Jamai Sasthi: জামাইষষ্ঠীতে কেন “ষাট ষাট ষাট” বলা হয়? আসল নিয়মগুলো জানুন

।। প্রথম কলকাতা ।।

Jamai Sasthi: মেয়ের জীবন সুখে শান্তিতে ভরিয়ে তুলতে চান? তাহলে অবশ্যই জামাইষষ্ঠীর দিন পালন করুন এই নিয়মগুলো। জামাইষষ্ঠীতে কেন তিন বার ‘ষাট-ষাট-ষাট’ বলা হয় ? ভুল নিয়মে ষষ্ঠী পালন করছেন না তো। শুধু হরেক রকম রান্না করলেই হবে না। এই ব্রত পালনেই মেয়ে – জামাই সুখী হবে। ঘরে থাকবে না কোনো অভাব। এইভাবে জামাই আদরে সন্তুষ্ট হবেন স্বয়ং মা ষষ্ঠী। জানুন আসলে কীভাবে পালন করতে হয় জামাইষষ্ঠী? জামাইষষ্ঠীর দিন এমন কিছু নিয়ম রয়েছে যা পালন করতে পারলে মেয়ে এবং জামাই দুজনেরই জীবন খুব সুখের হয়। তাই মেয়েকে সারা জীবন সুখ এবং আনন্দে ভরিয়ে রাখতে এই দিনু পালন করুন এই নিয়মগুলো। প্রত্যেকটা নিয়মের পিছনে কী কী কারণ রয়েছে?

জামাই ষষ্ঠীর আগের দিন ঘরের ইশান কোণে একটা তামার ঘটিতে জল একটা তুলসি পাতা দিয়ে রাখুন। জামাই ষষ্ঠীর দিন যখন জামাই বাড়িতে আসবেন তখন ঈশান কোণে রাখা জল মেয়ে-জামাইয়ের ওপর ছিটিয়ে দিন। বলা হয় গঙ্গাজল দিয়ে করলে খুব শুভ ফল পাওয়া যায়। শ্বাশুড়িরা কী ভাবে মা ষষ্ঠীর আরাধনা করবেন এইদিন? কেন এদিন পাখার বাতাস করে তিনবার ষাট ষাট ষাট বলা হয়?

অন্যান্য ষষ্ঠীর মতো এই ব্রততেও থাকে পুজোর ডালি কাঁঠালপাতার উপর সাজানো পাঁচ, সাত বা নয় রকমের ফল তার মধ্যে একটি হতেই হবে করমচা। আর থাকে ১০৮ গাছা দূর্বা। ষষ্ঠীপুজো উপলক্ষ্যে শ্বাশুড়িরা ভোরবেলা স্নান করে ঘটে জল ভরে নেন। ঘটের ওপর স্থাপন করেন আম্রপল্লব সঙ্গে রাখেন তালপাতার পাখা। ১০৮টি দূর্বা বাঁধা আঁটি দিয়ে পূজোর উপকরণ সাজানো হয়। জামাইকে এদিন পাখা দিয়ে হাওয়া করার মানে তোমার সমস্ত আপদ-বিপদ দূরে যাক। শান্ত থাকুক পরিবেশ তিন বার ‘ষাট-ষাট-ষাট’ বলার অর্থ দীর্ঘায়ু কামনা করা।

সকালে ওই ডালি নিয়ে পুজো দিয়ে আসতে হয় মা ষষ্ঠীর থানে। তারপরেও রয়েছে বেশ কিছু নিয়ম। ব্রতকথা পাঠের পরে সবাইকে বাতাস দিয়ে হাতে ষষ্ঠীর সুতো বেঁধে তবেই উপোস ভাঙেন মায়েরা। এই দিন যখন জামাইকে বরণ করা হয়। মিষ্টি খাওয়ানো হয় তখন সাধারণ জল না দিয়ে গ্লাসে ডাবের জল দিন তাতে মা লক্ষ্মী সন্তুষ্ট থাকার সঙ্গে সঙ্গে জামাইয়ের জীবন ভরে উঠবে পজেটিভ এনার্জিতে। বরণ করার নিয়ম শেষ হওয়ার পর জামাইয়ের হাতে দিন একটা নীল অপরাজিতা ফুল। এই দিন তারা মায়ের চরণের সিঁদুর নিয়ে জামাই এবং মেয়েকে তিলক লাগান। এর ফলে মেয়ে-জামাই অত্যন্ত সুখে শান্তিতে থাকতে পারবেন। আসলে জামাইষষ্ঠীর আসল উদ্দেশ্য হল মাতৃত্ব, সন্তান ধারণ এবং বংশবৃদ্ধি। মেয়ে যাতে সুখে শান্তিতে দাম্পত্য জীবন যাপন করতে পারে তার জন্য মঙ্গল কামনা।

অন্যান্য রীতিনীতির মতো ষষ্ঠী পালন ঘিরেও বাঙাল-ঘটি ভেদাভেদ আছে। ঘটি পরিবারে ষষ্ঠী পালন অনেক বেশি হয় যে কোনও বাঙাল বাড়ির তুলনায়। সব কিছুই জামাইয়ের মঙ্গলের জন্য যেমন শুভ কামনা, তেমনই মেয়ের সুখে-শান্তিতে থাকার জন্য মঙ্গল চিন্তা। আর সুন্দর সাংসারিক জীবন যাপনের জন্য মা ষষ্ঠীর কাছে প্রার্থনা। দিন বদলেছে এখন অনেকেই এ ধরনের নিয়ম পালন না করলেও জামাইষষ্ঠীর দিন অবশ্যই জামাইদের নিমন্ত্রণ করেন এখনো।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version