মোদীর ফ্রান্স সফরে চীনের রক্তচাপ বাড়ছে কেন? পাকিস্তান আগেই হতাশ, প্যারিসে হবে মহাচুক্তি

।। প্রথম কলকাতা ।।

পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক প্যারিসে বসেই করবেন মোদী। ১০ মিনিটও সময় লাগবে না বলে দেওয়া হল। মোদীর ফ্রান্স সফরে বিগড়ে যাওয়ার চান্স জিনপিং ম্যাঁক্রোর সুসম্পর্ক আমেরিকার থেকেও হবে বড় ডিল হাঁ হয়ে যাচ্ছে বেজিং। কেন? আমেরিকার পরই ফ্রান্স৷ ব্যাক টু ব্যাক বিদেশ সফরে নরেন্দ্র মোদী৷ মোদীর ফ্রান্সে যাওয়ার আগেই নাকি পাকিস্তানীদের ফ্রান্সে ব্যান করে দিয়েছিল ম্যাঁক্রোর সরকার? পাকিস্তান মোদীর ফ্রান্স সফর নিয়ে এত ঘাবড়ে রয়েছে কেন? এবার চীনের বিরুদ্ধে ঘুরে যেতে পারে ফ্রান্স। জিনপিং বুঝে গেলেন এবার আসলে মোদী কত বড় দান দিতে চলেছেন।

জ্বালানি তো শেষ পাক আর্মির৷ পাকিস্তানের সীমান্তকে এবার রক্ষা করবে কারা? ফ্রান্সে বসে মোদীর ৯০ হাজার কোটির মারিন রাফালে ডিল পাকিস্তানের কূটনীতিবিদরা নিশ্চিত প্যারিস থেকে বসেই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের নেক্সট প্ল্যান করছেন মোদী আর সেটাই হলে কে বাঁচাবে শাহবাজ শরিফের দেশকে। রাজনাথ সিং কয়েকদিন আগেই বলেছিলেন সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সিদ্ধান্ত নিতে ১০ মিনিটও সময় লাগেনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। ভালো করে শুনুন এবার যুক্তরাষ্ট্রের থেকেও বড় ডিল ফ্রান্সের সঙ্গে করতে পারে ভারতের। মোদীর যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগে চীনের সরকারী নিউজে মোদীকে নিয়ে চর্চা হয়েছিল। এবার বেজিং যেন কুলুপ আঁটল মুখে। তথ্য বলছে ফ্রান্সের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক নরম-গরম হলেও চীনের সঙ্গে প্যারিসের শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। এপ্রিলে বেজিং সফরে গিয়ে ম্যাঁক্রো বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে আমেরিকার বিরুদ্ধে চড়িয়েছিলেন সুর।

শুধু তাই নয় চীনে ফ্রান্সের ব্যাপক অর্থনৈতিক স্বার্থ রয়েছে। ২০২২ সালে দুই দেশের বাণিজ্য প্রথমবারের মত ১০০ বিলিয়ন ইউরো ছাড়িয়ে গেছে। যা তার আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। চীনাদের ভরসা রয়েছে ইমানুয়েল ম্যাঁক্রোর ওপর। তবে ফ্রান্সের বিশেষ অতিথি হিসেবে মোদীর আগমণে এবার সেই মজবুত সম্পর্কের ভিত কি আলগা হতে পারে? বড় চ্যালেঞ্জ নরেন্দ্র মোদীর কাছে। ওয়াকিবহাল মহল বলছে চীন আতঙ্কে রয়েছে মোদীর কূটনীতির চালে কারণ হতে পারে একের পর এক বড় ডিল পাকা। ফ্রান্স-ভারত যৌথ উদ্যোগে ভারতের মাটিতে এয়ারক্রাফ্ট ইঞ্জিন এই সেক্টরে আসতে পারে বড়সড় ঘোষণা। মহারাষ্ট্রের জয়িতাপুরের ৯৯০০ মেগাওয়াটের নিউক্লিয়ার প্লান্ট নিয়ে হতে পারে দুদেশের আলোচনা। দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ফ্রান্সেও ইউপিআই ব্যবস্থা চালু হতে পারে এবং জেন ইঞ্জিন তৈরি, রাফাল কেনা, সাবমেরিন তৈরির মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে চুক্তি হতে পারে ভারত ও ফ্রান্সের।

আর এতেই ভারতের লাভের সঙ্গে চীনের অর্থনীতিতে কতটা ধস নামবে? কী হারাতে পারে চীন বোঝা যাবে কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করলেই। একাধিক রিপোর্ট বলছে, ফ্রান্সে সাম্প্রতিক গন্ডগোলে চীনের বিশেষ অনুরোধও ছিল। তাদের নাগরিকদের সুরক্ষার ব্যাপারটা আলাদা করে দেখার কিন্তু পাকিস্তান যেন নিজেরাই নিজেদের কোনঠাসা করে ফেলল। ফ্রান্স সরকারের তরফ থেকে সেখানে পাকিস্তানের ব্যান করার ব্যাপারে কোনও নির্দেশিকা জারি না করলে গোটা পাকিস্তান জুড়ে রটে যায়। মোদী প্যারিসে আসার আগেই পাকিস্তানদের ওপর নিষেধাজ্ঞা লাগিয়েছে সরকার। এবার দেখার পাকিস্তান ও চীনের ঘুম ওড়াতে ফ্রান্সে বসে ঝুলি থেকে কোন বিড়াল বের করেন মোদী৷

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version