Hindu beliefs about death: শ্মশানে মহিলাদের যাওয়া বারণ কেন ? জানুন সত্যিটা

।।vপ্রথম কলকাতা ।।
Hindu beliefs about death: মৃতদেহ দাহ করতে সকলেই যান। কিন্তু বাড়ির মেয়ে -বউরা শ্মশানে যেতে পারেন না কেন? কেন মহিলাদেরকেই যেতে নিষেধ করা হয়? শ্মশানে (Cremation) মহিলাদের যাওয়া বারণ ?নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ! জানুন সত্যিটা।

শ্মশানে না কি মহিলাদের যেতে নেই! কিন্তু আসল কারণটা (Hindu Beliefs) কি জানেন?কেউ দেহ নিয়ে যান কাঁধে করে কেউ শবদেহ বহন করার জন্য গাড়ি ভাড়া করে যান শ্মশানে। কিন্তু বাড়ির মেয়ে বউদের সেখানে যাওয়ার প্রশ্নই নেই। কিন্তু এর পিছনের আসল সত্যিটা জানুন।

নিয়ম অনুযায়ী বাবা মায়ের মৃত্যু (Death) হলে বাড়ির ছেলেরা মাথা ন্যাড়া হয়।কিন্তু মহিলাদের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম নেই। অনেকেরই বিশ্বাস চুলের শিকড় দিয়েই
আত্মা প্রবেশ করে শরীরে।শ্মশানে ঘুরে বেড়ায় অনেক আত্মাই! তার মধ্যে কোনও দুষ্ট আত্মা যদি শরীরে
প্রবেশের চেষ্টা করে সেই ভয়েতেই মেয়ে বউদের শ্মশানে যেতে দেওয়া হয় না।

মেয়েদের শ্মশানে যাওয়া নিষেধ করার পিছনে রয়েছে আরো কুসংস্কার।পুরুষমানুষ হোক বা আত্মা সবাই
নাকি নারীকে দেখলেই আকর্ষিত হয়! বিশ্বাস, অশরীরীরা ভর করার জন্য নারীদের শরীরকেই বেছে নেয় বিশেষ করে কুমারী মেয়েকে দেখলে।তাই অনেকে বলেন, বিবাহিতা নারীরা শ্মশানে যেতে পারেন। কিন্তু কুমারীদের যাওয়া কখনই চলবে না!মেয়েদের নরম মন। প্রিয়জনের মৃত্যুতে তাঁদের চোখের জল বাধা মানে না লোকবিশ্বাস বলে, শেষযাত্রার সময় কেউ কান্নাকাটি করলে বিচলিত হয়ে পরে আত্মা তখন আর তার পৃথিবী ছেড়ে যাওয়া হয়ে ওঠে না। মায়ায় বাঁধনে সে পৃথিবীতেই থেকে যায়। মুক্তি না পাওয়ার কষ্ট থেকে জীবিত পরিজনদের ক্ষতি করার চেষ্টা করে এরকমটা যাতে না হয়, সেই জন্য না কি মহিলাদের শ্মশানে যাওয়া বারণ!

আবার অনেকে বলেন দেহ অন্ত্যেষ্টির (Last Rites) জন্য শ্মশানের দিকে চলে গেলে ঘর পরিষ্কার করাটা একটা বেশ বড়সড় কাজ কেন না, মৃতদেহ থেকে সংক্রমণের ভয় থাকে। তাই ঘর-দোর ভাল ভাবে ধুতে মুছতে হয়।এই ঘর পরিষ্কার রাখা বেশিরভাগটাই মহিলারা করে থাকেন।
সেই জন্যই নাকি তাঁরা শ্মশানে যান না।

প্রিয়জনের অন্ত্যেষ্টিতে শ্মশানে যাননি নারীরা। এখন যদিও ছবিটা বদলেছে অনেকটাই। অনেক মহিলারা এখন শ্মশানে যান না তাদের নিজস্ব কারণে।তবে কুসংস্কার দুর হয়েছে শহরাঞ্চলেই!

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version