জলের ভাড়ারে। নগরায়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমছে মাটির নিচের জলের স্তর। ভূমিকম্পে মাটি ধ্বসে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে কলকাতায়। ভয়াবহ জল সংকটের দিকে এগোচ্ছে মহানগর।। প্রতিবছর গড়ে প্রায় দু ফুট করে কমছে কলকাতার নিচে থাকা জলের স্তর। সামনের এক দশকে ভূগর্ভস্থ জলের স্ত র নেমে যাবে প্রায় কুড়ি ফুট।। কলকাতা কর্পোরেশন থেকে প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় 400 মিলিয়ন গ্যালন জলের যোগান দেওয়া হয়।। মাইলের পর মাইল এলাকায় গাছ কেটে সাফ করে ফেলা হচ্ছে। ম্যানগ্রোভ অরণ্য নষ্ট হচ্ছে। কলকাতায়  নগরায়ন হচ্ছে যথেচ্ছ ভাবে। সুন্দরবন এলাকা দুর্যোগের মধ্যে পড়ছে। কলকাতার পাশাপাশি ফল ভুগতে হবে বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চল কেও।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version