।। প্রথম কলকাতা ।।
ATM: আজকালকার দিনে প্রায় সকলেই ব্যাংকের এটিএম পরিষেবা ব্যবহার করে থাকেন। সর্বত্র যে কোনো জায়গায় পাওয়া যায় বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম। ব্যাংকের লম্বা লাইনে না দাঁড়িয়ে এটিএম থেকে টাকা তোলা অনেক সহজ কাজ। তাই বেশিরভাগ মানুষ এই পরিষেবা ব্যবহার করে থাকেন।
আর্থিক লেনদেনের একাধিক অ্যাপ বাজারে জাঁকিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে। ইউনিফাইড পেমেন্ট ইন্টারফেস ব্যবহার করে লেনদেনও কয়েকগুণ বেড়েছে। আর এতদিনে ব্যাংকগুলির মধ্যে এটিএম বসানো নিয়ে সব থেকে বেশি তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। এটিএম ও রিসাইক্লার দেখভাল এর জন্য ইচ্ছুক সংস্থার প্রস্তাব চাওয়ার অর্থ ব্যাংক গুলি মেশিনে টাকা ভরার খরচ কমাতে চায়। যদিও নতুন এটিএম বসানোর প্রস্তাব আমজনতার পক্ষে সুবিধার হবে। একটি রিসাইক্লারের দাম ৬ লক্ষ টাকা। এখন একটি সাধারণ এটিএম মেশিনের দাম সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। বর্তমানে দেশে যে সংখ্যায় এটিএম বসানো রয়েছে নতুন এটিএম বসানোর প্রস্তাব তার ৬.৫ শতাংশ। চলতি অর্থবর্ষে এখনো চার মাস রয়েছে। এই চার মাসে এটিএম এর চাহিদারও বাড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
এতদিন দেশে এটিএম এর সংখ্যা ২,২৫০০০ থেকে ২,৩৫০০০ এর মধ্যে ঘোরাঘুরি করছিল। তবে সম্প্রতি তা ২, ৬০ ,০০০ এর সংখ্যা ছুঁয়ে ফেলেছে। যদিও ভারতের মতো জনবহুল দেশে ২০২০ সালের মধ্যে ৪ লক্ষ এটিএম থাকা উচিত বলে লন্ডনের রিটেল ব্যাংকিং রিভিউ জানিয়েছিল। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী এমনটাই জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য চিনে দশ লক্ষের বেশি এটিএম রয়েছে। নতুন এটিএম অর্ডার, ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক-৬৭৫০, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক-২০০০, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া-৩৫০০, ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক ৮৫০। রিসাইক্লার, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া-৭৫০, ইউকো ব্যাংক-৩০০।
এটিএম ও রিসাক্লাইর দেখভালের জন্য ইচ্ছুক সংস্থার প্রস্তাব চাওয়ার অর্থ ব্যাংকগুলি মেশিনে টাকা ভরার খরচ কমাতে চায়। নতুন এটিএম বসানোর প্রস্তাব আমজনতার পক্ষে সুবিধা করা হবে। চলতি অর্থবর্ষে এখনো পর্যন্ত ১৭ হাজার এটিএম বসানোর জন্য ইচ্ছুক সংস্থাগুলির কাছে প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি আরো ৪৫২৭১ টি এটিএম দেখভালের জন্য প্রস্তাব চেয়েছে ব্যাংকগুলি। এর মধ্যে রিসাইক্লারও রয়েছে যেখানে নগদ জমা ও তোলা দুই করা যাবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম